কেউ কেউ স্বয়ং দেয়, আবার কারও বা সন্তানেরা। ফেসবুকের দেওয়ালে অনেকেই দেয় নিজেদের বা মা-বাবার বিয়ের ছবি। অরুণাচল নিজে কোনও দিন দেয়নি নিজের বিয়ের ছবি।
ছেলেরা যখন ছোটো ছিল দু’টো দুঃখ করত তারা। ছোটোছেলে খাদ্যরসিক। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নিজের মায়ের কাছে খোঁজ নিত সেই বিয়ের নেমন্তন্নের মেনু কী ছিল- “হ্যাঁ মা, রাধাবল্লভীও ছিল আবার পোলাও ও? দই মিষ্টির পরে আবার পাকা আম একটা করে?” এটা ছিল বিয়ে যেখানে হয়েছিল, সেই জামসেদপুরের ভোজের মেনু। বৌভাতের মেনুও থাকে সন্ধান তালিকায়,
“মাংস নাকি আড়াইখানা ব্যাচের মাঝপথে শেষ হয়ে গেছিল? সত্যি, মা? আবার নাকি খাসি কিনে এনে কেটে রান্না করে দিতে তবে নাকি সেই ব্যাচ কমপ্লিট হয়? সত্যি মা?”
মা মুখ ঝামটা দেয়, -“উঃ, তোর খালি খাওয়া আর খাওয়া!”
-“ইসস্! বাবার বিয়ের নেমন্তন্নটা মিস্ করে গেলাম মাগো!” জিভের জল সামলাতে সামলাতে ছেলে বলে।
অন্য দুঃখটা করে বড় পুত্র। সে আবার শিল্প-সাহিত্য মানে কিঞ্চিৎ বিদ্দ্বজ্জন। সুবিশাল দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে, “সবাই মা-বাবার বিয়ের ছবি দেয়। কত ছবি। পাকা দেখা থেকে শুরু করে বউভাত অবধি। মাঝে লাজাঞ্জলি৷ সাত পাক। খুব কঞ্জুস ছিল আমার দু’টো দাদুই!”
এই যে ছবি না থাকার কারণে অরুণাচল-সুনন্দাকে না বলে তাদের বাবাদের কঞ্জুস বলা, এইটির কারণ ঐতিহাসিক। দু’জনেই বিয়ের সময় কাঠবেকার। তাদের হরমোনাল বা মানসিক আকুলতা দেখে বাবারা জোর করে বিয়ে দিয়েছে তা’ কিন্তু না। অরুণাচলের বংশে বহুদিন নাকি শাশুড়ি পুত্রবধূর দেখা হয় না। শাশুড়িরা স্বর্গে চলে যায়। সেইটি আটকাতেই নাকি এই বাল্যবিবাহের(?) উদ্যোগ!
ছবির কথায় ফেরা যাক। একটা অপ্রাসঙ্গিক কথা তার আগে বলে নিই। লেখার সঙ্গে ছবি তোলার যে ছবি দিয়েছি, সেটা আমার এক মেয়ের। তুলেছে তার মা। সেও আমার আর এক মেয়ে। “চোখে আঙুল দাদা”রা এই খানে হাউজ্ দ্যাটের ভঙ্গিতে আঙুল তুলবে হয় তো। মা আর মেয়ে দু’জনেই আমার মেয়ে হয় কী করে? হয় মশাই হয়। যদি মা দুগগা আর মা লক্ষ্মী মা-মেয়ে হয়েও দু’জনেই আপনাদের ‘মা’ হতে পারে আমার বেলায়ই বা মা-মেয়ে দু’জনেই মেয়ে হবে না কেন? হওয়ালেই হয়! এই ছবিটায় দেখুন ফটোগ্রাফারের মুখে কী সরল অকৃত্রিম উত্তেজনা আর বিস্ময়! পারি, আমিও পারি। বাইরের ওই দৃশ্যপট সমস্ত অবলীলায় আমার অধিগত! এই বিস্ময়ের শেষ নেই বালিকা মনে, সত্যিই!
ছবি… মানে ফটো, আমরা ছোটোবেলায় গ্রামে থাকতে বলতাম ফটোক্, কেমন যেন সহজলভ্য হয়ে গেল। সে এক দিন ছিল বটে। গ্রুপ ফটো তোলার হলে ফটোগ্রাফার আসতেন শহর থেকে। তিনি সবাইকে সাজিয়ে গুছিয়ে, কে বসবে, কে দাঁড়াবে, কে কার পেছনে দাঁড়াবে ইত্যাদি ঠিক করে, স্ট্যান্ডে দণ্ডায়মান ক্যামেরার পিছনে ঢাকা এক কাপড়ের পিছনে দাঁড়াতেন। তারপর বেরিয়ে এসে ক্যামেরার সামনের ঢাকনাটি খুলে মুহূর্তের মধ্যে ফের বন্ধ করে দিতেন। সেটি ছিল ম্যানুয়াল শাটার। মুশকিল হত মাঝে মাঝে। পাশের কেউ হয় তো অসাবধানে ফ্রেম থেকে বেরিয়ে গেছে। কিম্বা সেজ বৌদি সেই খণ্ডমুহূর্তে তাকিয়েছে অবিবাহিত ননদের দিকে। সেই ননদটি তুতো দেওরের ঠিক পাশেই দাঁড়িয়েছে কি? এই সব বিচ্যুতি ঘটলে ছবি সাহেব (সাহেব বলতুম কেন, খোদায় জানে!) কাপড়ের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে সব যথাপূর্ব করে ফের সেঁধোতেন সেই আড়ালে। এই পদ্ধতি দশ পনেরো মিনিটে বেশ কয়েকবার রিপিট হবার পর, ছুটি মিলত। তখন ইচ্ছে হলে সৌখিন অভিভাবকদের কেউ কেউ একা বা সস্ত্রীক ছবি তোলাতেন।
সে আমলে ছবি তোলায় ফ্ল্যাশ লাইটেরও ব্যবস্থা ছিল। ম্যাগনেশিয়ামের তারওয়ালা বালব। প্রচণ্ড আলো তৈরি করে একবার জ্বলেই নির্বাপিত হত। বালবের পিছনে থাকত রিফ্লেকটর।
লেখাটা ছড়িয়ে যাচ্ছে। গুটোই। আমার কোনও দিনই প্যাশন বলতে যা বোঝায় ছিল না। কোনও কিছুর প্রতিই। যা ছিল লোক দেখানো কিছু। ফটো তোলাও তাই।
সে সময় নিছকই এক বক্স ক্যামেরা খুব চলত। আগফা ক্লিক থ্রি। তখন আমি বেলুড় বিদ্যামন্দিরে। সেই ক্যামেরা কিনলাম। সেই ক্যামেরার সাদা কালো ফিল্ম… কিনতে হলে দোকানে বলতে হত ওয়ান টুয়েন্টি। বারোখানা মহামূল্যবান ছবি তথা স্মৃতি ধরতে পারত সে। বারো মানে বারোই তা কিন্তু নয়। ডেভেলপ করার পর বোঝা যেত… হাত কাঁপা, লক্ষ্যবস্তু নড়া, ডাবল এক্সপোজার ইত্যাদি হরেক বিপদ পেরিয়ে ক’টা ছবি আসলে হার্ডল পেরোল। নেগেটিভ দেখে রায় দিত স্টুডিও দাদা। তার মধ্যেও আবার দু’তিনটের প্রিন্ট হবে না। ছবি তোলা আর ডেভেলপ করে নেগেটিভ দেখার মাঝখানে হয় তো বিচ্ছেদ ঘটে গেছে সেই হলেও হতে পারত ইয়ের সঙ্গে! বাবার পকেট মেরে কষ্টে জোগাড় করা পয়সা দিয়ে সেই তার ছবি প্রিন্ট করার কোনও মানেই হয় না!
ফিল্ম পোরা, ছবি তোলা এবং ওয়াশ সব মিলিয়ে বেশ হ্যাপা। অর্থনৈতিক ভাবেও বেশ আপত্তিকর। মানুষের ছবি তুললে আবার কার তুলব কারটা তুলব না। যার তোলা হবে না সে মুখ তোম্বা করে রাখবে। এখনকার মত তো না। যে।ডিজিটাল ক্যামেরায়, সবার মন রাখা অতি সহজ। খ্যাঁচা খ্যাঁচ ক্লিক করো। পরে ডিলিট করে দিলেই হল।
কাজেই মাস ছয়েকের মধ্যে উৎসাহে ভাঁটা পড়ল। এবং আমারও ক্যামেরা জীবনের ইতি।
ভুল বললাম। ক্যামেরা (সত্যিকারের ক্যামেরা, এই মোবাইল সংলগ্ন মন ভোলানো মেগা-পিক্সেলের ম্যাজিক নয়) ফিরেছিল অরুণাচলের জীবনে। সেই অঘটনের কথা আগে বলে নিই। তারপরে বিয়ের ছবিতে ঢোকা যাবে।
জীবনে দ্বিতীয় বার ক্যামেরা কিনলাম এমডি পড়তে গিয়ে। চেস্ট এমডির কো-গাইড ইএনটির প্রফেসর এ এম সাহা বললেন এসএলআর ক্যামেরা কিনতে হবে, ল্যারিঙ্গোস্কোপির ছবি তোলার জন্য। সেই এমডি করার তঞ্চকতা পরে কখনও বলব।
এ’বার ক্যামেরা কেনার কথা বলি। তখন আমার ফ্রেন্ড ফিলজফার গাইড দিলীপ দা’, পিজিতে কাজ করে, হেস্টিংস-এর আবাসনে থাকে। দিলীপ দা’ বলল ফ্যান্সি মার্কেট থেকে কিনিয়ে দেবে। ওর কোনও এক ঝানু চোরা কারবারির সঙ্গে চেনা জানা আছে। তার দোকান থেকে। দিলীপ দা’কে সন্ত্রস্ত জিজ্ঞেস করলাম, – দাদা, ঠকিয়ে দেবে না তো?
– না, না, জানিস এই লোক কে? মসজিদের ইমাম। আগে মুয়াজ্জিন ছিল। পার্ট টাইম চোরা কারবারি। দারুণ ইমানদার লোক। ওর পার্টনারটাও তাই। সিপিএম করে। আবার এমনিতে ফুলটাইম পুরোহিত। লক্ষ্মী পুজোয় হেব্বি ডিম্যান্ড। তো এই দুই ধর্মপ্রাণ চোরাকারবারির কাছ থেকে ক্যামেরা কেনা হল।
কী ভারি! প্রায় কিলোখানেক কী তারও বেশি হয় তো। রাশিয়ান ক্যামেরা। নাম জেনিট(Zenit)। দাদা ভরসা দিল, -“কোনও চোর ছিনতাইকারী এলে ঘুরিয়ে মাথায় মারবি। হেড ইনজুরি শিওর!”
সেই ক্যামেরা আমার পড়াশোনায় আদৌ তেমন ব্যবহার হল না। কেন? সে অন্য গল্প। পরে অন্য কখনও বলব। গল্প কি আর একটা রে বাবু!
এ’বার বলি তৃতীয় ক্যামেরার কথা। সে আবার সোনি ভিডিও ক্যামেরা। কেনা হল কোথাও একটা বেড়িয়ে ফেরার পর!
গিন্নির চাপে পড়ে কেনা হল, কারণ আমি নাকি ট্যুরের সমস্ত সময় সহযাত্রী এক সুন্দরীর হস্তধৃত মহাব্যস্ত ওই যন্ত্রের দিকে হ্যাংলার মত তাকিয়ে থাকতাম। গিন্নি আমার ক্লাসমেট হলেও আদতে তও মেয়েই। ইনস্টিংক্টএর বশে আমার তাকানোটা ঠিক লক্ষ করেছিল। আমার যে একটু ইয়ে আছে জানতই। তার জন্য বাঁকা পথে আমায় অর্থনৈতিক শাস্তি দিল! যাই হোক, সে’টাও মাত্রই কয়েক দিনই ব্যবহার হল। সবাই গান শুনছে, অনুষ্ঠান দেখছে, আমি একা মনিটরে চোখ রেখে… ধুৎ! রইল ঝোলা চলল ভোলা। সেই ভিডিও ক্যামেরাটি এখন কোন বিস্মৃতির অন্ধকারে কে জানে!
এই করতে করতে চলে এল মোবাইল।
আমার বড় পুত্তুর অনেক রিভিউ টিভিউ দেখে, মানে একরকম গবেষণাই ধরুন, আমাকে একটা মোবাইল কিনে দিয়েছে। ভারি স্মৃতিমান, মেধাবী, রূপবান ও কান্তিমান সেটি। অনেক কিছু করা যায় তাতে।
হিসেবী কাজ (ক্যালকুলেটর), বেহিসেবী কাজ (মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ… চারিত্রিক দুর্বলতা সঞ্জাত), ঘড়ি, অ্যালার্ম, রিমাইন্ডার, ক্যালেন্ডার, পিডিএফ ডাউনলোড (হ্যাঁ, আমার মত সন্ত টাইপের সৎ মানুষও!), অডিও-ভিডিও (বিষাক্ত ও রসাক্ত) দেখানো-শোনানো-রেকর্ড, লেখালেখি, ছবি আঁকা, ছবি/ভিডিও তোলা আরও কত কিছু পারে সে। চাই বা না চাই, নয়া জমানায় ক্যামেরার মেগাপিক্সেল আমার চেতনা ছেয়ে থাকে… হাত ধরে থাকে। সেই ফোনে, এত কাজ করার পরেও, কী বলব স্যার ও ম্যাডামেরা, এমনকি কথাও বলা যায় তাতে!
এ’বারে সেই আসল প্রসঙ্গ। হ্যাঁ, আমার বিয়ের ছবি। তোলা হয়েছিল কি না, তুললে কোথায় সে’গুলি, না থাকলে কেনই বা নেই সব বলব।
ঘাবড়াবেন না। বড় নয়। অণুগল্পই।
বিয়েতে শ্বশুরমশাই জামশেদপুরের একজন ফটো তোলার লোককে বরাত দিয়েছিলেন। সে আবার নাকি আর একজনকে সাব কন্ট্রাক্ট দিয়েছিল। এমনি ভাবে কয়েকবার হাত বদল হবার পর পুরো প্রকল্পটাই ডায়লিউট হয়ে সাধনোচিত ধামে গমন করে। মানে একদম শেষে যার ওপর দায়িত্ব পড়ে, সে অন্য পাড়ার সদ্যমৃত একজনকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল সেই সন্ধ্যায়।
শ্বশুর মশাইয়ের পাঠানো লোককে সবিনয়ে ফিরিয়ে দিয়ে সে জানায়, -“আহা, এই ছেলে তো পরেও আবার বিয়ে করতে পারে, কিন্তু এই ইনি (মৃত ব্যক্তিকে দেখিয়ে) তো আর নতুন করে মরতে পারবেন না!”
সেই কর্তব্যপরায়ণ ফটোগ্রাফারের আশীর্বাদ সফল হয়নি। আমার নতুন করে বিয়ে করা আর হয়ে উঠল না। সুনন্দারও না।(দীর্ঘশ্বাস—>সুদীর্ঘশ্বাস, শুনতে পেলেন কি?)
এইবার নাটকের পরবর্তী অঙ্ক। বহু কিলোমিটার দূরে ফিরে এসে মুর্শিদাবাদের সালার। বিয়েতে ছবি ওঠেনি তো কী! এই বার বউভাতে শ্রীমান কন্দর্পকুমার আর শ্রীমতী লীলাসুন্দরীর ফটোক উঠবে।
বাবা আর আমি, সালার বাজারে গিয়ে একমেবাদ্বিতীয়ম স্টুডিও (?)তে বুক করে এলাম। স্থানাংক, সময়, আর উদ্বেগ সমস্ত জানিয়ে। তিনি এলেনও। সময় মিলিয়ে। যথাকালে। তাঁর মানে ফটোগ্রাফারের যা সাজের বাহার, দু’একজন তো তাকেই জিজ্ঞেস করে বসল, -“কী খোকা, বাবা কোথায়?”
আর ছবি তুললও বটে সেই ছেলে। কী পোজ, কী পশ্চার। লোকেরা নতুন বউ (মানে বউভাত কিনা!)কে না দেখে, রাজভোগ চোখ করে সেই কেরামতি দেখতে লাগল। ছবি দেখার চোটে ফার্স্ট ব্যাচে বসার লোক পাওয়া যায় না, এমন অবস্থা।
এই পাপোশের ওপর শুয়ে পড়ছে, কখনও খাটের তলায় গুঁড়ি মেরে ঢুকে ঊর্ধ্ব মুখ হয়ে ক্যামেরাটি তাক করছে। আবার তড়াক করে উঠে পড়ে খুব তাড়া দিয়ে বলছে, -“মই পাওয়া যাবে একটা?”
ইলেকট্রিশিয়ান বেচারার কাছ থেকে তাও এনে দেওয়া হল।
আর ঘন ঘন বকুনি, তার ছবির সাবজেক্টদের -“উঁহু, উঁহু ও’ ভাবে তাকাবেন না, আঃ… চশমাটা একটু, আহা, ভুরু কুঁচকিও না খুকি (এ’টা সুনন্দাকে, মতান্তরে আমার মেজমামীকে),” ইত্যাদি ইত্যাদি। সে এক হই হই কাণ্ড, রই রই ব্যাপার। মানে এককথায় ঊর্ধ্ব অধঃ সমেত দশদিকের ইজারা নিয়ে ফেলল সে ঘণ্টা খানেক।
ছবি দেবে এক হপ্তা বাদে। এত দেরি কেন? না, তার স্টুডিও আছে বটে, ডার্করুম আর যন্ত্রপাতি কিছুই নেই। সেই তিন স্টেশন পেরিয়ে কাটোয়া। সেখান থেকে করিয়ে আনবে।
তাই সই। এক সপ্তাহ বাদে গেলাম বাপ-ব্যাটা। ছবি আনতে।
না, সততা বলে জিনিসটা একেবারে লুপ্ত হয়ে যায়নি টের পেলাম তখন। বিনয়ে প্রণিপাত হয়ে বাবু নিবেদন করলেন, -“আজ্ঞে, ছবি তুলতে গিয়ে টের পেলাম ক্যামেরায় ফিলিম নেই। তো তখন সে কথা বললে, কে না জানে, হয় তো পাবলিকের মার দুনিয়ার বার। আর তা’ছাড়া কাকাবাবু, অনুষ্ঠানের মুডটাও মার খেয়ে যেত কিনা বলুন? যাক, এ’বারের মত যা হল হল, পরের বার আর ভুল হবে না!”
ফটোগ্রাফার পালটায়, বক্তব্য পালটায় না। সবাই বলে, পরের বার।
মোটমাট অরুণাচলের বিয়ের ছবি নেই। সে’দিন ছিল না, আজ চল্লিশ বছর পরেও নেই!
দারুন