মন মেজাজ ভাল থাকে না। মনে কেবল চিন্তা (আসলে দুশ্চিন্তা) কিংবা মনে সব সময়ে একটা ভয় কাজ করছে, এমন কথা হামেশাই শুনতে হয়। দুশ্চিন্তার কারণ হল আগত কোনও সমস্যা বা বর্তমানের কোনও সমস্যার আগত কোনও খারাপ ফল। “ভবিষ্যৎ একেবারে ঝর ঝরে”
এমন ভাবনা থেকেই যেন ভয়। এই আমাদের মানে মানুষদের এক সমস্যা। আমরা আবার কল্পনা করতে পারি। কল্পনার পাখা মেলে কত কি না ভেবে ফেলি। তাই সমস্যার পাহাড় জমে যায়। কতক বাস্তব সমস্যা। কতক আবার কাল্পনিক।
সমস্যা তো কত রকমের। জীবন আছে মানেই সমস্যা থাকবে। শুধু সমস্যাগুলোর রকম ফের আলাদা। পাড়ার ছোট ছোট দোকানীদের সমস্যা পাড়ায় বিগ বাস্কেট ঢুকে পড়েছে, রনিতের সমস্যা ওর গার্ল ফেন্ড কিছুতেই ঘনিষ্ঠ হতে চাইছে না, পিউ বৌদির সমস্যা বর মোটে সঙ্গ দেয় না, মালতীর সমস্যা কাজের বাড়িতে সারাক্ষণ খিট খিট করে, মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের সমস্যা তাদের ইউনিয়নের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন হয় না, ডাক্তারদের সমস্যা রোগীর বাড়ির লোক যখন তখন তাদের ওপর হামলা করে। আবার কত মানুষের সমস্যা খালি মনে হয় হাতে নোংরা লেগে যাচ্ছে। কারও মনে হচ্ছে তাকে খুন করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। সমস্যা আর সমস্যা…….
এত সমস্যায় ভাল থাকা যায় বলুন?
আচ্ছা এটা কোথায় বলা আছে বলুন তো যে সব সময়ে আমাদের ভাল থাকতেই হবে। এ যেন এক মস্ত জাঁতাকল। “Hapiness Trap”!
বাস্তব সমস্যার ক্ষেত্রে বলা যায়, সমস্যার একটা ভাল দিক আছে। সমস্যা আপনাকে আমাকে শিক্ষকের মতো কিছু না কিছু শিখিয়ে চলেছে। সমস্যায় পড়লে তবে তো সমাধানের রাস্তা খুঁজি আমরা। আর তখন নতুন নতুন রাস্তা খুলে যায় আমাদের সামনে। যেমন আমাদের ভাই বোনগুলো নিজেরাই নির্বাচন সংগঠিত করে দেখিয়ে দিল মেডিক্যাল লড়ছে, মেডিক্যাল লড়বে।
আর কাল্পনিক সমস্যার ক্ষেত্রে বলা চলে, নিজের মাথায় আসা দুশ্চিন্তাগুলো লক্ষ্য করুন। দরকার হয় ডায়েরিতে লিখুন। তাতে কি হবে? দেখবেন নিরপেক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারলে সেগুলো বিরক্ত করার শক্তি হারায়। ওদের মাথায় আসা আটকাবার চেষ্টা না করে বরঞ্চ ওদের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া করা বন্ধের চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন আপনার মাথায় আসছে মানেই সে সব চিন্তার বাস্তব ভিত্তি আছে এমনটা নয়। তাদের কষ্টি পাথরে ঘসে যাচাই করে নিতে হবে।