রোকো মোরাবিটোর 1967-তে তোলা এই ছবি পুরস্কার পেয়েছিল। ইলেকট্রিকের পোলে দেখছেন দুই ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে–চ্যাম্পিয়ন রেন্ডাল আর জে ডি থমসন।
রুটিন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছিলেন তারা, এমন সময় পোলের ওপরকার একটা তার চ্যাম্পিয়নের শরীরে লাগে, চার হাজার ভোল্টেরও বেশি বিদ্যুৎ তার শরীরে ঢোকে। মনে রাখবেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য যে ইলেকট্রিক চেয়ার ব্যবহার করা হয় তাতে লাগে মোটামুটি দুই হাজার ভোল্ট। সঙ্গে সঙ্গে চ্যাম্পিয়নের হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেছিল। থমসন চ্যাম্পিয়নের নিচে ছিলেন। সেফটি হারনেস থাকার জন্য চ্যাম্পিয়ন পড়ে যান নি। থমসন উঠে এলেন। তার পক্ষে সিপিআর দেওয়া সম্ভব ছিল না। তিনি মুখ থেকে মুখে ফু দিতে থাকলেন, ফুসফুসকে সক্রিয় রাখেন যতক্ষণ না চ্যাম্পিয়নের নাড়ি হালকা পাওয়া গেল।
তারপর হারনেস খুলে কাঁধে করে চ্যাম্পিয়নকে নিচে নামিয়ে আনলেন। থমসন ও অন্য শ্রমিকরা সিপিআর করতে থাকলেন যতক্ষণ না চিকিৎসা কর্মী দল এসে পৌঁছায়। চ্যাম্পিয়ন বেঁচে ছিলেন, বেঁচে ছিলেন আরও 35 বছর, 2002 সালে হার্টফেলিওরে তিনি মারা যান। থমসন এখনো বেঁচে আছেন।
বহুল প্রচারিত এই ছবি যেন এক চুম্বনের ছবি–যে চুম্বন জীবন দেয়।