আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ছাত্রদের আন্দোলনে প্রিন্সিপাল, সুপার, ইলেকশন কন্ডাকশন কমিটির ঘেরাও চলছিল? তাহলে কার নির্দেশে সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন OT থেকে গ্রুপ ডি স্টাফদের জোর করে অনুপস্থিত থাকতে বাধ্য করা হল, রোগী ও পরিজনসদের হেনস্থা করে সেই দোষ আন্দোলনের বিরুদ্ধে, সেই ক্ষোভ সুপরিকল্পিত ভাবে চালনা করা হল?
রোগীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হল রাজনৈতিক স্বার্থে, যাঁরা খেললেন তাঁরা চিকিৎসক না চিকিৎসক সমাজের লজ্জা?!
ঘেরাও-এর মধ্যে ইলেকশন কমিটি বাদ দিয়ে নার্সিং সুপার কেন উপস্থিত ছিলেন, কেন বার বার অনুরোধের পরেও না বেরিয়ে গিয়ে পরের দিন নার্সিং স্টাফদের জড়ো করে (জোর করে, ভুল বুঝিয়ে) তাঁকে ‘উদ্ধার’ করার নাটক মঞ্চস্থ হল কার সুবিধা করার জন্য তার উত্তর চাই!
এবং শিক্ষক-চিকিৎসকদের একাংশ যেভাবে আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর চড়াও হয়ে তাদের গলা টিপে ধরলেন, গালিগালাজ থেকে শুরু করে খুনের হুমকি পর্যন্ত দিলেন তা মেডিকেল কলেজ তথা মেডিকেল fraternity তে অভূতপূর্ব ও লজ্জাজনক! শিক্ষকদের একাংশ যেভাবে নির্লজ্জ তৃণমূলের গুন্ডার মত আচরণ করলেন তার শেষ দেখে আমরা ছাড়ব!
কলেজ কাউন্সিলের সমস্ত সদস্যদের সম্মতির ভিত্তিতে ২২শে ডিসেম্বর ছাত্র সংসদের নির্বাচনের তারিখ দেওয়া হয়েছিল, সেই নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী পদ দিতে পারার জায়গায় নেই এটা বোঝার পর যেভাবে শাসকের নখ দাঁত ছাত্রছাত্রীদের উপর নগ্ন ভাবে আক্রমণ নামাল তাতে এটা স্পষ্ট যে ওরা ভয় পেয়েছে!
ভয় পেয়েছে–যে ছাত্রছাত্রীরা মেডিকেল কলেজের মত হাসপাতালে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধ কেন নেই বলে আন্দোলন করে, তারা ইউনিয়নে চলে এলে সমস্ত জারিজুরি লোক সমাজে ধরা পড়ে যাবে, ভয় পেয়েছে সেই ছাত্রছাত্রীদের যারা শতাব্দী প্রাচীন RIO-কে ভেঙে ফেলার বিরুদ্ধে লড়াই করে আটকে দেয় কোটি টাকা পকেটে ঢোকানোর অপ প্রচেষ্টা!
রোগীদের পক্ষ নিয়ে মেডিকেল ছাত্রছাত্রীরা বলবে ও কিভাবে তাদের বোকা বানানো হচ্ছে সেটা এক্সপোজ করবে, এবং সেটাও ইউনিয়ন থেকে, সেটা মেনে নিতে ভয় পাচ্ছে কর্তৃপক্ষ!
তাই, যে ছাত্রছাত্রীদের ‘মেরে ফেলা’-র হুমকি দিলেন আমাদের সম্মানীয় (?) শিক্ষকদের একাংশ তাঁদের আমরা আর যোগ্য মনে করছি না স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারেন বলে, ফলতই,আমরা আমরণ অনশনের পথ নিতে বাধ্য হচ্ছি! আশা রাখি যাঁরা আমাদের মেরে ফেলতে চেয়েছেন, আমরা অনশন করে মারা গেলে তাঁদের রাজনৈতিক স্বার্থ দারুণ ভাবে সিদ্ধ হবে!
বেস্ট অফ লাক, স্যারেরা!
এবং যে শিক্ষকেরা এর পরেও আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, দাঁড়াতে চাইছেন (পারছেন না উপরমহলের চাপে) সব সময় তাঁদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা এখনও অটুট আছে! আমাদের আশা শুভবুদ্ধির উদয় হবে, সকল চিকিৎসক শিক্ষকেরা (তৃণমূলী গুন্ডারা বাদে) ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ ত্যাগ করে সন্তানসম ছাত্রছাত্রীদের ন্যায্য দাবির পাশে দাঁড়াবেন ও রোগী পরিষেবাকে ব্যাহত করে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির আগে দু’বার ভাববেন!