অনেক বছর আগের কথা বলছি।
বারাসতে আমার মামাবাড়িও। আমার দিদিমা, যাঁকে আমি দিদিভাই বলে ডাকতাম তিনি তখন প্রবল অসুস্থ। পায়ে ডায়াবেটিক গ্যাঙ্গ্রিন। কোমায় আচ্ছন্ন অবস্থায় বারাসত হাসপাতালে ভর্তি। আমি মেডিকেল কলেজের ছাত্র। দিদিভাই সেইবারের অসুস্থতাতেই মারা যান, মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাবার পর।
যে কদিন বারাসত হাসপাতালে ছিলেন, দেখতে যেতাম চারবেলাই। পায়ে হাঁটা পথ। হরিতলা হয়ে। সেই পথে একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের চেম্বার পড়ত। রোগীর সংখ্যাও মন্দ না।
কথা সেটা না। সেই চেম্বারের বাইরে ডাক্তারের যে নেমপ্লেট বা বিজ্ঞাপন ছিল সেটা বলতেই আজকের এই অবতারণা।
প্যাথি নির্বিশেষে হরেক কিসিমের ডাক্তারের চেম্বারের সামনেই ডাক্তারের গুণপনা আর হাতযশের কথা সাতখান করে লেখা থাকে। গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, আরও কত কী। মফস্বল শহরে সাইকিয়াট্রিস্টএর চেম্বারের বাইরে লেখা দেখেছি, সকল রকম মগজ যত্ন সহকারে পরীক্ষা করা হয়।
যাক সে কথা, আসল কথায় ফিরি।
সেই হোমিওপ্যাথি ডাক্তারবাবুর বিবরণ ছিল এরকম। সকল পুরাতন ও অতি পুরাতন জটিল কেসের চিকিৎসা করা হয়। এই অবধি নতুন নয়। অনেকের চেম্বারের বাইরেই লেখা থাকে।
বারাসত হাসপাতালের অনতিদূরের এই চেম্বারে নতুন অবাক করা কথা যেটা লেখা ছিল তা হল,
স্পেশালিস্ট ইন হসপিটাল রিজেক্টেড কেসেস্।
অনেক পরে, আমার বারাসতবাসের কালে সেই চেম্বার খুঁজে পাইনি আর।
অতি সাম্প্রতিক এক ঘটনায় সেই চেম্বারটির কথা মনে পড়ল।
হসপিটাল রিজেক্টেড এক কেসের জন্য খুব দরকার। কম্যাণ্ড হসপিটাল ভর্তি নেবে না জানিয়েছে। পরিষ্কার জানিয়েছে, দেশের সেবা যারা করে তাদের জন্যই ওই হাসপাতাল। চোরেদের ভর্তি করা হয় না সেখানে।
★