খুঁজতে তাকে নাকাল ইডি , হাল ছেড়েছেন সি বি আই,
সার্ভেলান্স সব নাস্তানাবুদ, কি ন্যাচারাল ,কি এ আই,
কোথায় আছে কেউ জানে না, তাই শুনে যাই সংবাদে,
তাহলে ভাই স্বীকার করো প্রতীক-রঙা ঢং বাদে,
তেমন তেমন লোক পালালে ধরার দেশে মুরোদ নেই,
নীরব মোদী বা শাহজাহান আটকে রাখার গারদ নেই।
অপরাধীর কীর্তিকলাপ যায় জানা সে নিখোঁজ হলে,
যখন তার আর নেই ক্ষমতা, তখন সবাই আঙুল তোলে,
বিরোধী দল ঝাঁপিয়ে পড়েন, শাসকদলের মুখে কুলুপ,
মানুষ নিয়ে ভাবনাটা নয়, খুঁজছে সবাই ভোটের তুরুপ,
এমন তো নয়, কেউ জানে না চলছিলো কী কার ওপরে,
কার ভাগে কে ভোট কটা দেয়, ধরা ছাড়া তার ওপরে,
পায় না যাকে পুলিশ খুঁজে আকাশ পাতাল হাঁটকে ফেলে
বিরোধীতে নাম লেখালে সেই মানুষই সটান জেলে।
সন্দেশ-খোর কাদের মাছি, ঠিক করে তা ভোটের কালি,
মিষ্টি চাখেন ওপরমহল , আমরা চুকাই দামটা খালি।
সেই মাছিতে রোগ ছড়ালে, থোড়াই সেটার খবর আসে
রুগ্ন মানুষ ভালোই জানে আসবে না কেউ তাদের পাশে
মিডিয়া শাসক পুলিশ ছাড়ো, বিরোধীরাও হাত গুটাবে,
হতেও পারে , কাল মাছিরা ওদের হয়েই হুল ফুটাবে,
রাজনীতিতে চাপান উতোর কক্ষনো না পক্ষবিহীন,
নিজের ভোটার না হলে চোখ অশ্রুসজল হয় কোনোদিন?
কাজেই এসব চাপান-উতোর ,চ্যানেল জুড়ে বিতর্করা,
ছদ্ম-গণতন্ত্র-রেসের বাইরে থাকা বাতিল ঘোড়া।
যে পালানোর সে পালাবে, যতই তাকে খুঁজুক পুলিশ
ওরাই এখন রাজনীতিময় লোকশাসনের ভয়াল কুলিশ।
সন্দেশে আজ মাছিই খালি, ভোটদাতারা স্রেফ আব্বুলিশ।