মাছ চাই আমাদের রোজ মেন কোর্সে,
কালোজিরে আদাবাটা, পোস্ত বা সর্ষে,
যাই পাই তাই দিয়ে করি মাছ রন্ধন,
মাছ আর বাঙালির অটুট এ বন্ধন.
এ ব্যাপারে ঠেস দিলে হয়ে যাবে বাওয়ালই
হোন সেটা অভিনেতা শ্রী পরেশ রাওয়ালই।
বাঙালির মাঝে তার ফ্যান বড় কম নয়,
ভিলেনি বা কমিক-এ যে থাকি হয়ে তন্ময়,
তখন ভাবি না কেউ মাছ তিনি খান না,
তবে কেন মাছ খাওয়া নিয়ে তাঁর কান্না?
অভিনেতা নেতা হয়ে বদলান স্বভাবে,
বাঙালিকে গালি দিলে গুজু বুঝি স্ব ভাবে?
গুজু আর বাঙালি, দুই জাতই দিশি যে
ফিশ নিয়ে ফিসফাস তাই লাগে ফিশি যে,
বাঙালি চাকরি নিলে গুজরাটি বাড়িতে
আপত্তি নেই তার নিরিমিষ হাঁড়িতে,
গুজু যদি কোনোভাবে বাঙালির রাঁধুনি,
শিখে নেবে মাছ রাঁধা বিনা কোনো কাঁদুনি,
তার মানে এই নয় হয়ে গেলো ছোটো সে,
বিবিধে মিলন রাখা ভারতের মটো সে।
নাকি সেই মটো আজ ফটো হয়ে ঝুলছে?
বিভাজন বিষ-সাপ মালা হয়ে দুলছে?
পঞ্জাব গুজরাট মারাঠা ও বঙ্গ,
এক দেশ, এক জাতি, ভারতের অঙ্গ,
নেতা-অভিনেতাদের মনে রাখা দরকার,
ভেদাভেদ করা নয়, যে গড়ুক সরকার।
বাঙালি ডেঞ্জারাস জেনো নামকরণে,
বদলিয়ে দেয় ডাক নিজস্ব ধরণে,
ভবেশকে ভবা ডাকে, তপেশকে তোপসে,
যাকে ডাকে সাড়া দেয় বিনা কোনো ক্ষোভ সে
ভোট চাওয়া ভিড় মাঠে কোনো এক পার্শ্বে,
মাছ খাওয়া বং যদি হেঁকে ওঠে পারশে..
পরেশ কি বুঝবেন ডাকনাম তাঁর সে?