কোভিডের এই গভীর সংকট সময়ে আমরা আরেক প্রাণঘাতী বিপত্তির সম্মুখীন। এ যেন আক্ষরিক অর্থে “মন্বন্তরে মরি নি আমরা মারী নিয়ে ঘর করি”! আনন্দবাজার পত্রিকার সংবাদ অনুযায়ী (২৩.০৪.২১) কলকাতার পরে বাঁকুড়ায় এ রোগের সন্ধান পাওয়া গেছে। এবং “গুজরাত, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা এবং রাজস্থানের পর এ বার উত্তরাখণ্ডও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস-কে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করল। বিভিন্ন রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস-এর সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ২০ মে এটিকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। সেই সঙ্গে এই রোগকে মহামারি আইনের অধীনে আনার জন্য রাজ্যগুলিকেও বলেছে তারা।” উত্তরাখণ্ডে ৬৪ জনের সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে, মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ২৪.০৪.২১-এর সর্বশেষ সংবাদ অনুযায়ী সম্ভবত শিলিগুড়িতেও একজনের দেহে এই সংক্রমণ ঘটেছে। আমজনতার কাছে নতুন এই রোগটির নাম মিউকরমাইকোসিস।
মিউকরমাইকোসিস, যাকে নামান্তরে “ব্ল্যাক ফাঙ্গাস”ও বলা হয়, সম্পর্কে মেডিসিনের জগতে সর্বাধিক মান্য পুস্তক হ্যারিসনের টেক্সটবুক অফ মেডিসিন-এ বলা হয়েছে প্রাণঘাতী (llife-threatening) রোগ। অরুণালোক চক্রবর্তী এবং হরিপ্রসাথ প্রকাশের গবেষণাপত্রে “Epidemiology of Mucormycosis in India”-তে (৪.০৩.২১ তারিখে প্রকাশিত) বলা হয়েছে – “Mucormycosis is an angioinvasive disease that is characterised by tissue infarction and necrosis”। অর্থাৎ, মিউকরমাইকোসিস রক্তনালীকে আক্রমণ করে এমন একটি রোগ এবং এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দেহের টিস্যুকে মেরে ফেলে। এবং রোগটির শ্রেণীবিভাগ করা হয় দেহের অ্যানাটমি বা অঙ্গসংস্থানের ওপরে নির্ভর করে। এই গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে – “the estimated prevalence of mucormycosis in India is nearly 70 times higher than the global data, which were estimated to be at 0.02 to 9.5 cases (with a median of 0.2 cases) per 100,000 persons.” এর অর্থ হল, সাধারণভাবেই বিশ্বের যে তথ্য পাওয়া যায় তার তুলনায় ভারতে প্রায় ৭০ গুণ বেশি মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ ঘটে।
মনে রাখতে হবে এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে। সেসময় পর্যন্ত ভারতে কোভিড আক্রান্ত রোগিদের মাঝে এই রোগটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক জগতে মান্য সংস্থা সিডিসি (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন)-র হিসেব অনুযায়ী আমেরিকাতে প্রতিবছর প্রতি ১০,০০,০০০ মানুষের মাঝে ১.৭ জনের ক্ষেত্রে এ রোগটি দেখা যায়।
বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনের সংবাদ অনুযায়ী (২০.০৫.২১) এখনো অব্দি ভারতে কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই – “No official national count of mucormycosis infections are available at the moment, however, all confirmed and suspected cases will now have to be reported to the national health ministry.”
কিভাবে ছড়ায় এই রোগ?
এক বিশেষ ধরনের ( মিউকোরেলস্) ছত্রাক (fungus) সংক্রমণ। একে নিতান্ত বিরল রোগ হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু চিকিৎসকের তরফে “a high index of suspicion is critical for diagnosis.” (হ্যারিসনের টেক্সটবুক) স্বাভাবিকভাবেই বিরল বলেই ডায়াগনোসিস করাও বেশ শক্ত কাজ। শুধু তাই নয়, মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ কয়েক ঘন্টার মধ্যে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কয়েকদিনও লাগেনা। এজন্য “a high index of suspicion is critical for diagnosis” এত জরুরী।
কোথায় থাকে এই ছত্রাকেরা? আমাদের পরিবেশে সর্বত্র ছড়িয়ে আছে এরা – মাটিতে, বাতাসে , নোংরা জল- কাদা, পচা জঞ্জালে, পচা পাতা, পশুপ্রাণীদের মল ইত্যাদিতে ফাঙ্গাসের স্পোর বা সংক্রামক ইউনিট পাওয়া যায়। মানুষ অজান্তে এগুলোর সংস্পর্শে আসে। রোগীদের দেহে এই রোগে সংক্রমিত হবার প্রধান উৎস চিকিৎসার জন্য যেসব সামগ্রী ব্যবহার করা হয় সেগুলো যদি উপযুক্তভাবে ডিসইনফেক্ট বা জীবাণুমুক্ত করা না হয় বা করার ক্ষেত্রে কোথাও ত্রুটি থেকে যায়।
এখানে প্রশ্ন আসবে সবার স়ংক্রমন হচ্ছে না কেন ? যাদের শরীরে স্বাভাবিক রোগ-প্রতিরোধী ক্ষমতা আছে তাদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ বিরলের মধ্যে বিরলতম। আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তাদের বাধা দিচ্ছে বা ধ্বংস করে ফেলছে। কিন্তু যাদের প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে – যেমন এই এইডসের রোগী, ক্যান্সারের রোগী যাদের কেমোথেরাপি চলছে, কিডনি বা অন্যান্য অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে এমন রোগী এবং যাদের ডায়াবেটিস আছে – তাদের ক্ষেত্রে এই “opportunistic infection” দেখা যায়। এছাড়া বহুদিন ধরে কোন কারনে steroid খেতে হচ্ছে বা শরীরে iron overload হয়েছে কিংবা ত্বকের পুড়ে যাওয়া অঞ্চল বা নোংরা ক্ষত থাকলে বা premature এবং জন্মের সময় কম ওজন নিয়ে জন্মানো বাচ্চা, এসমস্ত ক্ষেত্রে এই সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব বেশি।
কোভিডের বিশেষ পরিস্থিতিতে কোভিড আক্রান্ত রোগীর ইমিউন সিস্টেম অসুস্থ হয়ে পড়ে, ঠিকভাবে কাজ করেনা। কোভিডের চিকিৎসার জন্য বহুক্ষেত্রেই রোগীকে বাঁচানোর জন্য অনেক সময়েই স্টেরয়েড দিতে হয় – কখনো কখনো বেশি ডোজে এবং বেশ কিছুদিন ধরে। এরপরে যদি রোগীর আগে থেকেই ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে এই ত্র্যহস্পর্শ যোগে এই সংক্রমণের উর্বর ক্ষেত্র তৈরি হয়। এর সাথে মনে রাখা দরকার, সাম্প্রতিককালের বিভিন্ন গবেষণাপত্র অনুযায়ী কোভিড এবং ডায়াবেটিসের সম্পর্ক দ্বিমুখী – ডায়াবেটিস থাকলে তা বেড়ে যায় কিংবা না থাকলেও নতুন করে হতে পারে।
হ্যারিসনের টেক্সটবুক অনুযায়ী অন্তত ৬ ধরণের ভাগে এই সংক্রমণকে ভাগ করা যায় –
(১) সবচেয়ে বেশি দেখা যায় rhino-orbital-cerebral বা নাক-কান-চোখ-মস্তিষ্কের সংক্রমণ। এতে মাথা ব্যথা, মুখের একপাশে ব্যথা বা ফুলে যাওয়া, নাক ও sinus-এ ব্যথা বা ভারভার ভাব, জ্বর আর নাকের ওপর বা মুখের ভেতর বা ঠোঁটের কোনে কালো ছোপ পড়ে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়। এছাড়া নাক থেকে মৃত ও পচা টিস্যু, জলীয় ক্ষরণ বা রক্তের ক্ষরণ ঘটে। কালো রক্ত ও পুঁজ বেরিয়ে আসে বলে একে black fungus নামেও অভিহিত করা হয়, যদিও দুটো এক নয়। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ক্ষেত্রে সংক্রমণ ফাঙ্গাসের ভিন্ন প্রজাতি দিয়ে হয়।
ওপরে বলা উপসর্গগুলো ছাড়াও দাঁতে ব্যথা হতে পারে, দাঁত ক্ষয়ে যায়। এছাড়া যদি সংক্রমণ মাথায় পৌঁছয় তাহলে অসম্ভব মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, অসংলগ্লনতা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। চোখে সংক্রমণ হলে চোখ ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে যাওয়া, তীব্র ব্যথার বোধ ইত্যাদি হয়। আক্রান্ত রোগী “ডাবল ভিশন” বা একটির বদলে দুটি করে বস্তু দেখতে পায়।
সহজ যুক্তিতে বোঝা যায় যে নাকে বা প্যারান্যাজাল সাইনাসে সংক্রমণ তার থেকে দুটি পথে সংক্রমণ ছড়াতে পারে – একদিকে মুখে এবং মাথায় চলে যেতে পারে, অন্যদিকে শ্বাসনালী দিয়ে ফুসফুসকে সংক্রমিত করতে পারে।
নীচের ছবিগুলো থেকে আমরা বুঝে নিতে পারবো কিরকম পরিস্থিতি হয়।
(২) Pulmonary বা ফুসফুসের সংক্রমণ – ফুসুফুসের HRCT scan এক্ষেত্রে শনাক্তকরণের কাজে সহায়ক, এতে জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হয়।
(৩) Cutaneous বা ত্বকের সংক্রমণ। চামড়ায় ঘা, লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে যাওয়া, সংক্রমিত অঞ্চলের টিস্যু মরে গিয়ে ধীরে ধীরে জায়গা টা কালো হয়ে যায়। গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে। হ্যারিসনের টেক্সটবুক অনুযায়ী, “necrotizing fasciitis” বা ত্বকের গভীরে সংক্রমণ ঘটলে ৮০% ক্ষেত্রে মৃত্যু হতে পারে।
(৪) Gastrointestinal বা অন্ত্রের সংক্রমণ। পেটে ব্যথা হয়, বমি এবং রক্তক্ষরণ হতে পারে। এটা প্রধানত বাচ্চাদের হয়। এতে অনেক সময় অন্ত্র ফুটো হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রেও মৃত্যুর আশঙ্কা বেড়ে যায়।
(৫) Disseminated and Miscellaneous Forms of Disease (বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এবং আরও নানা ধরণের সংক্রমণ) – যারা অন্য comorbidity তে ভুগছে, এ বিষয়ে ওপরে আলোচনা করেছি, তাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় এক সর্বব্যাপী সংক্রমণ। যদি মাথায় ছড়িয়ে যায় তাহলে মৃত্যুর আশঙ্কা ১০০ শতাংশ।
কি চিকিৎসা আছে আমাদের হাতে?
দ্রুত রোগ চিহ্নিত করতে পারা এবং উপযুক্ত ল্যাবরেটরি ডায়াগনোসিস করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা। চারটি ধাপে চিকিৎসার কথা বলা হয়। (১) গোড়াতে ডায়াগনোসিস করা। (২) যে কারণে রোগ হয়েছে, যেমন ডায়াবেটিস বা স্টেরয়েডের ব্যবহার, সেগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। (৩) যেখানে হয়েছে সে অঞ্চল ভালো করে চেছে পরিষ্কার করা (debridement), কারণ মৃত কোষ ওষুধকে জীবিত কোষের কাছে পৌঁছনোর কাজ অসাধ্য করে তোলে। এমনকি প্রয়োজনে সংক্রমিত অঞ্চলকে সার্জারি করে কেটে বাদ দিতে হতে পারে। বিশেষ করে চোখ বা নাকের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বাদ দেবার ঘটনা অনেক ক্ষেত্রেই ঘটে। (৪) দ্রুত অ্যান্টিফাঙ্গাল চিকিৎসা শুরু করা। এ অংশটি নিয়ে এখানে কোন আলোচনা করবো না। এটা একান্তভাবেই চিকিৎসকের দুনিয়া। তাঁর সঠিক সিদ্ধান্তই এখানে শেষ কথা।
আমাদের করণীয় কি?
প্রথম কথা অপ্রয়োজনে আগাম ভেবে নিয়ে আমাদের আতঙ্কগ্রস্ত হবার কোন কারণ নেই। কোভিড পরিস্থিতিতে যা বেশি করে চোখে পড়ছে স্বাভাবিক সময়ে সেটা একেবারেই বিরল ঘটনা। এটা কোন সংক্রামক রোগই নয়। খুবই বিরল এই রোগ।
দ্বিতীয় কথা, অধিকাংশের মানুষের ক্ষেত্রে মিউকরমাইকোসিস ধরণের বিরল রোগের প্রতিরোধী immunity আছে।
তৃতীয় কথা, যাদের ক্ষেত্রে একাধিক কারণে immunity কম আছে (ওপরে এ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে) তারা সতর্কভাবে পরিহার করে চলবেন সে সমস্ত জায়গা বা ক্ষেত্র যেখানে মিউকোরেলস ছত্রাকের দল জোট বেঁধে থাকতে সম্ভাবনা আছে বলে আমরা জানি ।
চতুর্থ কথা এবং শেষ কথা, সংবাদকে বেশি বিক্রয়যোগ্য এবং নজরকাড়া করে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের ও গোত্রের সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া রোগের কথা বেশি প্রচার করে। মানুষ নিজের স্বাভাবিক প্রবণতায় এ খবরগুলো বেশি বেশি করে দেখে থাকে। চিকিৎসকেরাও অনেকক্ষেত্রে নিজেদের আলাদা করতে পারেননা। গতবছর (১৬.০৭.২০) নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এর মতো জার্নালে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল – “Covid-19 — A Reminder to Reason”। এখানে বলা হয় – “Under conditions of information overload and uncertainty-related anxiety, we have an increased tendency to inappropriately favor recently acquired information because of its ease of recall — a heuristic known as availability bias … In a time when the rational–emotional scale is tipping to the emotional side, we begin relying more heavily on anecdotes, particularly personal experiences that may carry inordinate weight in our minds. Journalists use the power of stories to connect with readers and tug at their emotions.”
অহেতুক আতঙ্কগ্রস্ত হবেননা। চিকিৎসকই আপনাকে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলবেন। চিকিৎসক আপনাকে বাঁচাবেন। চিকিৎসকের প্রজ্ঞা এবং কুশলতার ওপরে ভরসা রাখুন। একজন সুস্থ হয়ে ওঠা, হাসিমুখের রোগীকে দেখা চিকিৎসকের জীবনের সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি। অহেতুক আতঙ্কিত হয়ে চিকিৎসককে বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবেননা – এ আমাদের আন্তরিক অনুরোধ।
আপনার লেখাগুলো এতটাই ইতিবাচক, যে এই অভূতপূর্ব সংকটের মধ্যেও ভরসা পাই। একের পর এক অসুখের খবরে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন অনেকে। আরো এধরনের লেখা চাই আপনার কলমে।
স্যার, সঠিক ভাবেই বলেছেন, আজকের পৃথিবীর ভয়ঙ্কর অসুখ ইনফোডেমিকে আক্রান্ত আমরা।
ধারণা পুরোপুরি পরিষ্কার হল। ধন্যবাদ কাকু।।
Ekdam thik sir . Sobai eto panic korche r news dekhiye dekhiye sobar matha ta kheyeche .
যথেষ্ট ভাল লিখেছ। পরিস্থিতি মানুষকে লড়াই করতে শেখায়। আর লড়াই-এ হাড়-জিৎ তো আছেই। উভয়কেই মেনে নিয়ে আগে চলতে হবে। লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এবার আর বাঁচার উপায় নাই।এক মাত্র ইশ্বর ভরসা,আর আপনাদের হাত, যস।ইশ্বর সাহায্য করুক।।
অতি সুন্দর লেখা যা মনে বল জোগায়। কিছু সতর্কতা থাকলেন। ভাল হতো।
অতি সুন্দর লেখা যা মনে বল জোগায়। কিছু সতর্কতা থাকলে আরো ভাল হতো।
Khub valo lekha. Media ojotha swalpo gyan bitoron kore manush k byatibyasto kore tole.
তথ্য সমৃদ্ধ লেখা। পড়ে খুব সমৃদ্ধ হলাম
চারিদিকে কোভিড এর মৃত্যু মিছিল। এরই মধ্যে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারছি নতুন এই রোগের কথা। এমনিতেই চারিদিকে আতঙ্কের রসালো বাণিজ্য, এরই মধ্যে ডাঃ জয়ন্ত ভট্টাচার্যের এই লেখা অনেকটাই সাহসী করে তুলল।
Clear idea about Mucormycosis…???
Good morning Jayantada.
I have gone through your article in detail.
I convey my gratitude to you for letting us know in detail about black fungus.
তথ্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদমাধ্যমগুল এমনভাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কথা প্রচার করছে যেন সবারই হচ্ছে।
লেখাটি রোগটি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারনা দিল। পাশাপাশি পাঠটির দৈর্ঘ অতি দীর্ঘ না হওয়ায় পড়তে কোন অসুবিধা হল না। এবার আর একটু জানতে ইচ্ছে করছে।
এখন কোভিড ও অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে ঠিক/বেঠিকের দ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা। তবে, এই তথ্যপূর্ণ লেখাটি মানুষকে সাহায্য করবে।
ডঃ জয়ন্ত ভট্টাচার্যকে নমস্কার জানাই মিউকরমাইকোসিস রোগটির চরিত্র বিশ্লেষণ করা এবং ইতিবাচক উপদেশ দিয়ে আস্বস্ত করা।
আপনি ঠিকই বলেছেন চিকিৎসকবন্ধুদের ওপর ভরসা রাখতে।
তবে চুপি চুপি বলে রাখি, সুস্থ্য হলে বা না হলে চিকিৎসকদের অসম্মান বা আক্রমন করতে আমরা যে নিষ্ঠা দেখা দেখাই তার বহুগুণ বেশী নিষ্ঠা দেখাই আপনাদের আশ্রয় পাবার জন্য যখন রোগাক্রান্ত হই।
বাবা রামদেবও তাই করেন।
লেখাটা খুব পজিটিভ। পড়ে ভালো লাগলো।
Darun lakha. Aponake onek Dhonnobad mulloban bisoyer bapare jananor jonno. Thank you so much sir.
অসাধারণ তথ্য সমৃদ্ধ আলোচনা।