Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

ডাক্তারির কথকতা- ৩

IMG_20221220_165258
Dr. Chinmay Nath

Dr. Chinmay Nath

Orthopedic Surgeon
My Other Posts
  • December 21, 2022
  • 9:24 am
  • 2 Comments

আমি হাড়ের ডাক্তার। অর্থোপেডিক রোগী দেখি। হাড়,অস্থিসন্ধি বা মেরুদন্ডে চোট নিয়ে রোগীরা আসে। ডাক্তার বা হাসপাতালে আসার আগে চোট পাওয়া অনেক রোগীই কিছুটা প্রাথমিক চিকিৎসা করে আসে। তাতে রোগীর কষ্ট লাঘব হয়। চোট পরবর্তী ক্ষতি কমে। উন্নত দেশে এই প্রাথমিক চিকিৎসা বা শুশ্রূষা বিষয়টা খুব সংগঠিত। প্রশিক্ষিত অচিকিৎসক চিকিৎসাকর্মীরা এই প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। কারণ কোনো দেশেই সমাজ বা লোকালয়ের প্রতিটি কোনে কোনে স্পেশালিষ্ট চিকিৎসক পাওয়া সম্ভব নয়।

আমাদের দেশের বিষয়টা অবশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানেও প্রাথমিক শুশ্রূষা হয়- তবে তা প্রশিক্ষিত চিকিৎসা কর্মীর অভাবে মাসী-পিসি, ঠাকুমা-দিদিমার কাছে প্রশিক্ষিত আর আজকাল গুগুল প্রশিক্ষিত এবং উৎসাহী (রোগীর) বাড়ির লোকদের রোগীর ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে লতা-পাতা, গাছের ছাল-বাকল, বাঁশের বাখারি, কাঠের টুকরো ইত্যাদির সাহায্যে হয়ে থাকে।

বছর পনেরো আগে সকালে এক নার্সিংহোমে অপারেশন করছিলাম। অপারেশন শেষে গ্লাভস খুলে হাত ধুচ্ছি। রবিবার। সেদিন আর কোনো কাজ নেই বলে মনে ফুরফুরে আনন্দ। এমন সময় একজন ওটি ষ্টাফ বলল, ‘নীচের চেম্বারে একজন পেশেন্ট আছে, স্যার।’

‘আজকে? আজ তো রবিবার!’

‘হ্যাঁ। আজকেই এসেছে।’

হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা উচিত হবে না।’ ঠিক আছে, বসতে বলো। চা খেয়ে যাচ্ছি।’

‘না স্যার, আগেই যান। চা পরে খাবেন।’

আশ্চর্য হলাম। এমার্জেন্সি না হলে নার্সিং হোমের ষ্টাফেরা এমনভাবে বলে না তো!

‘এমার্জেন্সি পেশেন্ট না কি?’

‘পেশেন্টের এমার্জেন্সি না, নার্সিং হোমের এমার্জেন্সি।’

বিষয়টা গোলমেলে বুঝেই অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরোলাম। কোনো বড়সড় নেতা-মন্ত্রীর জানাশোনা হতে পারে!

লিফটটা একতলা নামতেই ভক্ করে পচা গন্ধটা নাকে এল।
দুর্গন্ধ আমাকে সহজে কাবু করতে পারে না। অ্যানাটমি হলে ডিসেকশনের পরে দিনের পর দিন ঝাঁঝালো ফর্ম্যালিন জর্জরিত ডেডবডির দু-গজ দূরে বসে থেকেছি। টিফিন কৌটো খুলে বাড়ি থেকে আনা রুটি-আলুচচ্চড়ি দিয়ে লাঞ্চ করেছি। পুলিশ মর্গে ফরেনসিক মেডিসিনের ক্লাসে পচাগলা বেওয়ারিস বডির পোষ্টমর্টেম দেখেছি। এখনো কোনো কোনো অর্থোপেডিক কোর্সে পড়াতে গেলে Cadaver ডাকে, ‘আয়, আয়, আয়।’

সেই আমি এই পচা গন্ধে একেবারে ব্যোমকে গেলাম। নাকে রুমাল চাপা দিয়ে লিফট থেকে বেরোতেই দেখলাম আমার সহকারী যুগল, মানে সুভাষ আর সমীরদা, রুমালে নাক-মুখ চাপা দিয়ে এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছে।
(সুভাষ আজ আকাশের ওপারে। ঘটনাটা বিশ্বাস না হলে সমীর-দা কে জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে।)

রিসেপশনে একজন মুখে গামছা বেঁধে বসে আছে। লিফটম্যান, রিসেপশনিষ্ট, সিকিউরিটি সহ বাকি লোকজন সব উধাও!

চেম্বারে ঢুকতেই গন্ধের উৎস আবিষ্কার করা গেল। পচা মাংসের গন্ধে আমারও তখন গা গুলিয়ে বমি আসছে। ট্রলিতে শুয়ে আছে একটি মাঝ বয়স্ক লোক। তার হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত নোংরা ন্যাকড়া দিয়ে কিছু জড়ানো। পায়ের এক্সরে-টা ভিউ বক্সে লাগানো রয়েছে। টিবিয়া-ফিবুলা ফ্র্যাকচার। ন্যাকড়া খুলতেই তার ভিতর থেকে কালচে থোকা থোকা কিছু জিনিস বেরিয়ে। রোগীর পায়ের চামড়া প্রায় পুরোটাই পচে গেছে। বাড়ির লোককে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কি এগুলো?’

‘কই মাছের মাথা।’

‘কোথা থেকে করিয়েছ এসব?’

‘ডায়মন্ড হারবার।’

তার কথায় জানা গেল, পা ভাঙতেই রোগীকে ডায়মন্ড হারবার-এর এক Bone setter এর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এক মাস আগে। সে নাকি অনেকগুলো কই মাছের মাথা থেঁতলে তাই দিয়ে পুলটিস বানিয়ে হাড়ভাঙা রোগীর ভাঙা হাতে বা পায়ে ন্যাকড়া দিয়ে জড়িয়ে দেয়। ওতে নাকি হাড় জোড়ে।

পনেরো বছর আগেকার কথা। নতুন নার্সিং হোম। ঝাঁ চকচকে মেঝে ও দেওয়াল ফিনাইল ইত্যাদি সহ বালতি বালতি জলে ধুয়েও গন্ধ গেল না। নানান সুগন্ধ দ্রব্য ছড়ানো হল। রোগীর পায়ের ড্রেসিং করলাম। কিন্তু তারপর অন্য রোগী ও তাদের বাড়ির লোক এবং কয়েকজন ষ্টাফের প্রবল আপত্তিতে রোগীকে ভর্তি করতে পারছিলাম না। শেষে সবাইকে অনেক বুঝিয়ে এক আইসোলেশন ওয়ার্ডে কোনো মতে, যাকে বলে, গ্যারেজ করা হল। তার পরের দু-তিনদিন অন্য রোগীদের বিরক্তি, উষ্মা ও প্রতিবাদ উপেক্ষা করে রোগীর চিকিৎসা চলল। আস্তে আস্তে পায়ের দুর্গন্ধ কমে আসে। প্লাষ্টিক সার্জেনের সহায়তায় বেশ কিছুদিন ধরে অনেক কসরত করে রোগীকে সুস্থ করেছিলাম সে বার।

মাসি-পিসি, ঠাকুমা-দিদিমাদের কথা লোকে এত শোনে এবং বিনা প্রশ্নে বাধ্য ছেলেমেয়ের মত মেনে নেয়- ডাক্তারি পেশায় ঢোকার আগে এ আমার জানা ছিল না। কলেজে সদ্য চাকরি পাওয়া তরুণী সহকারী অধ্যাপিকা স্কুটি চালাতে গিয়ে পা মচকেছেন। ফোলা গোড়ালি নিয়ে চেম্বারে ঢুকছেন। পায়ের চামড়া পুরো হলুদ।

‘এটা কি লাগিয়েছেন?’

‘চুন-হলুদ।’

‘সে তো দেখতেই পাচ্ছি। কিন্তু লাগিয়েছেন কেন?’

‘সবাই তো বলে…’

‘সবাই মানে? কে বলে?’

‘মা, মাসি, বাড়ির বড়রা।’

‘বড়দের কথা আপনি সব শোনেন?’

তিনি আর জবাব না দিয়ে চুপ করে থাকেন।

‘চোট লাগলে ভালো করে বরফ লাগাবেন, বুঝলেন। চুন-হলুদে চামড়ার খুব ক্ষতি হয়।’

কে শোনে কার কথা!

কুড়ি বছর হয়ে গেল। তখনকার মা মাসিরা এতদিনে বুড়ি এবং ঠাকুমা-দিদিমারা অনেকেই হয়ত পৃথিবীর মায়া কাটিয়েছেন। কিন্তু ‘চুন-হলুদ’ লাগানোর ‘সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলিতেছে।’ অজুহাত দেওয়ার নতুন নতুন ঠাকুমা-দিদিমা আমদানি হয়েছে।

তবে গতকাল যা হল, তা একেবারে কল্পনাতীত। বছর পঞ্চাশের এক ভদ্রলোক তাঁর স্ত্রীকে সাথে করে নিয়ে এসেছেন চেম্বারে। বছর খানেক আগে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। সেই থেকে ককসিক্স বা Tail bone এ ব্যাথা। সাধারণ কিছু চিকিৎসা বললাম।

‘ওসব করা হয়ে গেছে।’

‘গরম জলের সেঁক করুন।’

‘সব করা হয়ে গেছে। ব্যাথা কমছে না। আপনি ওটিতে নিয়ে ইঞ্জেকশন দিয়ে দিন।’

‘সব মানে? আর কি করেছেন?’

রোগীর স্ত্রী মাথা নীচু করে বললেন, ‘চুন-হলুদ গরম করে লাগিয়েছি।’

‘অ্যাঁ! ওখানে? পুড়ে যায় নি?’

ভদ্রলোক প্রায় কাঁদো কাঁদো স্বরে বললেন, ‘গেছিলো তো!’

PrevPreviousমেডিকেল কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন ২২শে ডিসেম্বরই হচ্ছে!!
Nextপার্কেNext
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
2 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Animesh
Animesh
5 months ago

এ সমাজে সক্কলেই জন্মগতভাবেই চিকিৎসক। পরে এদের মধ্যে থেকেই অনেকে পড়াশোনা করে বিশেষজ্ঞ হন আরকি।

0
Reply
আসাদুল গাজী
আসাদুল গাজী
4 months ago

gazim4838@gmail.com

0
Reply

সম্পর্কিত পোস্ট

ডিপ্লোমা ডাক্তার: লক্ষ্য কি বেসরকারি ক্ষেত্রে সস্তার চিকিৎসক সরবরাহ না কি স্থায়ী নিয়োগের দায় এড়ানো?

June 3, 2023 No Comments

তথ্যের জাগলারি নতুন কোনো প্রকল্প তৈরি করতে গেলে, পরিস্থিতির বাস্তব বিশ্লেষণ যেমন জরুরি তেমনই তথ্য পরিসংখ্যান অপরিহার্য। বাজারের নিয়মে, কোন উৎপাদনে লাভ হতে পারে, সেটা

আন্দোলন

June 2, 2023 No Comments

প্রিন্সিপ্যালের রুমের কাঁচ ঢাকা বড় টেবিলটার উল্টোদিকে রাখা কালো ভারী টেলিফোনটা বেজে উঠল। ষ্টুডেন্টস ইউনিয়নের সেক্রেটারি পরিতোষ রিসিভারটা তুলে ডাঃ অমিতাভ বোসের হাতে সেটা এগিয়ে

দীপ জ্বেলে যাও ৭

June 1, 2023 No Comments

শুভ ভাবতেও পারে নি কলেজে এত তাড়াতাড়ি এতটা পরিচিত মুখ হয়ে উঠতে পারবে। নির্বাচনে জিতে সে এখন পাঁচ জন ছাত্র প্রতিনিধির এক জন। সেটার থেকেও

অনেক মানুষ, একলা মানুষ(৩) 

May 31, 2023 4 Comments

No longer mourn for me when I am dead Than you shall hear the surly sullen bell Give warning to the world that I am

ঈশ্বর–আমার একাকী ঈশ্বর ১০

May 30, 2023 No Comments

বিধবাবিবাহ, বাল‍্যবিবাহ প্রতিরোধ, স্ত্রীশিক্ষা প্রতিটাই পরস্পর সম্পৃক্ত। তবুও আলাদা করলাম। না হলে চরিত্রটা কেবল ঘটনা বহুল এবং সমগ্র কর্মকান্ড আমার সীমিত প্রকাশ ক্ষমতার অসাধ‍্য হয়ে

সাম্প্রতিক পোস্ট

ডিপ্লোমা ডাক্তার: লক্ষ্য কি বেসরকারি ক্ষেত্রে সস্তার চিকিৎসক সরবরাহ না কি স্থায়ী নিয়োগের দায় এড়ানো?

Dr. Manas Gumta June 3, 2023

আন্দোলন

Dr. Chinmay Nath June 2, 2023

দীপ জ্বেলে যাও ৭

Rumjhum Bhattacharya June 1, 2023

অনেক মানুষ, একলা মানুষ(৩) 

Dr. Anirban Jana May 31, 2023

ঈশ্বর–আমার একাকী ঈশ্বর ১০

Dr. Dipankar Ghosh May 30, 2023

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

434785
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]