উদাহরণস্বরূপ কোভিশিল্ডের কথা ধরা যাক।
ট্রায়াল চলাকালীন একজনকে একটি ডোজ দেওয়া হলো, ও তার রক্তে করোনা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা এন্টিবডি যাচাই করা হলো
১. দেখা গেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এন্টিবডি দেখা গেছে ( ভালো খবর)
২. কিন্তু এন্টিবডির পরিমাণ করোনা প্রতিরোধে যথেষ্ট নয়।
তখনই দ্বিতীয় ডোজ দেবার প্রস্তাব উঠলো (হয়তো আরো ডোজ ভবিষ্যতের জন্য)। ঠিক হোলো দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে ২৮ দিন বাদে (সব দেশেই প্রথমে যা ছিল)।
এদিকে প্রথম ডোজ দেবার পর দেহে করোনা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা এন্টিবডির মাত্রা দেখা গেল ৩-৪ মাস অবধি মোটামুটি একই থাকছে।
তাই যে সব দেশে গণ টিকাকরণ কর্মসূচি নেবার ফলে ভ্যাক্সিনের অভাব দেখা দেয় সেখানে টিকার দুটি ডোজের মধ্যে গ্যাপ ১ মাস থেকে বাড়িয়ে ২-৩ মাস করা হয়ে থাকে যাতে অধিক সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া যায়।
তাই করোনা টিকার দুটি ডোজের মধ্যে গ্যাপ একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত কিন্তু পেছনের বিজ্ঞানটা বোঝাবার চেষ্টা করলাম।