আজ ২৫ শে অক্টোবর, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের স্বৈরাচারী প্রিন্সিপালের নিঃশর্ত পদত্যাগের দাবীতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের পিজেবি চত্বরে এক গণ সমাবেশের আয়োজন করা হয় দুপুর দুটো নাগাদ। উক্ত সভায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সাধারণ ছাত্রছাত্রীগণ ছাড়াও অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়,যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য কলেজ থেকে বহু মানুষ আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৭৫০ জন মানুষ এই গণ কনভেনশনে সমবেত হয়েছিলেন।
বহু সমাজকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, চিকিৎসক সংগঠনের বহু দিকপাল চিকিৎসক এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। সুজাত ভদ্র, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, রঞ্জিত শূর, দিলীপ চক্রবর্তী, কুশল দেবনাথ প্রমুখ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের চর্মরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ সুরজিৎ বিশ্বাস স্যার এবং বহু বিশিষ্ট চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁদের সবারই বক্তব্য এই, ‘যে শিক্ষা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শেখায় না, সেই শিক্ষা প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা নয়। ‘সবারই বক্তব্য এক সুরে বাঁধা যে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের স্বৈরাচারী প্রিন্সিপাল তাঁর সমস্ত শিক্ষকসুলভ সৌজন্য লঙ্ঘন করে সাধারণ দাবীদাওয়াসমূহ অগ্রাহ্য করে এই ধরণের অচলাবস্থা তৈরী করেছেন, ছাত্রছাত্রীদের আঙুল উঁচিয়ে গালিগালাজ করেছেন এবং ছাত্রীদের যেভাবে জুতো দিয়ে মাড়িয়ে পালিয়েছেন এবং সরকারী অর্থ যার পরিমাণ প্রায় ৫.১৪ লক্ষ টাকা নয়ছয় করেছেন,তাতে তাঁর এই পদে থাকার অধিকার আর নেই।
তাঁরা আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে আমাদের এই আন্দোলনের সঙ্গে তাঁরা সর্বদা ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। আমরা এই স্বৈরাচারী অধ্যক্ষের অপসারণের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করতেও রাজী এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় আমরা এই বাধা অতিক্রম করবই।
আমি এই আন্দোলনকে সর্বান্তঃকরণে সমর্থন করি , এবং এর বিষয়ে সব কিছু অবগত আছি। শারীরিক প্রতিকূলতা না থাকলে পরবর্তী সময়ে নিজেকে এর সঙ্গে যুক্ত করতে চাই। আর জি কর মেডিকেল কলেজের সকল ছাত্রছাত্রীদেরকে আমার সংগ্রামী অভিনন্দন জানাই। ওরা জয়ী হবেই, এই আশায় রইলাম।