মনেরে আজ কহো যে ৪
মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে দুটো বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
১. আমাদের চিন্তা, ভাবনা, বিশ্বাস ইত্যাদি
২. আবেগ/ অনুভূতি
ধরে নেওয়া যাক চিন্তা হল সিনেমার নায়ক, প্রধান চরিত্র। আবেগ হল নায়িকা।
এবার কেমন মজা দেখুন।
নায়ক ভাবে “আমায় কেউ ভালবাসে না।”
নায়িকা কি করবে তখন?
আনন্দ? একদমই নয়।
দু:খ, ভীষণ দু:খ হবে।
নায়ক আর নায়িকার বড় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যে!
নায়ক যেমন ভাবে নায়িকার মনে তেমন আবেগ জন্মায়।
কিন্তু নায়ক ভেবেছে বলেই সে কথা কি ঠিক?
নায়কের বাবা পাহাড়ি সান্যাল প্রশ্ন করে্ন, “এত বড় সিদ্ধান্ত কিসের ভিত্তিতে? কেউ ভালবাসে না?”
নায়ক বলে, “কেন? এই তো আমি ডাকলাম আমার বন্ধুকে, সে শুনতেই পেল না।শুনতে পেল না? নাকি না শোনার ভাণ করে চলে গেল।আসলে আমায় এড়িয়ে যেতে চায়”(আমাদের মাথায় আসা নেতিবাচক চিন্তা)
আপনারাই বলুন, নায়িকার(আবেগ) মনের অবস্থা কি হবে?
দু:খ, নিজেকে ছোট মনে হওয়া।
পাহাড়িবাবু বোঝান। “এমন ভাবতে নেই। কোনও কারণে ব্যস্ত ছিল তাই তোমায় খেয়াল করতে পারে নি। আচ্ছা আগেও কি এমন হয়েছে? সে কি কোনওদিন তোমার সাথে নিজে থেকে যোগাযোগ করে নি?”
নায়ক থমকায়।
“গত সপ্তাহে ফোন করেছিল বটে, আমি ব্যস্ত ছিলাম ধরতে পারি নি”।
তবে?
বাবা বলেন, “এবার তো তোমারই তাকে ফোন করা দরকার। হতে পারে সে ভাবছে তুমি তার সাথে যোগাযোগ রাখতে চাও না।”
নায়ক ভাবে, “হুম, আমায় কেউ ভালবাসে না দুম করে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছনোটা বাড়াবাড়ি। একজন বন্ধু এড়িয়ে চলতে পারে বা আমার নিজের তরফ থেকেও কিছু ত্রুটি হতে পারে”……
নায়িকা চোখ মুছে উঠে বসে। অতটা বিষাদ নেই আর। তবে একটা মন খারাপ আছে বটে।
সে থাক। ওগুলো আছে বলেই তো জীবন রামধনুর( রং ধনুর) মতো।
রাগ, দু:খ, অভিমান ভাল লাগা সব থাকবে, থাকাটাই স্বাভাবিক। শুধু তা যেন মাত্রা না ছাড়ায়। তাই আমাকে/আপনাকে পাহাড়িবাবু বা ছবি বিশ্বাসের ভূমিকায় লড়ে যেতে হবে। মাথায় আসা চিন্তাগুলোর ওপর নজরদারি করতে হবে।
চ্যালেঞ্জ করতে হবে। আমার মাথায় আসছে মানেই সেগুলো যুক্তিপূর্ণ এমনটা মোটেও নয়।