বাংলার মাটি, বাংলার জলে,
ক্ষমতার কিছু হ্যাংলার কলে,
তোষণ দূষণে বিকৃত হয়ে ম্লান হলো রবিগীতি,
বারফট্টাইয়ে কিছু হামবড়া,
পূর্ণ করেছে পাপের যে ঘড়া,
পুণ্যশ্লোকের চরণে চরণে সেখানে শোকের স্থিতি।
বাংলার মাটি, বাংলার জলে,
ঘোলা করে কারা মাছ ধরে চলে
রবীন্দ্রনাথ হয়েছেন টোপ তাদের সে বঁড়শিতে
সং-কৃত নানা খেয়ালিপনাতে
সংস্কৃতি দেখে আঁধার ঘনাতে,
স্বরচিত গীতি রবি-স্ট্যাম্প দিয়ে বাঁধা ভোট-তল্পিতে।
বাংলার মাটি, বাংলার জলে,
মাকালের গাছ ইদানিং ফলে,
আহা কি বাহার, সাহারায় যেন ক্যাকটাস কাঁটাওলা,
রবীন্দ্রগীতি ‘ ইমপ্রুভ’ করে,
বাজাচ্ছে বুক ভাবনা-হাঘরে,
চেনা সুরে সেই গোচোনা লিরিকই গায় কত ফাটা গলা।
বাংলার মাটি, বাংলার জলে,
পিছলে অতীত নাক কান মলে,
কেন যে বাঙালি পেয়েছিলো সেই অমল রবি’র ছোঁয়া,
মলিন করা যে যায় সূর্যকে,
না দেখলে মোটে মানতো না লোকে,
বাংলা-ভাষীরই হাতে দেখো তাঁর ইজ্জত গেলো খোয়া।
বলা তো যায় না কিছুদিন বাদে,
বাকি সৃষ্টিও বদলাবে ছাঁদে,
নি-বাক স্তাবকে ভরা দেশে সে তো ছেলের হাতের মোয়া।
ক্ষমা চাই রবি, বাঁচাতে পারিনি,
স্বর তুলবে না দেশ কোনদিনই,
অপমানে নামা তোমার চরণ ব্যর্থ অশ্রু-ধোয়া।