মনের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে তিনটি জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এক, নিজের সম্বন্ধে সঠিক ধারণা থাকা। মানে নিজের দুর্বল জায়গা বা নিজের বিশেষ ক্ষমতা, গুণ যাতে সেই অনুযায়ী জীবনের লক্ষ্য স্থির করা যায়।
দুই, প্রাত্যহিক জীবনের ঝড় ঝাপ্টা নিজের থেকেই কাটিয়ে ওঠা।
তিন, সামাজিক দিক থেকে ভাল থাকা ও অন্যকে ভাল রাখা। সমাজে বা সংসারে যে নির্দিষ্ট কর্তব্য থাকে তা পালন করতে পারা।
মোদ্দা কথা, আবেগ অনুভূতির দিক থেকে, মানসিক ভাবে ও সামাজিক ভাবে একটা সার্বিক ভাল থাকাকেই মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণ বলে ধরা হয়।
তার মানে কি এক অনন্ত ভাল থাকায় ভেসে থাকাই মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণ? তার মানে কি কখনই খারাপ থাকতে পারব না আমরা। বিষয়টা ঠিক তেমন নয়। খারাপ থাকাটার মাত্রা যদি ক্রমাগত বাড়তে থাকে এবং নিত্যকার জীবনে, বা সম্পর্কে তার কু প্রভাব পড়তে থাকে তখন বুঝতে হবে কোথায় যেন লাল বাতি সংকেত দিচ্ছে।
দেহের স্বাস্থ্য খারাপ হলে যেমন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় তেমনই মনের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকলে রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমে বাড়তে থাকে।
চলবে…