১.
সাদা, কালো, হলুদ, বেগুনী এভাবে fungus-এর classification হয় না। ব্যাপারটা এত্ত সহজ নয়। সেটা জানতে হলে যেকোন mycology /botany এর বই দেখুন। Mucormycosis আর black fungus এক নয়। Black fungus হল সেই fungus, যাকে মাইক্রোস্কোপের তলায় কালো দেখায়, যেমন–Dematicaeous fungi। অন্যদিকে Mucormycosis-এ ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুর রঙ কালো হয়ে যায়, এবং এই রোগ সম্পূর্ণ অন্য গোত্রের ছত্রাকের জন্য হয়, যাদের একত্রে Mucorales বলা হয়।
২.
ফাঙ্গাস ইউক্যারিওট জীব। অর্থাৎ, এদের কোষের সাথে আমার আপনার কোষের বেশ কিছু মিল আছে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সাথে মিল একদমই নেই। ফাঙ্গাসের জিনোম ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার থেকে অনেক বেশি।
৩.
এর ফলে এরা দ্রুত মিউটেশন করতে পারে না। যার দরুণ antifungal ওষুধে resistant-এর ঘটনা অত্যন্ত দুর্লভ। আর অ্যান্টিফাঙ্গাল দ্বারা নির্দিষ্ট চিকিৎসাও আছে। করোনার মতো আমাদের হাতড়ানোর প্রয়োজনই নেই।
৪.
ফাঙ্গাসের কোন ভ্যাক্সিন হয় না। ফলে যাঁরা ভ্যাক্সিন ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন, তাঁরা অশিক্ষার চরম অন্ধকারে নিমজ্জিত।
৫.
বেশিরভাগ ফাঙ্গাল ইনফেকশনই হল opportunistic infection, বাংলায় বললে সুযোগসন্ধানী সংক্রমণ। এরা স্বভাবতই আমাদের দেহে বাস করে, এবং নির্বিবাদে বাস করে। উপরন্তু আমাদের শরীর এদের বিরুদ্ধে লড়ার প্রসেস জানে। কিন্তু কোন কারণে এই লড়ার প্রসেসটা ভীষণ রকম দুর্বল হয়ে গেলেই এরা আক্রমণের সুযোগটা পায়। এরকম কয়েকটা ছত্রাকের নাম হল – Candida, Aspergillus, Rhizopus, Mucor, Cryptococcus, Absidia, ইত্যাদি।
৬.
ফাঙ্গাস ইনফেকশন করোনার মতো কোন নতুন কিছু নয়। বরং করোনার থেকেও অনেক পুরনো। করোনার প্রথম ঘটনা ঘটে ২০০২-এ SARS, তারপর ২০১২-এ MERS, এবং ২০১৯-২০-তে SARS-COV2 অতিমারী।
৭.
Systemic Fungus infection একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায় না।
অতএব, সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হওয়া এসব লাল, হলুদ, সবুজ, মেরুন ফাঙ্গাসের গল্পে আতঙ্কিত হবেন না। যত আতঙ্কিত হবেন, তত শরীর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। বিজ্ঞানে ভরসা রাখুন, সুস্থ থাকুন।