পাঁচ দিন হয়ে গেল, এখনও হল না। রিয়া ভাবল, একবার টেস্ট করে দেখবে কিনা। দোনামোনা করতে করতে ভাবল দেখেই নিই। এই ফালতু স্ট্রেস ভাল লাগে না। অফিসে বড় প্রোজেক্ট চলছে। চান করার আগে টেস্ট করে দেখল একটাই দাগ। কিটটা বিনে ফেলে দিয়ে অফিস যাবার জন্য তৈরি হতে শুরু করল। মনে মনেই বলে, ও ঠিক আছে, সামনের মাসে আবার চেষ্টা করবে। এত বড় প্রোজেক্টের কাজটা ভালো করে মেটাতে পারবে। আর অফিসে গিয়ে প্রোমোশনের চিঠি পেয়ে সকালের ব্যাপারটা ভুলেই গেল।
***
ঈশিতা দেখছে। কিটটা আস্তে আস্তে ভিজছে। C লেখার ওপরের দাগ গাঢ় হল। ওর চোখ T এর ওপরে। নাঃ কিছুই ফুটল না। এইরে! প্রেশার কুকারের তিন নম্বর সিটি আবার বেজে না ওঠে। কিটটা জানলা দিয়ে গলিয়ে নিচের আবর্জনার স্তূপে ফেলে দিল। বাড়ির অনেক কাজ বাকি। সামনের মাসে আবার চেষ্টা করবে।
***
রিয়ার ফোনে ফুটে উঠল “মা”। ফোন ধরতেই ও পাশ থেকে ভেসে এল, “কী রে কিছু হল”? মা সব কিছুর হিসেব রাখে।
“না, একটাই দাগ”।
“চিন্তা করিস না, পরের মাসে ঠিক হয়ে যাবে।”
রিয়া বুঝতে পারে মায়ের গলা ধরে গেছে। মেয়েরা সব বুঝতে পারে। কিন্তু ও মাকে কী করে বোঝায় যে ও কোনো চিন্তাই করছে না।
***
নীল হোয়াটসঅ্যাপে টিনার মেসেজ দেখল- single line। কী লিখবে ঠিক বুঝতে পারছে না। ভাবতে ভাবতেই টিনার পরের মেসেজ টা চলে এল। ৪টে বিয়ার স্ট্রং নিবি। আমি হোম ডেলিভারি বলে দিচ্ছি। নীল ফুরফুরে মেজাজে ভাবতে বসল, আজ বিকেলে কী কী গান বাজাবে।
জীবন অনেক লম্বা। বহু দাগ পড়ে। তাই একটা না দুটো দাগ পড়ল তা নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনো মানেই হয় না।