অঙ্কুরণ। এক স্বপ্ন পূরণের জায়গা। আসলে যে স্বপ্ন আমরা দেখি তাকে ঠিক খাতায় কলমে ধরা যায় না। কলকাতায় অনেক আইভিএফ সেন্টার আছে, সবাই সাধ্যমত ভালো কাজ করছে। আমি যদি বলি, আমরা একদম অন্যরকম তাহলে সেটা বিজ্ঞাপন মার্কা কথা হয়ে যাবে। আজ কিছু কথা বলি, যেটা আমার মনের কথা, হয়তো সেটা অঙ্কুরণের মিশন, অঙ্কুরণের ভিশন।
আসলে কাজটা একটা পুজোর মতো। তাই পুজোর মতো কেরে বোঝাই। মহালয়াতে মনটা কেমন খুশিতে ভরে ওঠে। মা আসছে। তারপর আসে বিজয়া। পুজোর বেদীতে একা প্রদীপ জ্বলছে। কেউ কোথাও নেই। আইভিএফ ট্রিটমেন্ট যখন শুরু হয় অনেকটা মহালয়ার মতো। চাপা উত্তেজনা। সব আশা বুঝি সফল হবে। কিন্তু অনেকেই হয়তো সেই বিজয়ার প্রদীপের মতো একা জ্বলবে। আর অঙ্কুরণ কাউকে একা থাকতে দেবে না। তার হাত ধরে কানে কানে বলবে, আসছে বছর আবার হবে। আবার ঢাকে কাঠি পড়বে, আবার ঘট বসবে। অঙ্কুরণ তাকে মনের জোর দেবে। বলবে, যদি কেউ মাকে অঞ্জলি দেবার সময় তোমায় বলে, কী রে গণেশ, কার্তিক কবে হবে? কান দেবে না।শুধু মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখো, দেখবে পাশে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ , কার্তিক না থাকলেও তিনি মা। মা যে একটা বোধ। মায়ের বোধন সন্তানকে দেখে হয় না।
সব নিঃসন্তান দম্পতিকে এই মনের জোর দেওয়াটাই হয়তো অঙ্কুরণের কাজ ।
ছবি: ডাঃ Ajoy Biswas