১৯৭৫-এ ভারতীয় ওষুধ শিল্প নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করার উদ্দেশ্যে গঠিত এক সংসদীয় কমিটি তার রিপোর্ট পেশ করে, কমিটির প্রধান কংগ্রেসী সাংসদ জয়শুকলাল হাতি-র নামে এই কমিটির পরিচিতি হাতি কমিটি নামে।
- এই কমিটি ১১৭টা ওষুধের এক তালিকার কথা বলে যেগুলো দিয়ে ভারতের জনসংখ্যার অধিকাংশের অধিকাংশ অসুখের চিকিৎসা করা যায়।
- এই ওষুধগুলো যাতে যথাযথ পরিমাণে উৎপাদন করা হয় তার ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়।
- সুপারিশ করা হয় ব্র্যান্ড নামের বদলে জেনেরিক নাম ব্যবহারের।
- সুপারিশ ছিল ওষুধের মূল্যনিয়ন্ত্রণের যাতে জীবনদায়ী এবং অত্যাবশ্যক ওষুধ সহজলভ্য হয়।
- যাতে দেশের ওষুধ-শিল্প বিকশিত হতে পারে তাই নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ দেশী শিল্পের জন্য সংরক্ষিত করার কথা বলা হয়।
- ওষুধ-শিল্পে বহুজাতিকের প্রভাব কমানোর জন্য বিদেশী পুঁজি তৎক্ষণাৎ কমিয়ে ৪০% করার কথা বলা হয়, পরে আরও কমিয়ে ২৬%। হাতি কমিটি বাস্তবত ওষুধ-শিল্পের জাতীয়করণের পক্ষে ছিল।
১৯৭৮-এ আলমা-আটার সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘২০০০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য’-এর ঘোষণা করে। তারই প্রস্তুতিতে ১৯৭৭-এ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রথম মডেল অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকা (1st Model List of Essential Medicines)। বলা হয় এই তালিকার ২০৮টা ওষুধ দিয়ে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত মানুষের প্রায় সমস্ত রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব।
১৯৮২-তে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের এরশাদের সামরিক সরকার জাতীয় ওষুধ নীতি প্রনয়ন করে।
- একাধিক ওষুধের নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশ্রণ (Fixed Dose Combination) নিষিদ্ধ করা হয়।
- বিভিন্ন ফর্মুলেশনে কোডিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।
- বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয় কাফ মিক্সচার, থ্রোট লজেন্স, গ্রাইপ ওয়াটার, টনিক এবং এনজাইম মিশ্রণ।
- যে সব ওষুধের কাঁচা মাল দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদিত হয়, সেগুলো আমদানী করা নিষিদ্ধ করা হয়।
- এন্টাসিড ও ভিটামিন দেশীয় শিল্পে তৈরীর জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়, বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানীগুলোকে বলা হয় তারা যেন কেবল উচ্চতর প্রযুক্তির ওষুধ উৎপাদনে জোর দেয়।
- যে সব ওষুধ ইতিমধ্যে বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে সেগুলোর বিদেশী ব্র্যান্ডকে লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।
- ১০৯৯ টা ক্ষতিকর বা অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়, ১৪৬টা ওষুধ এক বছর পরে বাজার থেকে তুলে নিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়ে সুপারিশ দেওয়ার জন্য এক বিশেষজ্ঞ দল গঠন করেছিল। সেই দল সুপারিশ করেঃ—
- দেশের জন্য ১৫০টা ওষুধের এক অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকা তৈরী করা হোক।
- ওষুধের পেটেন্ট দেওয়া হবে না, ওষুধ তৈরীর পদ্ধতির ওপর সীমিত সময়ের পেটেন্ট দেওয়া হোক।
- সরকার ওষুধ, ওষুধের কাঁচামাল, প্যাকেজিং দ্রব্য, ইত্যাদির মূল্যনিয়ন্ত্রণ করুক।
- শক্তিশালী ওষুধ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে উঠুক।
এই সব ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের স্বাস্থ্য আন্দোলনের কর্মীরাও যুক্তিসঙ্গত ওষুধ নীতির স্বপক্ষে আন্দোলন জোরদার করেন। ১৯৮২-তে গড়ে ওঠে অল ইন্ডিয়া ড্রাগ একশন নেটওয়ার্ক (AIDAN), ১৯৮৪-তে পশ্চিমবঙ্গে গড়ে ওঠে ওয়েস্ট বেঙ্গল ড্রাগ একশন ফোরাম (WBDAF)। ড্রাগ একশন ফোরামের পুস্তিকা ‘ওষুধের জন্য মানুষ, না মানুষের জন্য ওষুধ’ সাধারণ মানুষের মতো প্রভাবিত করেছিল অনেক ডাক্তারকেও। ড্রাগ একশন ফোরামের পত্রিকা ছিল ‘ড্রাগ, ডিজিজ, ডক্টর’—যুক্তিসঙ্গত চিকিৎসার বুলেটিন। ৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সংগঠকদের মতপার্থক্যে এই পত্রিকা দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন তার ভূমিকা পালন করতে থাকে ফাউন্ডেশন ফর হেলথ একশনের BODHI—বুলেটিন অফ ড্রাগ এন্ড হেলথ ইনফর্মেশন।
ওষুধের যুক্তিসঙ্গত ব্যবহারের আন্দোলন যে নীতিগুলোকে সামনে হাজির করে সেগুলো চিকিৎসায় প্রয়োগের বড় মাপের পরীক্ষাগার ছিল ছত্তিশগড়ের শহীদ হাসপাতাল। ১৯৯৫-এ কানোরিয়ার শ্রমিকদের উদ্যোগে যে স্বাস্থ্য কর্মসূচীর শুরু, সেই শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও যুক্তিসঙ্গত চিকিৎসা নিয়ে লাগাতার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া হয়।
২০০০ সাল থেকে ফাউন্ডেশন ফর হেলথ একশন-এর সঙ্গে শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ যৌথভাবে এক বাংলা দ্বিমাসিক বার করা শুরু করে। অসুখ-বিসুখ নামের এই পত্রিকা সাধারণ মানুষের মধ্যে যুক্তিসঙ্গত চিকিৎসার প্রচারের পাশাপাশি গ্রামীণ চিকিৎসকদের যুক্তিসঙ্গত চিকিৎসায় প্রশিক্ষিত করারও হাতিয়ার ছিল। ২০১১-এর সেপ্টেম্বর থেকে সেই কাজের নতুন হাতিয়ার স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা—স্বাস্থ্যের বৃত্তে।
ওষুধের যুক্তিসঙ্গত ব্যবহারে যা যা করা হয়, সেগুলো এই রকমঃ—
১। অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকায় সীমিত থাকা, তার বাইরে ওষুধ ব্যবহার না করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা জাতীয় তালিকার যে কোনও একটাকে অনুসরণ করা যায়। ২০১৫-র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় আছে ৪০৮টা ওষুধ, জাতীয় তালিকায় ৩৭৬টা।
২। জেনেরিক নাম অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অব্যবসায়িক নামে ওষুধ লেখা।
- ওষুধবিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের বইপত্রে-পড়াশুনায় কেবল আন্তর্জাতিক অব্যবসায়িক নামই ব্যবহৃত হয়।
- চিকিৎসাবিজ্ঞানের জার্নাল ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশনাগুলিতেও কেবল আন্তর্জাতিক অব্যবসায়িক নাম ব্যবহার করা হয় ।
- বাজারে একাধিক ওষুধের নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশ্রণে তৈরী প্রচুর ফর্মুলেশন পাওয়া যায়, যেগুলির অধিকাংশই অযৌক্তিক ও অপ্রয়োজনীয়। আন্তর্জাতিক অব্যবসায়িক নাম ব্যবহার চালু হলে ওষুধ কোম্পানীগুলো বেশী সংখ্যায় একক ওষুধের ফর্মুলেশন উৎপাদন ও বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
- ওষুধের নাম দেখেই সেটা কোন ধরনের ওষুধ বোঝা সহজ হবে। একই ওষুধের নানান ব্র্যান্ড নামে মিল থাকে না, ফলে বিভ্রান্তি তৈরী হয়। এই বিভ্রান্তিও হয় না জেনেরিক নাম ব্যবহারে।
- দেখা গেছে আন্তর্জাতিক অব্যবসায়িক নামের ওষুধগুলির দাম সাধারণভাবে সেই ওষুধেরই ব্র্যান্ডগুলোর চেয়ে অনেক কম।
- কেবল আন্তর্জাতিক অব্যবসায়িক নাম ব্যবহার করা হলে ডাক্তারদেরও অল্প কিছু নাম মনে রাখলেই হয়, একগাদা ব্র্যান্ড নাম মনে রাখতে হয় না।
- আন্তর্জাতিক অব্যবসায়িক নাম ব্যবহৃত হলে জাতীয় অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকা তৈরী করা সহজ হয়।
- কেবল আন্তর্জাতিক অব্যবসায়িক নাম চললে ব্র্যান্ড নামের প্রচার করতে হয় না, বিজ্ঞাপনে খরচ কমে, ওষুধের দামও কমে।
- দেখা যায় ওষুধের সম্পর্কে সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসাকর্মীদের ধোঁয়াশা কাটে আন্তর্জাতিক অব্যবসায়িক নাম ব্যবহারে।
৩। সাধারণত নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশ্রণ (Fixed Dose Combination) ওষুধ ব্যবহার না করা। নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশ্রণ ওষুধ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অযৌক্তিক।
- এক্ষেত্রে একটা ওষুধের মাত্রা অপরিবর্তিত রেখে অন্যটার মাত্রা কমানো বাড়ানো যায় না।
- মিশ্রণের উপাদান ওষুধগুলো আলাদা আলাদা কিনলে যা দাম পড়ে, সাধারণত মিশ্রণ ওষুধের দাম তার চেয়ে বেশি হয়।
- দেখা গেছে উপাদানগুলোর মোট পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার চেয়ে বেশি হয় নির্দিষ্ট মাত্রার মিশ্রণ ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ।
৪। অপ্রয়োজনীয়, ক্ষতিকর এবং নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার না করা। এই ব্যাপারে পথ-নির্দেশ করতে পারে কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকা। যদিও কতোগুলো বিষয় মনে রাখার—
- নিষিদ্ধ হওয়ার বহু বছর পরেও নিষিদ্ধ ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়।
- নিষিদ্ধ করার পরেও অনেক সময় সরকার পিছু হঠে ওষুধ কারখানার মালিকদের সংস্থার চাপে, কখনও কোর্টের স্টে অর্ডারে।
উন্নত দেশগুলোতে যেসব রাসায়নিক ওষুধের তকমা পায়নি, সেগুলোকে ব্যবহার না করাই ভালো একদিক থেকে।
৫। যেখানে ওষুধ ছাড়াই কাজ চলে সেখানে ওষুধ না দেওয়া।
- কাশিতে কাশির সিরাপ না খেয়ে গরম জলের ভাপ দেওয়া, যাতে কফ পাতলা হয়ে সহজে বেরিয়ে আসে।
- ডায়রিয়ার প্যাকেটের ও আর এস না দিয়ে বাড়িতে জলে নুন-চিনি-লেবু মিশিয়ে খাওয়ানো।
- জ্বর কমাতে জল পোঁছা।
- কোষ্ঠবদ্ধতায় প্রথমেই রেচক না দিয়ে শাক-সব্জি, ভূষিশুদ্ধ আটার রুটি, জল বেশি খেতে বলা। …
কিন্তু কেবল ওষুধের যুক্তিসঙ্গত ব্যবহারই যথেষ্ট নয়।
যৌক্তিক ওষুধও অযৌক্তিক ভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহার তখনই হতে পারে যখন যুক্তিসঙ্গত ভাবে রোগ নির্ণয় করা হয়।
রোগ-নির্ণয় করার জন্য ডাক্তাররা সাধারণত নির্বিচারে ব্যবহার করেন প্যাথোলজি পরীক্ষা, এক্স-রে, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, কখনও সি টি স্ক্যান, এম আর আই স্ক্যান…।
ডাক্তারী পড়ানোর সময় কিন্তু এভাবে রোগ-নির্ণয় করতে শেখানো হয় না। ডাক্তারী ছাত্র-ছাত্রীদের শেখানো হয় কিভাবে রোগীর বিস্তারিত ইতিহাস নিতে হয়, কিভাবে শারীরিক পরীক্ষা করতে হয়, তার মধ্যে দিয়ে কিভাবে নানান সম্ভাব্য রোগ (differential diagnosis), সাময়িক রোগ-নির্ণয় (provisional diagnosis) হয়ে চূড়ান্ত রোগ নির্ণীত হয় (final diagnosis)। শেখানো হয় কখন কোন ল্যাবরেটরী পরীক্ষা করা দরকার।
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ল্যাবরেটরী পরীক্ষার প্রয়োজনই হয় না। দেখা গেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে শারীরিক পরীক্ষাও নয়, কেবল ইতিহাস নিয়েই রোগ-নির্ণয় করা যায়, প্রায় ৭০-৮০% ক্ষেত্রে।
কিন্তু মেডিকাল ছাত্র-ছাত্রী ডাক্তার হওয়ার পর এভাবে রোগ-নির্ণয় করেন না। কখনও প্রচুর রোগীর চাপ, সময় কম। কারুর ক্ষেত্রে পরীক্ষায় কাট মানির প্রলোভন।
শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ পরিচালিত চেঙ্গাইলের শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাউড়িয়া শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাইনান শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বেলিয়াতোড়ের মদন মুখার্জী স্মৃতি জনস্বাস্থ্য কেন্দ্র, মাথাভাঙ্গার যুক্তিসঙ্গত চিকিৎসাকেন্দ্র, চন্ডীপুরের ডা নর্মান বেথুন জনস্বাস্থ্য কেন্দ্র, বারাসতের যুক্তিসঙ্গত চিকিৎসাকেন্দ্র ছাড়াও বাঁকুড়ার আমাদের হাসপাতাল এবং সরবেড়িয়ার সুন্দরবন শ্রমজীবী হাসপাতালে এইভাবে রোগ-নির্ণয় করা হয় প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্যে ইতিহাস নেওয়ার বিশেষ ফর্ম ব্যবহার করে।
এই মডেলগুলো দেখিয়ে দিচ্ছে কম খরচে যুক্তিসঙ্গত আধুনিক চিকিৎসা করা যায়। দেশের ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত চিকিৎসার বিপক্ষে আছে চিকিৎসার পণ্যরূপ। ওষুধ কোম্পানী ওষুধ তৈরী করছে মুনাফার জন্য, ডাক্তার চিকিৎসা করে রোগীর কাছ থেকে পয়সা নিচ্ছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষাও পণ্য—বেশী পরীক্ষা হলে ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের লাভ, সঙ্গে কখনও ডাক্তারেরও।
যুক্তিসঙ্গত চিকিৎসার জন্য এমন এক ব্যবস্থা দরকার যেখানেঃ
- মানুষের প্রয়োজনেই কেবল ওষুধ উৎপাদিত হবে, কোন অপ্রয়োজনীয় বা ক্ষতিকর ওষুধ তৈরীই হবে না।
- ওষুধ তৈরী হবে কেবল অব্যবসায়িক নামে, ডাক্তারদের ব্র্যান্ড নামে না লেখার জন্য নির্দেশ দিতে হবে না।
- ডাক্তাররা যেখানে Standard Treatment Guidelines বা প্রামাণ্য চিকিৎসাবিধি মেনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাবেন এবং ওষুধ লিখবেন।
- ওষুধের ব্যবহার, রূপ, মাত্রা, নিষেধ, সাবধানতা, পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া, অন্য ওষুধের সঙ্গে আন্তঃক্রিয়া, সংরক্ষণ সম্পর্কে ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্মীদের জানানোর জন্য থাকবে Drug Formulary।
- ডাক্তার দেখাতে, পরীক্ষা করাতে, ওষুধ পেতে পয়সা খরচ করতে হবে না রোগীকে। সরকার খরচ মেটাবে করের টাকা থেকে।
এমন একটা ব্যবস্থা Universal Health Care, সেই ব্যবস্থাতেই আসলে যুক্তিসঙ্গত চিকিৎসা বাস্তব করা যাবে।
অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিন্তু কিছুটা কম চর্চিত বিষয়কে আবার তুলে আনার জন্য ধন্যবাদ।