কুস্তি আর ডাক্তারিতে কী কোনো মিল আছে ?রবিকুমারের কথাটা পড়ে থেকেই মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই কোথাও একটা মিল থাকবেই, থাকতেই হবে।
কুস্তির মতো ডাক্তারিতে আমরা প্রতিপক্ষদের শ্রদ্ধা করি। ভয় করিনা। মৃত্যুই আমাদের চরম প্রতিপক্ষ। তার সঙ্গে যুদ্ধে আমরা কখনওই ময়দান ছেড়ে পালাইনা। আমাদের পুরোটাই নিংড়ে দেবার চেষ্টা করি, যাতে হেরে গেলেও কোনো খেদ না থাকে। হার তো সাময়িক। পরে যুদ্ধে জেতার প্রস্তুতি মাত্র। কিন্তু হাল ছেড়ে দেওয়া মানে সত্যিই হেরে যাওয়া।
রবিকুমাররা আবার তাদের নিজেদের জগতে ফিরে যাবে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অনুশীলন শুরু করবে। আমাদের হুজুগ কমে যাবে। আবার চার বছর বাদ আমাদের শীতঘুম ভাঙাবে। কিন্তু ওরা আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গেল জিততে তো সবাই চায়। কিন্তু শুধু মনের জোর দিয়ে জেতা যায় না। জিততে গেলে একটা পরিকাঠামো দরকার। আশাকরি তৃতীয় ঢেউ আসার আগে আমরা আমাদের যুদ্ধ জয়ের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পারবো। অহেতুক প্রাণহানি হবে না। আর সেই যুদ্ধ জয়ের আনন্দ আমরা ভাগ করে নেব রবিকুমারের সঙ্গে।