হাতুড়ে একেবারেই পরীক্ষিত জন্মহাতুড়ে। এনার জ্ঞানগম্মি তথৈবচ। তবুও আমাদের সকলের প্রিয় উদোদিদি হাতুড়ের কাছে এসেছেন। করোনা নিয়ে জানতে।
“করোনা কি হয়?”
“একটা ভাইরাল ইনফেকশন হ্যায়”
“এতে লোক মরে কেন?”
“সব অঙ্গ খারাপ হয়ে যায়, তাই”
“মরেছে। এটাকে ঠেকাবো কি করে?”
“দ্যাখ দিদি, আমাদের শরীরে করোনা ঢুকে হুশহুশ করে’ বাড়তে থাকে। এই সময়ে সিটি ভ্যালু খুব কম থাকে। অর্থাৎ ভাইরাল লোড খুব খুব খুব খুব বেশী। তখন এই দুষ্টুরা আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করে’ দ্যায়। লক্ষণহীন অসুখের পর্যায়।এই সময়ে ধরতে পারলে ভাইরাসধ্বংসী ওষুধ দিয়ে ভাইরাস ধ্বংস করলে ভালো। আমাদের দেশে সে পরিকাঠামো নাই। এবং হয়তো চিকিৎসকদের সেই সদিচ্ছা নেই।”
“একটা থাপ্পড় দেবো, বানর কোথাকার। লঘুগুরু জ্ঞান নেই….”
নির্বিকার হেতুড়ে বলতে থাকেন “এরপর আসে জ্বর। আমাদের শরীরের বিকৃত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সাড়া দিতে শুরু করে। এই সময়ে শ্বেতকণিকা বাড়তে থাকে। যেহেতু করোনা আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উঁচু মাথাদের বিগড়ে দেয়। উদা:-জেনারেল জয়ন্ত চৌধুরীর অল্টিচিউড সিকনেস আমাদের সৈন্যবাহিনীকে বহু ভুল সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছিলো। ফলতঃ চৈনিক বাহিনীর কাছে আমরা পর্যুদস্ত হই। সেই রকম আমাদের নিজেদের শ্বেতকণিকা আমাদের নিজেদের শরীরে ক্ষতি করতে থাকে। তখন তাকে থাবড়া মেরে বসিয়ে দিতে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। আমাদের ডাক্তারদেরও স্টেরয়েড নিয়ে একটা অহেতুকই ভীতি আছে। কারণ সম্ভবতঃ অজ্ঞানতা। হ্যাঁ সাময়িক শুগার বাড়ে, ছত্রাক আমাদের ছত্রভঙ্গ করতে আসে। কিন্তু এই রোগীদের না দিলেও চলে। কিন্তু কেন দেবো না, জানি না।কোভিডে পটকানোর চে’ শুগার বাড়া বোধহয় ভালো।”
“ব্যস, এইটুকু তোর ঘন্টাখানেকের সাতকাহন?”
“না না না না না না। এই বিকৃত প্রতিরক্ষা আমাদের শরীরের শিরা, ধমনী আর ধমনীউলসকে বন্ধ করে দ্যায়। এটা ঠেকাতে, হেপারিন দিতে হবে। কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘন্টা কে বাঁনবে?”
“ইকি! এরমধ্যে বেড়াল কোত্থেকে এলো?”
“বেড়াল মানে হেপারিন ইঞ্জেকশন কে দেবে, এ্যাত্তো এ্যাত্তো কোভিড রোগীকে? তাছাড়া আছে কোভিড মার্কার, মানে কোভিড আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কতোটা ক্ষতি করেছে, কি ডোজের স্টেরয়েড দেবো? নাকি ঐ যে কি বলে সিটালোজুমাব দেবো কিনা সেই কথা”
“অক্সিজেন দেবো না? দেবো না আমরা অক্সিজেন?”
“সাধারণতঃ হ্যাপ্পি হাইপোক্সিয়ায় অক্সিজেন বেকার, তবে কিনা নিউমোনিয়া হলে অক্সিজেন সাহায্য করে। তবে খুব বেশী হারে”
“ব্যস?”
“ডেল্টা সেরে গিয়ে কি ক্ষতি করে, আমরা জানি। সেটা ঠেকাতে কি করবো সেটাও কিছু কিছু জানি। কিন্তু ওমিক্রন তো সদ্যজাত শিশু।এ বড়ো হয়ে কি করবেন, বিধাতাবাবু এখনও বলেননি….. আর হ্যাঁ এখন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তিন নম্বর বুস্টার নেবো।এরপর ভবিষ্যতের আক্রমণ ঠেকাতে চতুর্থ… ফের মিউটেশন ঠেকাতে পঞ্চম,ফের….”
“তোর পুনঃপৌনিক রেকারিং ডেসিমেল বন্ধ করে আয় রুবাবু চমৎকার ওমলেট বানিয়েছেন, খেয়ে বাড়ি যা”