কোভিডের ঢেউ গিয়ে ফাউ দিলো ডেঙ্গি,
হানা তার হানাদার যেন খান চেঙ্গিজ
আজ যে সুস্থ লোক কাল শুনি ভর্তি,
বেড খালি রাখছে না কোভিডের পড়তি।
রেডিওতে রোজ শুনি ঘরে থেকে ক্যালপল,
শুধু ওই ক’টা নাকি মোটে আছে খ্যাঁচকল
হিসি ভারী কমে যাওয়া, নাক দিয়ে রক্ত,
খেঁচুনি বা অজ্ঞানে হেমোরেজ শক তো,
শুধু এই সব হলে নিয়ে যেও দেখাতে
রেডিওতে সরকার রোজ চান শেখাতে।
দু-একটা কথা তাতে থেকে গেছে উহ্যে,
ডাক্তার নার্স যেটা হাড়ে হাড়ে বুঝছে,
ওই সব হয়ে গিয়ে রোগী এলে তারপর,
খুব কম রোগী যাবে জ্বর সেরে তার ঘর,
ওর মানে শক গেছে অনেকটা এগিয়ে,
আগে নিলে হয়তো বা দেওয়া যেতো ঠেকিয়ে।
ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলে জ্বর করে তুচ্ছ,
জনতার হিতে দেওয়া নির্দেশগুচ্ছ,
ডেঙ্গিকে করে ফেলে দুইয়ে দুইয়ে চার যে,
কত যে সে ভয়ানক, আসেনা বিচার্যে,
শেষবেলা রোগী নিলে বেলাশেষ সত্ত্বর,
লঘু যদি কেউ করে সেই গুরু তথ্য’র ,
তাহলে বুঝতে হবে রোগটা সে বোঝেনি,
ঠেকাবার ঠিক পথ ঠেকে তবু খোঁজেনি।
তাও ভালো আজকাল অজানা এ জ্বর নয়,
লেখা যায় ডেঙ্গিটি রোগী-ছুটি- পর্ণ-য়।
সংখ্যাটি বেড়ে গেলে শঙ্কায় সরকার
এই ভুল ভাবনারও ছুটি হওয়া দরকার।
ডেঙ্গি বাড়াতে ঠিক নই অত ক্রুদ্ধ,
যতখানি না দেখে সৎ জ্বর-যুদ্ধ।
আমরা দেখতে চাই জঞ্জাল সাফ সব,
সরকার পাশে আছে , হোক সেটা বাস্তব।
আমাদের না-পসন্দ ঢেকে দেওয়া ঢং-খান
লুকানোর দরকার নেই পরিসংখ্যান,
যারা ছোটো করে দেখে শত্রুর বাহিনী,
যুগে যুগে হারে তারা, জানা সেই কাহিনী।
অবশ্য এই লেখা অরণ্যে কান্না,
জানি জনতার দিকে সেই সব কান না।
পরিবর্তন নেই এ শনির দশারই,
ব্যর্থ শব্দ শুধু লিখে যাই ক’সারি।
আপাতত বাঁচবার পথ শুধু মশারি।