২০০৪ থেকে ২০২৩ এই উনিশ বছর ধরে ডাক্তারি পেশাকে খুব কাছ থেকে দেখে একটাই জিনিস মনে হয়েছে আমার নিজের যে আমি খুব ভেতরে ঢুকতে পারিনি।
ডাক্তারি আমার কাছে জীবন ধারন করার একটা মাধ্যম। সেই জন্য যে কাজটা করি সেটা সততা রেখে করি। খুব উচ্চ প্রত্যাশা রাখিনি। বিশাল ডাক্তার হতে হবে একটা দিনের জন্যেও ভাবনাতে আসেনি আমার। শুধু একটা জিনিস বলতে পারি ডাক্তার হিসেবে যদি চাপ নিতে থাকে কেউ কোনোদিন কেউ বলবে না আহা মানুষটা চাপে আছে।
কোনো ডাক্তার নাম করলে তার চেম্বারে একশোটা রুগী ভীড় করলে লোকে বলবে দেখেছো কত পয়সা করছে। সে-ই দরকার হলে অন্য ডাক্তারকে না দেখিয়ে সেই বিশেষ ডাক্তারকে দেখাতে যাবে। কম রুগী হয় এমন ডাক্তার ও পোষাবে না আবার ডাক্তারের সাফল্য ও ঈর্ষণীয় বিষয় হবে।
ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ডাক্তারের ফেস ভ্যালু ব্যবহার করবে। অথচ সেই প্রতিষ্ঠান দাঁড়িয়ে গেলে ডাক্তারকে ছুঁড়ে ফেলতে দ্বিধা করবে না। সব শেষে যখন মানুষটা ছিবড়ে হয়ে যাবে তখন সমাজ বলবে বাইরে চামড়া আছে ভেতরে কিছু নেই।
কেনো? জগতের ভার কাঁধে বয়ে বেড়ানোর কোনো দরকার নেই। হাজারটা চেম্বার, হাজারটা ল্যাব বলবে আসুন। কারণ তাদের ব্যবসা ডাক্তার ছাড়া শুরু হবে না। একটা সময়ের পর তারাই এক্সপ্লয়েট করা শুরু করবে।
স্বাস্থ্যে যারা বিনিয়োগ করে ডাক্তার তাদের কাছে মহৎ কিছু নয় বরং তাদের মোট বয়ে বেড়ানোর গাধা মাত্র।
নিজের শর্ত পূর্ণ হলেই কাজ করবো না হলে করবো না। এই শক্ত মানসিকতার অনুশীলনটা ডাক্তারী পড়ার সাথে সাথে তৈরী করা প্রয়োজন।
ডাক্তারকে সমাজ এক্সপ্লয়েট করে এবং বার্ন আউট হতে হতে ডাক্তার সবাইকে এক্সপ্লয়েট করে। নিজের বাইরে একটা রক্ষা কবচ না বানালে এই ব্যাপারটা বন্ধ হবে না।
দিনের শেষে নিজের স্ট্রেস লেভেলটা বোঝা এবং ল্যাদ খাওয়া খুব দরকার। তাতে একটা লেভেলের পর বাকিদের মত হাইফাই দামী গাড়ি কি চার হাজার বর্গফুট ফ্ল্যাট না হলেও চলে যাবে।
কিছু লোক তাতেও এসে কাঠি করবে। বড় ডাক্তারের নাম তুলে ক্ষত করার চেষ্টা করবে এবং পাশাপাশি ব্যবহার করতে চেষ্টা করবে। যতটুকু না করলে অমানবিক লাগে ততটুকু করে তারপর বাইরের দরজা তাদেরও দেখিয়ে দিতে হবে সময় থাকতে।
এর বেশি আর নয়। এই সীমানাটা টানা খুব জরুরী।
দারুন লিখেছিস। দৌড়ালে রোজগার বাড়বে কিন্তু দৌড়ের একটা দাঁড়ি টানা দরকার, নিজের কমফোর্ট জোন এর মধ্যে কাজ করা দরকার যাতে কাজ বোঝা না হয়ে দাঁড়ায়। যতই রোজগার করো তোমার থেকেও বড়লোক, তোমার থেকেও বড়ো গাড়ি বাড়ি কারোর না কারোর থাকবেই, নিজের প্রয়োজন কতটা সেটা জানা দরকার।
এরকম বাস্তভিত্তিক লেখাকে সাধু বাদ জানাই
🙏🙏🙏
একদম ঠিক কথা! ডাক্তারির বেশি ভেতরেও ঢোকার এখন আর পরিস্থিতিও নেই। নিজের যতটুকু মনে হয় করা দরকার ততটুকু করা । নিজের মানসিক শান্তি আর শারীরিক সুস্থ থাকাটাই চেষ্টা করা।
Awesome sir…. U great স্যার…… I proud of u sir…..