মসী অসির চেয়ে বড়, ক্লান্তিকর সে মিথ্যা
অসি যেমন লেখাতে চায়, কলম লেখে ঠিক তা,
লেখক কথার প্রকৌশলী ,
ভাবনা ছড়ান অলিগলি,
তার মানে সব সত্য বলেন, নিতান্ত এক মিথ তা।
ইতিহাসের কথাই ধরো, আছেন যারা টিকে,
সবাই তো বেশ ঝুঁকেই ছিলেন নিজের রাজার দিকে,
কালি ভারত খসরু কাশী ,
সবাই রাজার অন্নদাসই
প্রজার মনের হদিশ দেবেন , তেমন আশা ফিকে।
কলম বাজি রাখতে রাজি দু-এক কলমবাজই,
বাকি সবাই সিংহাসনের হকুমে কন হাঁ জি,
রাজাই দেবেন খেতাব খিলাত
নিজের পেটেই মারবে কি লাথ,
আমরা যেমন চোখ বুজে সব ভিজে বেড়াল সাজি।
কলমরা স্রেফ ভাবনা পোঁতে কথার জমি খুঁড়ে
নিতেই পারে সেসব লেখা মানুষ থেকে দূরে
শাসক যত স্বৈরাচারী,
মসীরা হয় ভক্ত তারই
রক্ত দেওয়ার সখ যে বোকার, প্রণাম খুরে খুরে।
কলম যখন অত্যাচারীর দাঁড়াবে পথ রুখে
নিভতে পারে লেখার মালিক ছুরি বা বন্দুকে,
গারদ নেবে ভাগ্যরেখা ,
নিষিদ্ধ সব হবে লেখা,
বইগুলো তার যাবেই না আর দোকান অভিমুখে..
তবুও সে সব ছড়িয়ে যাবে,
ঘর জুড়ে গড় গড়িয়ে যাবে,
মারলে লেখক যায় না তবু হিসেবটা তার চুকে..
তখন, এবং ঠিক তখনই,
শুনে দ্রোহের পদধ্বনি,
মসীর ভয়ে শাসক অসি’র কাঁপন ধরে বুকে।










