ব্যথার অচলায়তন অতিক্রমণের এক প্রয়াস পর্ব ৫
পেইন-ইন্সটিটিউটের লক্ষ্য
ইএসআই-এর পেইন ইনস্টিটিউট কোনো হাসপাতালের আদলে তৈরি হয়নি। পরিস্থিতি-মানুষের প্রয়োজন- কিছু ব্যক্তির ঐকান্তিক চেষ্টা ও সদিচ্ছাই ছিল এর ভিত্তি প্রস্তর। এরকম ইনস্টিটিউট ভারতবর্ষের কোথাও নেই, বিদেশে কোথাও আছে কিনা তা অবশ্য আমার জানা নেই। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই একটি লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য থাকে। সেই প্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে গড়ে ওঠার সময়েই এই লক্ষ্যগুলি আরো স্পষ্ট হতে থাকে। প্রতিষ্ঠান কলেবরে বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গেই কাজের মধ্যে দিয়ে উদ্দেশ্যগুলিও সামনে আসে। ভিশনটা আরো পরিষ্কার হয়। পেইন ইনস্টিটিউটের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছিল।
ট্রিটমেন্ট
প্রতিষ্ঠানের প্রথম উদ্দেশ্যই ছিল মানুষের চিকিৎসা করা। রোগী, তা সে ক্যান্সারের ব্যথার হোক বা শিরদাঁড়ার ব্যথা বা নার্ভের ব্যথা্, যেগুলো সহজে সারে না, সেই সব রোগীদের চিকিৎসা করা, আউটডোরে দেখা, যাদের বাড়ি অনেক দূরে, যাতায়াতের সমস্যা আছে, তাদের ভর্তি রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হত। প্রথমদিকে শিয়ালদা ইএসআই-তে শুধুমাত্র ব্যথার রোগীদের জন্য তিরিশটা বেড ছিল। এমনটা কোন সরকারি হাসপাতালে নেই। সাধারণ পেশেন্টের সঙ্গে পেলিয়েটিভ কেয়ারের রোগীদেরও ভর্তি রেখে উপশম চিকিৎসা শুরু হয়েছিল এখানে। পেলিয়েটিভ চিকিৎসা বলতে বোঝায় যেসব রোগীরা ব্যথা জর্জরিত, মুমূর্ষু অবস্থায় নিজের মৃত্যুর দিন গুনছে, যাদের ক্যান্সার বা অন্য কোনো রোগ যা আর সেরে উঠবে না তাদের দেখাশোনা করা, যন্ত্রণা কমানোর চেষ্টা করা। এছাড়াও যাদের স্লিপ-ডিস্ক হয়, যাদের কোমরের অপারেশনের পরেও সমস্যা কমেনি, সেই ধরনের রোগীকেও ভর্তি করা হত।
বিদেশের ওয়ার্কশপ থেকে বিভিন্ন ধরনের ইন্টারভেনশান ব্যবহার করে ব্যথা কমানোর যে চিকিৎসা পদ্ধতি শিখে এসেছিলাম, পেইন ইনস্টিটিউটের অপারেশন থিয়েটারে নতুন যন্ত্র দিয়ে সেই ভাবে চিকিৎসা করতাম। এগুলো খুবই সুক্ষ্ম অপারেশন পদ্ধতি যা সঠিকভাবে নিয়ম মেনে করতে হয়। সুতরাং আউটডোর-ইনডোর-অপারেশন এই তিন ধরনের চিকিৎসাই পেইন ইনস্টিটিউটে শুরু হয়েছিল। অনেক চিকিৎসায় রোগীদের শারীরিক প্রয়োজনে অন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হতো। বিশেষ করে নিউরোলজিস্টকে দেখিয়ে নেওয়া বা প্রয়োজনে ফিজিক্যাল মেডিসিনের চিকিৎসকের কাছে পাঠানো। ফিজিক্যাল মেডিসিনের জন্য সাধারণত পিজির রিউমাটলজির চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হতো। রোগীদের যেটুকু সমস্যা বুঝতাম সেইটুকুই চিকিৎসা করতাম, যেটুকু আমি বুঝতে পারতাম না, সেগুলো কখনোই করতাম না, বরং যেসব চিকিৎসক বোঝেন তাঁদের কাছে পাঠাতাম। এইভাবে আমাদের ইনস্টিটিউটে একটা মাল্টি ডিসিপ্লেনারি ম্যানেজমেন্ট তৈরি হয়ে যায়। যার সাহায্যে চিকিৎসা অনেক বেশি ফলপ্রসূ হয়। আমরা মনে করি এরকম ভাবেই চিকিৎসা হওয়া উচিত।
ট্রেনিং
পেইন ইনস্টিটিউট সম্পূর্ণতা পায় ছাত্রদের ট্রেনিং-এর মাধ্যমে। এই ধরনের ট্রেনিং আমাদের দেশে তখনও কোথাও ছিল না, শুধু আমাদের দেশে কেন বিদেশেও এই ধরনের ট্রেনিং প্রোগ্রাম খুব কমই আছে। অথচ ডাক্তাররা এই ট্রেনিং-এর মাধ্যমে পেশাগত রোগ ছাড়াও রোগীর বহু সমস্যার সমাধান করতে পারবেন, যার সাহায্যে সমাজের বহু মানুষকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। সেই কারণেই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট তৈরি করা, যাতে ভবিষ্যতে ডাক্তাররা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে গিয়ে ব্যথা নিয়ে কাজ করতে পারেন। এই ট্রেনিংয়ে তাঁদের পড়ানো হয়, ক্লাস নেওয়া হয়, আউটডোরে দেখিয়ে দেওয়া হয় কিভাবে ব্যথার চিকিৎসা করতে হবে, অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্র ব্যবহার থেকে ওটি মানেজমেন্ট, সবই তাঁদের শেখানো হয়। বর্তমানে পেইন ইনস্টিটিউটের অনেক ছাত্র স্বাধীন ভাবে নানান কাজ করছেন।
গবেষণা
পেইন ইনস্টিটিউটের তৃতীয় উদ্দেশ্য ছিল গবেষণা। ইনস্টিটিউট শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই পেইন নিয়ে গবেষণার বিষয়টি মাথায় ছিল। ইএসআই-তে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই লক্ষ্য করতাম অসংখ্য মানুষ কিভাবে ব্যাক-পেইনে ভুগছেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই চটকলের শ্রমিক। ইএসআই-এর অন্তর্ভুক্ত কুড়ি লক্ষ কর্মচারী আছেন, এবার যদি তাঁদের বাড়ির লোক ধরা হয়, তাহলে সেই সংখ্যাটা দাঁড়ায় প্রায় এক কোটি। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ ইএসআই থেকে চিকিৎসা পান। তার মধ্যে কোমরের ব্যথার রোগী অনেক। তাঁদের বেশিরভাগটই জুটমিলে কাজ করেন। যাঁরা আসছেন, তাঁদের কারো সার্জারি হয়েছে, কারো জয়েন্টে চোট লেগেছে, বা অন্যান্য কোনো সমস্যায় কোমরে ব্যথা। জুটমিল ওয়ার্কারদের কোমরে ব্যথা নিয়ে প্রথম যে প্রশ্ন তৈরি হয় তা হল অন্য সব ধরনের কাজেই পরিশ্রম হলেও কেন জুট মিলে কাজ করা লোকেদেরই কোমরের ব্যথা বেশি হচ্ছে?
সরকারের কাছে আবেদন করি। কেন এমন হচ্ছে- এই বিষয়টা নিয়ে আমরা গবেষণা করতে চাই। আগেই বলেছি গবেষণার বিষয়টা অনেক দিন ধরেই মাথায় ছিল। শেষ অবধি জুটমিল ওয়ার্কারদের কোমর ব্যথার কারণ খুঁজে বের করতে সরকারি হাসপাতালে কাজ শুরু হয়। জানতাম জুটমিল ওয়ার্কারদের কোমরের ব্যথার কারণ খুঁজে বের করতে পারলে এত রোগীকে আর কষ্ট করে হাসপাতালে আসতে হবে না। প্রপোজাল পাঠাই এবং ডিরেক্টরকে সমস্ত বিষয়টা জানাই। যদিও এই কাজের খরচ নিয়ে তাদের প্রশ্ন থাকবে সেটা আশঙ্কা করেছিলাম। তাই উপায়টা ভেবেই রেখেছিলাম। আমি ওনাকে জানাই, লেবার ওয়েলফেয়ার বোর্ড আছে। যদি ওখান থেকে কিছু টাকা পয়সা পাওয়া যায়, তাহলে কিছু শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের এই কাজে যুক্ত করতে পারি। ওরা জুটমিলে গিয়ে ছবি তুলবে, কর্মীদের রোগের ইতিহাস নেবে, কর্মীদের কোমরের ব্যথা আছে কি না তা জানবে, কে কোন ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন সেই তথ্য নেবে, কত দিন কাজ করছেন, কি ধরনের কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, সব তথ্য নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে এটা দেখা হবে যে শ্রমিকরা কদিন কাজ করছেন বা তাঁদের বয়স কত, তাঁরা ধূমপান বা মদ্যপান করছেন কিনা। এই ধরনের অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। গবেষণার জন্য এই প্রশ্নগুলি তৈরি করা হয়েছিল। আমরা সেগুলোকে পাঠালাম। কিন্তু লেবার ওয়েলফেয়ার বোর্ড পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিল, এই কাজের জন্য তাদের কাছে অত টাকা নেই। তখন আমি খবর পাই যে ন্যাশনাল জুট বোর্ড এই ধরনের রিসার্চ ওয়ার্ক-কে সাপোর্ট করে। তারা নির্দিষ্ট একটি অংকের টাকা জুটমিল ওয়ার্কারদের কল্যাণের জন্য খরচ করে। ন্যাশনাল জুট বোর্ডের অফিস পার্ক স্ট্রিটে। খবর নিয়ে জানতে পারলাম অত্রি ভট্টাচার্য হলেন ওখানকার সেক্রেটারি। সোজা ওনার কাছে চলে যাই।
ন্যাশনাল জুট বোর্ডের সেক্রেটারির মুখোমুখি হয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে তাঁকে আমাদের সমস্যা জানাই। আমাদের মূল উদ্দেশ্য যে জুট লেবারদের কোমরের ব্যথার কারণ খুঁজে বের করা, সেটিও পরিষ্কারভাবে বলি। আমাদের প্রস্তাব ওনাদের বিশ্বাস অর্জন করে। ওনারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্পেশালিস্টদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করে দেন। সেই টিমে স্ট্যাটিস্টিশিয়ান (?) ডা. অমিত চক্রবর্তী, ডা. প্রশান্ত রায় কর্মকার ও জুটের স্পেশালিস্ট অনিন্দ্য মজুমদার, যাদবপুরের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার অভিজিত চন্দ ছিলেন। প্রপোজাল দেওয়া হলো। ওনারাই ঠিক করে দিলেন কত জন শ্রমিককে নিয়ে কাজ করা হবে। সারা দেশে যতগুলো জুট মিল ছিল, তার মধ্যে থেকে আটটিকে নির্বাচন করা হলো। পশ্চিমবঙ্গের হুকুম চাঁদ জুট মিল, আসামের একটা, অন্ধ্রের শ্রীকৃষ্ণ জুটমিল ইত্যাদি। প্রত্যেকটা জুট মিলে নির্দিষ্ট সংখ্যা অনুযায়ী তথ্য নেওয়া হয়। মোট ৭০০ জনের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছিলাম। তাঁদের সম্পুর্ণ তথ্য নেওয়া হয়। কাজ করতে করতেই বুঝতে পারি সমীক্ষার কাজ সম্পূর্ণ করতে অন্তত দু বছর সময় লাগবে। খুব সহজ ভাবেই হইহই করে একটা বড় কাজ করা হয়ে যায়। এই রিসার্চ পাবলিশ হয়।
দেখা যায় যেসব জুট মিল শ্রমিকরা ২০ কেজির বেশি ওজন তুলছেন বা একটানা কাজ করছেন তাঁদের মধ্যে ৫৫ শতাংশেরই লো-ব্যাক পেইন বেশি হচ্ছে। এই রিপোর্ট পাবলিশ করার পর চারিদিকে হইচই পড়ে গিয়েছিল। তখন একটা জার্নালে আমাদের গবেষণা পত্র পাবলিশ হয়েছিল। এই ভাবেই পেইন ইনস্টিটিউটে গবেষণার কাজও চলতে থাকে।
আমাদের প্রথম প্রকাশিত গবেষণা পত্রটিতে যেসব সমস্যা উঠে এসেছিল, তার সমাধানে কি করণীয় আর কি করণীয় নয় তার একটি তালিকাও আমরা প্রত্যেকটা জুট মিলে পাঠিয়েছিলাম। সেই নিয়মাবলীর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য পরামর্শ ছিল, যেসব শ্রমিকদের ওঠানামা করতে সমস্যা হচ্ছে তাঁদের জন্য কারখানায় চেইন-পুলের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রত্যেকেরই প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করা দরকার। সঙ্গে শরীরের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কাজের মাঝে কিছুক্ষন পর পর বিরতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই কাজে আর বেশিদূর এগোনো সম্ভব হয়নি।
কিন্তু গবেষণা পত্র প্রকাশের মাধ্যমে আমাদের একটা উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছিল। আমরা প্রমাণ করতে পেরেছিলাম কোমরের ব্যথা অকুপেশনাল ডিজিজ অর্থাৎ পেশা সম্পর্কিত রোগ। চটকল শ্রমিকরা তাঁদের কাজের জন্যই বেশি করে কোমরের ব্যথায় ভোগেন। সেই কারণে তাঁরা ভবিষ্যতে এই কাজের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। যদিও এখনো পর্যন্ত অকুপেশনাল ডিজিজ কথাটা ভারতবর্ষে স্বীকৃত নয়। কিন্তু আমার আশা এই পথে হেঁটেই অদূর ভবিষ্যতে অকুপেশনাল ডিজিজের ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে। এইভাবে একেবারে খালি হাতে শুরু করেও পেইন ইনস্টিটিউট দারুণ দারুণ সব কাজ করে আরও এগোতে থাকে। বর্তমানে ট্রিটমেন্ট, ট্রেনিং ও রিসার্চ তিনটি পা মিলিয়ে এগোচ্ছে।
আমাদের প্রতিষ্ঠানের ডাক্তার ছাত্রদের প্রত্যেককেই গবেষণার কাজ করতে হয়। এটা্ তাঁদের ট্রেনিংয়ের একটি অংশ। ছাত্রদের বিভিন্ন গবেষণা পত্র থেকেই আমরা অনেক নতুন নতুন তথ্য জানতে পারি। এখনো পর্যন্ত মোট ২৪টি গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়েছে পেইন ইনস্টিটিউট থেকে, যার প্রত্যেকটি রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কাজে লেগেছে। আমরা নানান ধরনের রোগীর মধ্যে হাঁটুর ব্যথা বেশি পাই। ছাত্রদের গবেষণা থেকেই হাঁটুর ব্যথার যে অনেক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি আছে, তা জানা যায়। এরকমই একটা পদ্ধতি মিরর থেরাপি। যা ফ্যান্টম পেইন বা অশরীরী ব্যথাতে খুব কার্জকরী। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আয়নার সাহায্যে কিভাবে ব্যথাকে সারানো যায় সেটা দেখানো হয়েছে। মিরর থেরাপি পেইন ইনস্টিটিউটকে বিশেষ সম্মান এনে দিয়েছে, এই থেরাপির বিষয়টি উপস্থাপনা করেই সারা ভারতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল পেইন ইনস্টিটিউট। রেডিওফ্রিকোয়েন্সি দিয়েও বহু ব্যথার রোগীকে সারিয়ে তুলেছি আমরা। রোগীদেরকে সুস্থ করে তোলার জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা নিশ্চয়ই তাঁদের হৃদয়কেও ছুঁয়ে যায়। তাইতো রোগীদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা তাঁরা নিজেরাই অনুভব করতে পারেন, যা আর পাঁচটা সরকারি হাসপাতাল থেকে সম্পূর্ণ অন্যরকম। এখানে তাঁরা রোগী হিসেবে যে সম্মানটা পান, সেটা অন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের রোগীদের থেকে আলাদা। তাইতো পেইন ইনস্টিটিউট থেকে রোগীকে রেফার করা হলেও তাঁরা অন্য কোন হাসপাতালে যেতে চান না। আসলে প্রত্যেক রোগীর সম্মান আছে বলে আমাদের যে বিশ্বাস, সেটি একসঙ্গে কাজের মাধ্যমে অন্যদের মধ্যেও প্রসারিত করতে পেরেছিলাম। এইভাবেই রোগী ও ডাক্তারদের মধ্যে একটি পারস্পরিক সম্মানের জায়গা তৈরি হয়ে গিয়েছিল, যেমনটা চেয়েছিলাম। এই একটা বিষয়ে অন্তত ঠিক যেমনটা ভেবেছিলাম তেমনটাই তৈরি করতে পেরেছি।
চলবে…
অনুলিখন: শুক্লা সরকার ও পিয়ালী দে বিশ্বাস