An Initiative of Swasthyer Britto society

  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close

নিরীহাসুরের নিশ্চিন্দিপুর

FB_IMG_1581825018172
Dr. Sabyasachi Sengupta

Dr. Sabyasachi Sengupta

General physician
My Other Posts
  • February 17, 2020
  • 9:51 am
  • 2 Comments

যেকোনো ফাঁকা জায়গায় যেমন হয়। বাউন্ডারী ঘেরা। সরকারি। ঝোপ জঙ্গল গজিয়ে ওঠে আনাচ কাণাচ ঘিরে। এখানে ওখানে লম্বা ঝাঁটায় জমা করে রাখা শুকনো পাতার স্তুপ। গোটা চারেক লাগামছাড়া, ফাটা বাকলের বৃক্ষ। আর মূল বিল্ডিংয়ের চার পাশ ঘিরে ড্রেনের কোল ঘেঁষে, সকড়ি ভাতের কিচেন গার্ডেন। বুনো টমেটো কিংবা রাগী লাল কচু।

আমারটিও ঠিক তাই। আমার এই টিবি হাসপাতাল চৌহদ্দিটি। যত দিন যাচ্ছে, ততই যেসব শিরায় শিরায় আর আস্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলছে আমাকে। আমার একান্ত নিশ্চিন্দিপুর। আমার “হান্ড্রেড ইয়ার্স অফ সলিচিউড”।

এখানে, আর পাঁচটা গাছের সাথে, শিউলি গাছও আছে একটা। বোকাসোকা। বেভুল। আহ্লাদী। শরৎ পেরিয়েও শীত কুয়াশায় ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে থাকে যেসব সকাল, সেসব অবেলাতেও নির্লজ্জের মতো পোয়াতি হয়ে থাকে পুষ্পের ভারে। আমি রাউন্ড দিতে গিয়ে ক্ষণিক থমকে দাঁড়াই সেথায়। পা সরিয়ে রাখি শশব্যস্তে। যেন আঁতুড়ঘরে পিতামহ। ডান হাতখানি কোমরে রেখে, হাঁ করে তাকাই উপরপানে। আর দেখি, আলতো শব্দের সঠিক, সচিত্র উপস্থাপন। বোঁটা আলগা হয়ে ঝরে পড়ছে, ঝরে পড়ছে, ঝওওওওরে প-ড়-ছে….. একখানি সদ্যজাত ফুল। ভূমিষ্ঠ হচ্ছে হাওয়া মেখে, কুয়াশা ভিজে নিঃশব্দে। তারপর ঠিক এসে পড়ছে আমারই পায়ের ডানপাশটিতে। এমন ভাবে ছুঁচ্ছে জমিন, যেন প্রথম চুম্বন কৈশোরের। পরশ যার চিরস্থায়ী। স্পর্শ যার মামড়ি সিক্ত আলতো।

সেই গাছটাকেই কেটে দিয়েছে এক বেয়াকুব। কেটে দিয়েছে বললে ভুল হবে। ছেঁটে দিয়েছে নির্মম ভাবে। আউটডোরে ঢোকার সময়েও দেখেছিলাম সেদিন, মূর্তিমতী মাতার মতো দাঁড়িয়ে আছে গাছখানা। শীর্ণ, রুক্ষ, ফুটিফাটা, খসখসে গাত্র। আপাত মৃত। তবুও তীব্র জীবিত। ডালে ডালে হলুদ বিন্দু, শুভ্র পাপড়ি পুত্র। কিংবা কন্যা। অথবা জাতক। এমন হলুদ, যে হলুদের নাম স্রেফ শিউলি। এমন হলুদ, যাকে গেরুয়া বলতে পারি না কিছুতে। অথবা বাসন্তী।

সেই গাছটাই দেখলাম ডালপালা, আর পুষ্প সমেত ন্যাড়া নাংটা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাহাকারের মতো। আঁতুড় ঘর থেকে উষ্ণ শাবক মুড়িয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে ষড়যন্ত্রীর চর।

আউটডোর শেষে, রাউন্ড দিতে গিয়ে আমি তো থ। তারপর সে কি চ্যাঁচামেচি, চোটপাট আর রাগারাগি। সিস্টারদের উপরে— দিদি? গাছটা কেটে দিলো? দেখতে পেলেন না? কী করেনটা কী? দুর ধুর…

দিদিরা আমার বড়ই মমতাময়ী। আক্ষরিক অর্থেই ‘সিস্টার’। বয়সের ভারে ন্যুব্জা, স্মিতহাস্য, সর্বংসহা, ধীরস্থির। সকলে মিলে বোঝাতে বসলেন আমাকে—” কিচ্ছু হয়নি। ডালগুলো ছেঁটে দিয়েছে। বিচ্ছিরি রকমের বাড়ছিল। কেটে দিলে, আবার গজাবে। তরতর করে বাড়বে। দেখবেন…”

আমার আর শান্তি হয় না। গজগজ করছিলাম রাউন্ড শেষের অ্যাডভাইজ লিখতে লিখতে।
অথচ, এক ব্যটাকে ডেকে এনেছিলাম আমিই। জঙ্গুলে হয়ে যাচ্ছে চারপাশটা। যতদূর সম্ভব কেটে ছেঁটে পরিস্কার করে দেয় যেন সাজিয়ে গুছিয়ে। সুপারিন্টেন্ডের ঘরে দরবারও করেছিলাম বার দশেক– — ” লোক দিন্না, লোক দিন্না। স্যার।” সেই সুপারিশেই লোক এসেছিল কাটতে এবং ছাঁটতে। এসব আসলে… না করলে চলছিলই না।

এ আরেক দিকদারি। এপাশটা… আমার এই টিবি হাসপাতালের পাড়াটা ফাঁকা ফাঁকাই ছিল এতটা কাল। মোড় ঘুরলেই নদী। বাঁক পেরোলেই করলা। উপরে তার ছোট্ট পুল। পুলের শুরুতে আর শেষে সড়কপথের সাথে একচিলতে উবড়খাবড় সংযোগস্থল। স্কুটির টায়ার ঝাঁকি খায় মৃদু ঢকর ঢকর শব্দে। আর তারপরেই ফাঁকা ফাঁকা বাড়ি আর মস্তো দুইখানা মাঠ পেরিয়ে এককোণার এই হাসপাতাল।

এরকমই ছিল। তারপর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হলো। মাঠ জুড়ে। মেডিক্যাল কলেজেরও কাজ চলছে জোরকদমে। এককালে যে পথ পেরোতো আমার স্কুটি, এখন সে পথেই দাপিয়ে বেড়ায় বহুমূল্য চারচাকা চিকিৎসকদের। সেসবে আমার বড্ডো বেমানান লাগে। হীনম্মন্যতা শব্দটা উচ্চারণ করা ঠিক হবে না। তবে বড্ডো গুটিসুটি রকম লাগে। জলপাইগুড়ির তাবৎ ডাক্তার মহলের ‘কেউ একজন’ আজও হয়ে উঠতে পারিনি আমি। হবোও না জানি। রক্তে নেই। ধাতুতেও। আর তাই আমার চৌহদ্দির টিবি হসপিটালটুকু আরো ভালোবাসার হয়ে উঠছে দিন কে দিন। মার্কেজের স্বেচ্ছা নির্বাসনের মতো। পরাজিত। অভিমানী। এবং সুদৃপ্ত আশমানি।

একই অবস্থা হয়েছে বাদবাকি কিছু প্রাণীদেরও। শালিক, চড়াই, বেনেবউ, বেজি আর কুলোপানা চক্কর শঙ্খিনীদের। এদের খবর মিলতো বছর পাঁচেক আগেও। হয়তো সেসময়ে রুগি দেখছি আউটডোরে। একখান চ্যাংড়া এসে বললো–” মামা.. বাহিরাইছে..। বলছিলাম না? দেখবে চলো..।”
কোনো এক অজ্ঞাত কারণে এখানে কেউ আমাকে ডাক্তারবাবু বলে ডাকেনা। ছেলে ছোকরার কাছে আমি “মামা”। বুড়োবুড়ির কাছে– “বাবা”। ডাক্তার আর হয়ে ওঠা হলো না আমার কোনোদিনও।
সে যাক। যাক গে। তো সেইসব দিনে, আউটডোর ভর্তি রোগীপত্তর ফেলে থুয়ে আমি যেতাম সেই চ্যাংড়ার পিছুপিছু। পিছন পিছনে, ওই ভিড় করে রাখা রোগী আর পরিজনেরা। তারপর সক্কলে মিলে দেখতাম, রাস্তার ওইপাশে রোদ পোহাচ্ছে ফ্যাকাশে রঙের বুড়ো গোখরো। চেটে চেটে উষ্ণতা নিচ্ছে রোদ্দুরের।

কেউ মারতো না এদের। কাউকে কামড়েছে বলেও শুনিনি। দিব্যি টিঁকে ছিল মানব গাভী গাছপালা আর পশুপ্রাণী পাশাপাশি।

তারপর বিল্ডিংয়ের পর বিল্ডিং উঠলো যত, সব্বাই ঠাঁই নাড়া হয়ে এসে ভিড় করলো আমারই চৌহদ্দিতে। এটা, আমার হাসপাতালটা এখনো রয়ে গেলো মেঠো। বিজ্ঞান-নির্ভর যেটুকু উন্নতি প্রয়োজনীয়, তার বেশি পরিবর্তন হতে দিইনি আমি। স্বাস্থ্যদপ্তরও গা করেনি খুব একটা। জানে এবং জানা আছে ওদের যে, এখানে চিকিৎসাটুকু সঠিক হয়। পরিষেবা আর ভালোবাসাও। তা সে যতই সোঁদা গন্ধের হোক। আর ভাগ্যিস দিইনি। এখনও, আজও, আমার ঠিক পাশটিতে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও আমার আউটডোরে গড় রোগী সংখ্যা, একশো খানিক। কেউ সুফল পেয়ে আসে, আর কেউ আসে–” দশতল্লায় ঘুসতে ভয় লাগে মামা…। বকা দেয় যদি সিকুরিটি…”
আমার বাংলা। আমার স্বদেশ। আমার দুখী ভীতু জড়োসড়ো রুগীপত্তর।

কিন্তু সেসব নিয়ে “বাবা কেন চাকর”-এর রজ্জাক সাজলেই তো আর হয় না! নিয়ম নীতি মনে চলতে হয় কিছু। সমঝে চলতে হয় রিপোর্টারের ভয়টিকে। একবার যে রিপোর্টারকে আমি হাতেনাতে ধরেছিলাম বমাল সমেত। ক্যামেরা উঁচিয়ে রোগীকে বলছেন–” তাহলে বলুন, আপনাদের ডায়েটে পরপর দুদিন ফুলকপি দিয়েছে…।”
আমি স্রেফ গিয়ে মাঝখানে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম– টিবি রোগীর ভিডিও তুলছেন? পারমিশন নিয়েছেন? আইডেনটিটি ডিসক্লোজ করছেন যে?
রিপোর্টার ভদ্রলোক ক্যামেরা নামিয়ে বলেছিলেন—” পারমিশন লাগে না আমাদের। বেশি কথা বলবেন না। নয়তো দেখিয়ে দেব, হাসপাতাল চত্ত্বরে কুকুর ঘুরে বেড়াচ্ছে…। ঠিকাছে?”
তারপর তৃপ্ত মুখে বাইকে স্টার্ট দিয়েছিলেন। হেলমেট বিহীন। কানে, মোবাইল।

মারাত্মক আঘাত পেয়েছিলাম সেবারে। সাংবাদিক আর ছিদ্রান্বেষীর তফাৎ খুঁজে পাচ্ছিলাম না কিছুতেই। বাড়িতে এসে ভাত না খেয়ে দেয়ে বলেছিলাম ইস্কুল ফেরতা শুভ্রাকে— ” ভালোটা দেখাতে এদের এত অ্যাপ্যাথি কেন বল্ তো! জলপাইগুড়ি টিবি হাসপাতাল যে আগে তিনটে জেলাকে সার্ভিস দিত, আর এখন দিই আমি সাতটাকে… সেটা কেন কেউ বলবে না? কুকুর কি আমি দাঁড়িয়ে থেকে আটকাবো? পৌরসভা কি ঘোড়ার ঘাস কাটে?”

শুভ্রা কিছু বলেনি। শুভ্রা ঘর করছে আমার সাথে পনেরো বছর প্রায়। স্বচক্ষে দেখেছে ঝাপ্টিমারির ঘটনা। ওখানেই আমার প্রথম পোস্টিং। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। বছর বারো আগে। হাসপাতাল চত্ত্বরে গবাদি পশুর বাড়বাড়ন্ত বন্ধ করতে সেবার বাঁশের বাউন্ডারি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম আমি। আর ফলস্বরূপ– দেড় ঘন্টা ডেপুটেশন সহ্য করতে হয়েছিল আমাকে। –” গরু মোইষে ঘাস খাবেক কুঠে?”

তখন বয়স স্বল্প ছিল। বুঝিনি। এখন বুঝি। বাড়িতে এসে রাগ দেখালেও মনের ভিতরে বুঝতে পারি পরিষ্কার। দেশটা ভারতবর্ষ। আদর্শ বা আইডিয়াল যা কিছু বইতে লেখা, তা কিছু অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হলে, একসময় জনগণের থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবো পুরোপুরি। জনগণের সেবা আর করা হবে না।

রিপোর্টারকে পরের বার তাই বলেইছিলাম কেটে কেটে–” কুকুর ছাগল যা খুশি দেখান।”
কারণ একটাই। আমার হারাবার কিছু নেই। ভয়েরও। অনৈতিক কিছু করছি না আমি। কুকুর থাকা হাসপাতালে যেমন উচিত নয়, তেমনই উচিত নয় পথে ঘাটেও। আর যদি থাকে, তাকে পিটিয়ে বা বিষ খাইয়ে বা চৌকি দিয়ে আগলে রাখাও আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ভাগ্যবিড়ম্বনায় আমি ডাক্তারিটুকুই শুধু পড়েছি। কপালের ফেরে, ডাক্তারই হয়েছি। সবার আগে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছানো প্রয়োজন তাই। তারপরও মিডিয়া অধ্যুষিত একচোখো দেশ কাল যদি আমাকে উৎখাত করে ফেলতে চায়, করে ফেলুক। বয়ে গেল! কিন্তু যতদিন আছি, যত বেশি পারি মানুষের কাছে যাবো। বোঝাবো। বলবো। এ মাঠে গরু বেঁধো না। কিন্তু ঘাসে বিষ দেবো না কখনো।

যাক সে কথাও।
শুরু করেছিলাম যা দিয়ে। অর্থাৎ চৌহদ্দি। অর্থাৎ ইতস্তত ঝোপঝাড়। আর টুকরো টাকরা পাখি। তো, সেইসবের মাঝেই আমার এই হাসপাতালে বসবাস করা শুরু করেছে এক সারমেয় দম্পতি। রোগীদের বুঝিয়ে বুঝিয়েও হয়নি। ভাত পাতে পড়ে থাকা অন্ন ঠিক বেড়ে দিয়েছে ওদের। ফলত, কুকুর জোড়া ছেড়ে যায় না আর ক্যাম্পাস। কোথায় যেন পড়েছিলাম ইতিহাসে– মানুষের প্রথম প্রাণীবন্ধু কুকুরই। সেই ইতিহাসে জিন পরাতে পারিনি আমিও। উল্টে, কুকুরদুটোর প্রতি মায়া জন্মে গেছে বড্ডো। আউটডোর শেষে ওদের বিস্কুট খাওয়াই এখন আমিও। খচর মচর প্যাকেটের শব্দ পেলেই ওরা চলে আসে কান খাড়া। লেজ নাড়ে সাপটে সাপটে। মাঝরাত্তিরে পেশেন্ট খারাপ হলে কলবুকে আসি যখন, স্বাগত জানায় সামনের পা দুমড়ে।

ওদেরই একজন অসুস্থ। ওদের সন্ততি। মাস দুয়েক বয়স হবে। রোগা, পুচকি, পাটকিলে। খাচ্ছে না। আর ধুঁকছে সারাদিন।

টিউলিপের ছেলেকে বলেছি ওটাকে চোখে চোখে রাখতে।

কোন্ টিউলিপ? টিউলিপ নামের যে নেপালী প্রৌঢ়া ভর্তি আছেন আমার এখানে। যার ছেলের উপর প্রথমে বেজায় খাপ্পা ছিলাম আমি। তেড়িয়া হয়ে যে ছেলে বলেছিল–” সির্ফ টিবি হুয়া অউর এইডস হুয়া। ইসসে আদমিকা হালৎ ইতনা খারাব কিঁউ হোগা?”

সুরভি বুঝিয়েছিল সেদিন আমায়। আমার সহকর্মী আর অসম্ভব সহমর্মী। বলেছিল– রাগ করছো কেন? ওকে কেউ বোঝায় নি। তাই বোঝে নি। বুঝিয়ে দ্যাখো। বুঝবে।

বুঝেছিলোও। আর সেই টিউলিপের ছেলেই এখন আমার বশংবদ। এমনি এমনিই ঘুরঘুর করে চারিপাশে। গপ্পো গুজব করে। কুকুরগুলোর কান আর পেট চুলকে দেয়।

আমার অনুরোধ শুনে সেদিন থেকেই দেখছি হাজার রকম জড়িবুটি আর পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করেছে কুকুর বাচ্চাটার। আর আমি দেখভাল চালাচ্ছি টিউলিপের।

এভাবেই সকলে বেঁচে বর্তে যাক।
এভাবেই মায়া পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে ধরুক সবাইকে।

বসুধৈব কুটুম্বকম।

PrevPreviousStories on Rehabilitation: The Choked Cuckoo
Nextচিমা ওকোরি, লিনাস পলিং। ভিটামিন! ভিটামিন!!(তৃতীয় পর্ব)Next

2 Responses

  1. Aritra Roy says:
    February 17, 2020 at 3:23 pm

    ছোটবেলা থেকে অনেক বই প্রবন্ধ উপন্যাস পড়েছি কারণে অকারণে। আজ পড়ার অভ্যাস টা মুঠোফোনের দৌলতে নেই বললেই চলে। কিন্তু আজকাল আপনাদের মত কিছু মানুষের জন্য যেনো পড়ার অভ্যেস টা ফিরে আসছে।
    বড়ো পরিবার হওয়ার দরুন ডাক্তার দের সাথে আলাপ অনেক দিন আগে থেকেই। যদিও স্পেশালিস্ট দেখানোর শুরু হালফিল। কিন্তু আপনাদের কাহিনী পড়ে যেনো মনে হয় কোথাও একটু আলাদা আপনারা। এইরকম টাই তো দেখে বড়ো হয়েছিলাম। হঠাৎ যেনো সব বদলে যাচ্ছে।

    Reply
  2. Sarmishtha Chanda says:
    February 18, 2020 at 11:17 am

    Eto sundor hridoyer kachhakachhi lekha onekdin por porlam. Anubhuti r maya rong e chheye galo mon pran. Khub khub sundor….. Eito pachhi manobik dactar…. Ke bole je ei probhate keu manobik noy. Kichhu manys emni thak…… Prithvi bachbe, manus bhachbe, gachpala, poshupakhi something ekta brihot songsare basobas korbe.

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত পোস্ট

করোনা ক্লিনিকে ডা সায়ন্তন ব্যানার্জী ১

January 17, 2021 No Comments

দিনলিপিঃ খেলা শেষ?

January 17, 2021 No Comments

১৫ই জানুয়ারী, ২০২১ কাল ১৬ ই জানুয়ারী, শনিবার। সাড়ম্বরে ঠান্ডা ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে চলেছে বহুচর্চিত ভ্যাক্সিনের দল। দেশ জুড়ে ড্রাই রান সম্পন্ন হয়ে এখন

মারীর দেশের শেষ যুদ্ধের দামামা

January 17, 2021 No Comments

১৫ই জানুয়ারী, ২০২১ দেশজুড়েই করোনা সংক্রমণের হার কমছে। নিউজ চ্যানেলগুলোতে ঘন্টায় ঘন্টায় কোভিড রোগীর সংখ্যার আপডেট দেওয়া বন্ধ হয়েছে। কিছুদিন আগেও চ্যানেলগুলো দেখলে মনে হ’ত

শীতকালে চামড়ার সমস্যার সমাধান

January 16, 2021 No Comments

ডা কৌশিক লাহিড়ীর ইউটিউব চ্যানেল থেকে তার অনুমতিক্রমে নেওয়া।

ভ্যাক্সিন, আতঙ্ক-মুক্তি(?) এবং ওষুধের রাজনীতি

January 16, 2021 3 Comments

১ জানুয়ারি, ২০২১, মানিকন্ট্রোল পত্রিকার একটি “সুসংবাদ” – “Drugmakers to hike prices for 2021 as pandemic, political pressure put revenues at risk”। অর্থ হল অতিমারির

সাম্প্রতিক পোস্ট

করোনা ক্লিনিকে ডা সায়ন্তন ব্যানার্জী ১

Dr. Sayantan Banerjee January 17, 2021

দিনলিপিঃ খেলা শেষ?

Dr. Parthapratim Gupta January 17, 2021

মারীর দেশের শেষ যুদ্ধের দামামা

Dr. Soumyakanti Panda January 17, 2021

শীতকালে চামড়ার সমস্যার সমাধান

Dr. Koushik Lahiri January 16, 2021

ভ্যাক্সিন, আতঙ্ক-মুক্তি(?) এবং ওষুধের রাজনীতি

Dr. Jayanta Bhattacharya January 16, 2021

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

290048
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।