[ আমাদের ডাক্তার একটু বেশী কথা বলেন তাই একটু ধৈর্য ধরে পড়ুন ]
পাঁচু অর্থাৎ পাঞ্চজন্য মুখার্জি এবং চন্দ্রাণী মাহাতো অর্থাৎ চাঁদু সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে। এবং ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরা ওদের সন্তানের জন্য আদর্শ মা বাবা হয়ে উঠবে। তাই দুজনে মিলে পাড়ার এক বয়স্ক ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকে পড়েছে। ঢুকে তো পড়েছে এবারে কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। ডাক্তার নিজের টাকে হাত বুলিয়ে মোটা মোচে তা দিয়ে জিগ্গেস করলেন ” কি কেস ?”
পাঁচু কিঞ্চিৎ লাল হয়ে বললো “আমরা বিয়ে করতে চাই। ”
ডাক্তার গেলাসের ঠান্ডা চায়ে শেষ চুমুকটা দিয়ে বললেন “কংগ্র্যাচুলেশন্স, কিন্তু আমি তো ম্যারেজ রেজিস্ট্রার নৈ।”
চাঁদু বললো “আহাম্মুক।”
টেকো ডাক্তার বেজায় রকমের চমকালেন।
পাঁচু মাথা নিচু করে বললো “আজ্ঞে ওটা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। আসলে আমরা আদর্শ মা বাবা হতে চাই। এ বিষয়ে কিছু ইয়ে মানে জানতে এসেছি।”
চাঁদু যোগ করলো “আসলে আপনার চেম্বারটা আজ ফাঁকা দেখলাম। মানে আমি চাঁদু মানে চন্দ্রাণী আর ও পাঁচু মানে পাঞ্চজন্য।”
ডাক্তার গেলাস তুলে দেখলেন শূন্য পেয়ালা, হাঁক পাড়লেন “মনোজ তিনটে চা” তারপর আরম্ভ করলেন “আমরা সবাই চাই সন্তান বড়ো হোক শিক্ষিত হোক। ভালো করে পড়াশোনা করুক। যা পড়বে মনে রাখতে পারুক তাইনা? তাই আজ একটা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হোক । আমি তোমাদের তুমি করেই বলছি তোমরা মন খুলে প্রশ্ন করো আমি উত্তর দিই । চলো চায়ের কাপে চীয়ার্স করে’ মুক্ত মনে আলোচনায় বসি।”
[ এখানে প্রঃ মানে প্রশ্ন আর উঃ মানে উত্তর বোঝানো হয়েছে ]
প্রঃ ” আমাদের ঘিলুর ভেতরে স্মৃতিশক্তি আর বুদ্ধি যেখানে তৈরি হয় সেই জায়গাটাকে যদি একটু বড়ো করে দেওয়া যেতো তাহলে আমাদের দুশ্চিন্তা একটু কমতো। চিকিৎসা বিজ্ঞান কি আদৌ জানে ঘিলুর কোন জায়গাটায় বুদ্ধি স্মৃতি আর জটিল সমস্যা সমাধানের ব্যাপার স্যাপার গুলো থাকে?”
উঃ ” আজ্ঞে হ্যাঁ জানা গেছে।”
প্রঃ ” সেটা কোথায় মশাই ? ”
উঃ ” হিপ্পোক্যাম্পাস বলে মাথার মধ্যে একটা অংশ আছে যেটা আমাদের বুদ্ধি আর স্মরণশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ”
প্রঃ ” জানাই যদি গেছে তাইলে ওটাকে একটু ইয়ে মানে শক্তপোক্ত আর একটু ইয়ে মানে বাড়িয়ে কিভাবে দেওয়া যায়… যদি কিছু ওষুধ বা কোনও হেল্থ ড্রিঙ্ক?”
উঃ ” হুঁ পথ আছে বৈকি, পথ অবশ্যই আছে …”
প্রঃ ” কি করতে হবে? কোন কোম্পানির কত দামী ওষুধ লাগবে বলুন, কোন কোম্পানির প্রোটিন খাওয়াতে হবে জাস্ট নামটা বলুন।”
উঃ “এতো কিনতে পাওয়া যায় না গো। সন্তানসম্ভবা মা যদি গর্ভবতী অবস্থায়ও প্রতিদিন কিছু কিছু শরীরচর্চা করেন তাহলে তাঁর সন্তানের মস্তিষ্কের গঠন উন্নত হয়। এছাড়াও একটি বাচ্চা যদি স্কুলে যাওয়ার আগের বয়স থেকেই প্রতিদিন অন্ততঃ একঘন্টা শারীরিক পরিশ্রম অর্থাৎ দৌড়োদৌড়ি ইত্যাদি করে তাহলে দেখা গেছে বাচ্চাদের মাথার হিপ্পোক্যাম্পাসটা অন্য বাচ্চাদের থেকে বড় হয়। এই হিপ্পোক্যাম্পাস আমাদের লার্নিং এবিলিটি বা শেখার ক্ষমতা বাড়ায়। মনোসংযোগ ক্ষমতা বাড়ায় এবং জটিল জিনিসের সমাধান করতে শেখায়। নতুন কিছু আবিষ্কারের ব্যাপারটাও এখানেই থাকে। এক্ষেত্রে জেনেটিক ব্যাপারটা আমরা সরিয়ে রাখছি – সোজা কথায় এটাই বুদ্ধি বাড়ায়। এটা আমার কথা নয়কো বিদেশীদের কথা। আমেরিকার ইলিওনিস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাজাত তথ্য। অর্থাৎ অনেকক্ষণ পড়ার থেকেও প্রতিদিন একটু খেলার উপকারিতা অনেক বেশী।ঐযে ছোটবেলায় পড়েছিলে না অল ওয়ার্ক অ্যান্ড নো প্লে মেকস জ্যাক আ ডাল বয় … ও ওটা পড়ো নি? সিলেবাসে ছিলো না? স্যরি । শুধুমাত্র মনের বা বুদ্ধির বিকাশ নয় মশাই তার শরীরটাও কিন্তু শক্তপোক্ত হয়ে গড়ে উঠবে। সন্তান দীর্ঘজীবী হবে। এছাড়াও যেকোনও শারীরিক পরিশ্রমের পর একটা রাসায়নিক পদার্থ মাথার মধ্যে থেকে বেরোয় brain derived neurotrophic factor, যেটা মস্তিষ্কের গঠন আর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তার মানে বহুল বিজ্ঞাপিত ঐসব পানীয় কোনও কাজের নয়। হ্যাঁ গো দায়িত্ব নিয়েই বলছি। এগুলোতে যেসব জিনিস থাকে বলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় তার কোনোটাই সঠিক প্রয়োজনীয় মাত্রায় থাকে না। আর শুধুমাত্র ওসবে কিস্যু হয় না। ওগুলো অবৈজ্ঞানিক ফর্মুলা। এমনকি কোনও হেলথ ড্রি খেয়ে কেউ লম্বা হয় না – হতে পারে না। টিভিতে সারাদিন বললেও হয় না। ওটা জিন আর হর্মোনদের খেলা। এছাড়াও খেলাধুলা করলে মস্তিষ্কের কর্টেক্স, টেম্পোরাল লোব আর ক্যালকেরিয়ান অঞ্চল সুষ্ঠু ভাবে বেড়ে ওঠে। টেম্পোরাল লোবের সঙ্গে হিপ্পোক্যাম্পাস ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত। এগুলো আমাদের কাজের দক্ষতা আর বুদ্ধিবৃত্তির সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত। আর একটা কথা খেলাধুলায় বাচ্চাটা যদি আনন্দ পায় তাহলে সেরেটোনিন বলে একটা হতাশা কমানোর রাসায়নিক যৌগ আছে সেটা ঘিলু থেকে বেশী পরিমাণে বেরোয় – সন্তান ভালো থাকে – আনন্দে থাকে । ফলতঃ পড়ার উৎসাহ অনেক বেড়ে যায়।”
প্রঃ “সেকি মশয় এ্যাতো খেললে পড়বে কখন? খেলাধুলা করেই তো ক্লান্ত হয়ে যাবে?”
উঃ “হুম তাই? আচ্ছা বেশ বলো দেখি তোমরা তোমাদের সন্তানের থেকে কি কি জিনিস মানে গুণাবলী আশা করবে?”
প্রঃ “মানে? পড়াশোনা করবে ভালো নম্বর পাবে একটা ভালো চাকরি পাবে অনেক টাকা মাইনে পাবে এইসব আর কী? পাড়ার সবাই মানে …. বোঝেনই তো .…”
উত্তরঃ “আর বাধ্য হওয়া অর্থাৎ ওবিডিয়েন্স, বিপদে মাথা ঠান্ডা রাখা ভেঙে না পড়া বা রেজিলিয়েন্স, রেজিলিয়েন্স মানেটা কি যেন?”
প্রঃ “রেজিলিয়েন্স? রিলিজিয়ন মানে ধর্ম রিলেটেড কিছু?”
উঃ “না না মানে লড়াই করার ক্ষমতা, সহনশীলতা হেরেও এগিয়ে চলার জেদ বিপদে লড়াই করার ক্ষমতা এই সব আর কি। কিম্বা সত্যি কথা বলা, ভুল স্বীকার করা, ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠা এসব গুলো?”
প্রঃ “আরে থামুন মশয় এতো রেলগাড়ি চালিয়ে দিলেন! প্রথম কথা আমার সন্তান মিথ্যে বলবে না আর যথেষ্ট বাধ্য হবে বিনা প্রশ্নে যা বলবো তাই মেনে নেবে – আর ওকে বিপদে পড়তেই দেবো না বুক দিয়ে আগলে রাখবো।”
উঃ “কিন্তু পাঁচুবাবু যদি তোমার নিজেরই সাঙ্ঘাতিক খারাপ কিছু হয় তখন তো বাচ্চাকে নিজেকে নিজেই সামলাতে শিখতে হবে ! এটাই ম্যাচুইরিটি বা রেজিলিয়েন্স । তাহলে এসো আমরা প্রথমে সন্তানের কি কি গুণাবলী থাকা উচিৎ সেটা নিয়ে আলোচনা করি। এই সবগুলোই মা বাবাকে তৈরি করে দিতে হয়। প্রথম কাজ হবে বাচ্চার ভয় দূর করা। ”
চাঁদু বলে “ভয়? কিসের আবার ভয়? ”
ডাক্তার টেবিলে একটু টরেটক্কা বাজিয়ে বলেন” একটা বাচ্চা যখন জন্মায় তখন একটা নতুন অচেনা জগতে এসে ঢুকে পড়ে। ওর অ্যামিগডালা বলে ঘিলুর একটা অংশ ওকে বাঁচার তাগিদে ভয় পেতে শেখায়। মেঘে ভয় – বৃষ্টিতে ভয় – অন্ধকারে ভয় – অচেনা জায়গায় ভয়। বাবা মায়ের কাজ ওকে এইসব ভয় থেকে মুক্ত করে স্বাবলম্বী সাহসী করে তোলা। দু নম্বর হলো অনুসন্ধিৎসা বা কিউরিওসিটি । একটা নবাগত মানুষ বহু কিছু জানতে চাইবে। আকাশ ক্যানো নীল? পাতা ক্যানো সবুজ? আকাশের তারা কত দূরে? জল না খেলে কি হবে? রক্ত লাল ক্যানো? ফ্যানটা ঘুরছে ক্যানো? আলো জ্বলছে ক্যানো? এই সব আর কি, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ওর প্রশ্নের উত্তর না জানা থাকলে স্বীকার করতে হবে যে আমি জানি না। তারপর সন্তানের সঙ্গে বসে বই বা নেট খুলে উত্তরটা জানতে হবে । ”
পাঁচু শুধু বলতে পারে “খাইসে। ভেবেছিলাম ইয়ে মানে বিয়ের পর আমাদের ভালবাসায় সন্তান তৈরি হবে ,তারপর ভালো ইস্কুল আর টিউশন….. এতো দেখছি বেশ ঝামেলার ব্যাপার ..”
চাঁদু কিন্তু বেজায় খুশি । ও বলে ” আমার কিন্তু বেশ মজার লাগছে । ”
ডাক্তার হাসেন “হ্যাঁ গো পাঁচুবাবু সন্তানকে কোয়ালিটি সময় দিতে হবে। ওকে শপিং মলে নিয়ে শুধু জিনিস কিনে দেওয়াটা টাকা থাকলে পাশের বাড়ির কাকু কাকিমাও পারবে – আসল হচ্ছে তিনজনের সঙ্গটা তিনজনেরই ভালো লাগতে হবে। এরপর আসছে আত্মবিশ্বাস তৈরি করা। নিয়মানুবর্তী হওয়া আর দায়িত্বশীল করে তোলা। এই তিনটে একে অপরের পরিপূরক। ধরো …”
চাঁদু বললো “কি ধরবো?”
ডাক্তার ভুরু কুঁচকে বলেন “ফক্কড় কোথাকার।”
পাঁচু একটু দমে গেছে । বিশেষ কথা বলছে না ।
“ধরো ওর পড়া শেষ করার সময়টা বেঁধে দিলে …ধরো রাত ন’টার বেশী পড়তে পারবে না এবং ওর হোমওয়ার্ক ব্যাগ গোছানো এগুলো ওরই দায়িত্ব। এতে ওর আত্মবিশ্বাস আর সময়ানুবর্তিতা – দুইই বাড়বে। যেহেতু নটার পরে পড়া বারণ তাই ঠিক সময়ে পড়তে বসবে। যেহেতু ওকে ভুল করতে করতেই শিখতে হবে তাই নিজে নিজে ঠিক জিনিসটা শেখার আগ্রহ বাড়বে। মাধ্যমিক তো দেবে সেই ষোল বছর বয়সে, তার আগে ভুল করবে আবার শুধরে নেবে – তবে ঠিকঠাক শেখা হবে – এটার জন্যেই তো এ্যাতোগুলো বছর ধরে পড়ানো হয়। এছাড়া তোমাদের বলতে হবে ঝুঁকি নাও – ভুল করলে – পা পিছলে পড়লে আমরা আছি ; আমরা তোমার হাত ধরে তুলবো। এতে ওর নিজের ওপর ক্রমশঃ ভরসা বাড়বে। এটা ওর ক্রিয়েটিভিটিও তৈরি করবে। নতুনভাবে ভাববার নতুন পথে চলবার সাহস যোগাবে। একটা অঙ্ক কত ভাবেই তো করা যায়, তাই না? সন্তান যদি নতুন কোনও পদ্ধতি বার করে সেটাকে উৎসাহ দাও। তবে তো ওর লুকানো প্রতিভা বিচ্ছুরিত হবে। ও যদি অবসরে ছবি আঁকে – আঁকুক , গান গাইলে গাক, ওর আসল ভালোলাগাটা কিন্তু মা বাবা ছাড়া আর কেউই খুঁজে পাবে না। তাই ওর আসলে কি নিয়ে বড়ো হওয়া উচিত সেটা মা বাবাকেই খুঁজে বার করতে হবে। ওর সঙ্গে বুদ্ধির খেলা খেলতে হবে :- জিগস পাজল ,রুবিক কিউব অথবা দাবা। ওকে কঠিন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে হবে। হারজিৎ তো থাকবেই। জয়ে বা হারে সমান ভাবে ওর পাশে থাকতে হবে।”
পাঁচু একেবারে স্তব্ধ । চাঁদু বলে “এ তো ভারী কঠিন কাজ ডাক্তারবাবু ?”
ডাক্তার চশমাটা খুলে ওর দিকে তাকান “না মা, এটাই ভালবাসা, এভাবেই যুগ যুগান্ত চলছে। ”
চাঁদু ঘাড় নাড়ে । ডাক্তার আপনমনে বলে যান “ওকে বিনয়ী করো। বাধ্য নয়। প্রশ্ন করতে দেবে। আমি বাবা বা আমি মা বলছি – সুতরাং এটাই ধ্রুব সত্য – তোমাকে মানতেই হবে, এটা শিখিও না। যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিও কেন এমন বলছো। তোমরাও মানুষ – ভুল ত্রুটি দোষে গুণে মানুষ। ভুল হলে স্বীকার করবে। ওর ভুলে বা ভালো কাজে শাস্তি মানে শারীরিক শাস্তি কখনোই নয় – পুরস্কার তিরস্কার কিচ্ছু নয়। বরং উৎসাহ দেওয়া। সন্তানের গায়ে হাত তুলো না। পানিশমেন্ট মানে শাস্তি আর পুরস্কার মানে টাকা পয়সা, উপহার – এ দুটোই বারণ। ওকে ভুলটা দেখিয়ে দাও – পরের বারের জন্য উৎসাহ দাও। বলো চিয়ার আপ। আগে বাঢ়ো। তুমি সবই পারবে। পারবেই।……বরং প্রতিবাদ করতে শেখাবে নাহলে ভবিষ্যতে সবাই ওকে ঠকাবে। এর সঙ্গে একটু ভালবাসতে শিখিও। নাহলে যন্ত্র তৈরি হবে। ধরো তিনজনে রাস্তায় কিছু কিনে খাচ্ছো …একটা গরীব মানুষকে তোমাদের খাবার থেকে ভাগ দাও। আর হ্যাঁ ওর সামনে নিজে কখনোই কোনও আইন ভেঙো না। তাহলে ও’ও আইন মানতে শিখবে। মানুষকে ভালবাসতে শিখিও। তোমরা নিজেরা যেটা করবে সন্তানও সেটাই শিখবে। আর যখন সদ্য কৈশোর আসবে তখন ওরা অনেক বেশী উদ্ধত হয়ে উঠবে – অনেক নতুন সমস্যার মুখোমুখি হবে। তখন সমব্যথী হয়ে উঠো – ঐ বয়সটা বড়ো বিপজ্জনক। ঐ সময়ে ওদের বিশ্বাস কোরো। তোমাদের শেখানো পথেই তো ওরা চলবে তাই তোমাদের বিশ্বাস আর ভরসাটুকু ওদের ঐ সময়ে খুব দরকারী। নিজেরা বই পড়ো খেলাধুলা করো – সুস্থ জীবন কাটাও – সন্তানও সেটাই শিখবে। তোমরাই ওর শিক্ষক হয়ে ওঠো। ”
পাঁচু আর চাঁদু চেম্বার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলো। বুড়ো ডাক্তার দাঁড় করালেন “আর শোনো সন্তানকে ভালবেসো – একেবারে হৃদয় উজাড় করে”…. একটু উদাস হয়ে আপন মনে বলে যান বুড়ো ডাক্তার “আমার সন্তান আমার হাত ধরে পৃথিবীর পথ চলা শিখবে – আমি তাকে পৃথিবী আকাশ মাটির দুর্জ্ঞেয় রহস্য চিনতে শেখাবো। বৃষ্টি আর মেঘের ডাকের ভয় কাটাতে অঝোর বৃষ্টিতে নিয়ে ভিজতে বেরোবো – গল্পের বইয়ের রহস্যময় স্বাদ উপভোগ করতে শেখাবো – এটার থেকে আনন্দের আর কিছু আছে নাকি? সব কিছু কি টিউটোরিয়ালে শেখায়? নাকি সেরা ইস্কুলে দিলেই সেরা মানুষ তৈরি হয়? সন্তান আছাড় খেতে খেতেই তো হাঁটতে শিখবে ভুল করতে করতেই ঠিক রাস্তাটা চিনে নেবে। তোমাদের কাজ হবে ওকে সঠিক দিশা দেখানো সেটা কেবলমাত্র অকপট ভালবাসা দিয়েই সম্ভব। ভালবেসে,বকে, ঝগড়া করে, ভাব করে আদর্শ মা বাবা হয়ে ওঠো।”
Besh
ধন্যবাদ দিদিমণি
Khub sundor… <3
Sundor
ধন্যবাদ
খুব ভাল আলোচনা । উপকৃত হলাম
ধন্যাতিধন্য হলাম।
আমি আপ্লুৎ
❤️❤️
খুব ভালো লাগলো লেখাটি পরে ….এইভাবে এই ওয়েবপেজের সফলতা আসবে
ধন্যবাদ
সক্কলকে ধন্যবাদ । ভালো থাকুন । ভুলত্রুটি ভালো লাগা প্রকাশ করুন । আমরা উন্নতি করতে চাই ।
Like!! Thank you for publishing this awesome article.
আমি আপ্লুৎ
I like this website very much, Its a very nice office to read and incur information.
থ্যাঙ্ক্যু
সবাইকে ধন্যবাদ । আমাদের চেষ্টা থাকবে আপনাদের পাশে থাকার ।
ও আই অ্যাম হনরড
থ্যাঙ্ক্যু
ধন্যবাদ
Darun laglo pore.
Asadharon ekti golpo jekhane sikhe gelam santan ke manush korar totthyo.
Dhannyobaad doctor babu??
ধন্যবাদ ভাই