সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী একটি সভায় চিকিৎসক ও ফার্মা কোম্পানির অশুভ যোগাযোগ নিয়ে কিছু কথা বলেছেন যা চিকিৎসকদের উষ্মা ও ক্ষোভ উদ্রেক করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর বাক্যবন্ধ হয়তো একটু বেশি কটু হয়ে গিয়েছে কিন্তু তাঁর বক্তব্য হঠাৎ শূন্য থেকে আবির্ভূত কোন বিস্ময় নয়। লোকসভা সদস্য জ্যোতি মির্ধা ২০১৫ সালের ১লা জুন লোকসভায় জানান যে, মধ্যপ্রদেশের দশজন চিকিৎসক ও তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মোট ত্রিশ জনের একদল ইন্টাস ফার্মাসিউটিক্যালস নামে একটি কোম্পানির পয়সায় ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে সাতদিনের ভ্রমণে যান। থাকা খাওয়ার খরচ বাদ দিয়ে শুধু বিমান ভাড়া হিসেবে কোম্পানির খরচ হয়েছিল ১৭ লাখ টাকা।
এই ঘটনা ২০০৯ সালের ১০ই ডিসেম্বর প্রকাশিত মেডিকেল কাউন্সিল আইনের ৬.৮.১ ধারার বিরোধী। এই ধারায় খুব পরিষ্কার ভাবে বলা হয়েছে “A medical practitioner shall not accept any travel facility inside the country or outside, including rail, air, ship, cruise tickets and paid vacations from any pharmaceutical or allied healthcare industry or their representatives for self and family members for vacation or for attending conferences, seminars, workshops, CME programme etc as a delegate”।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পার্লামেন্টারি স্ট্যাণ্ডিং কমিটি Drugs and Cosmetics Act-কে আরো শক্তিশালী ও কার্যকর করার পরামর্শ দেয়।
একথা স্বীকার করতে হবে যে, চিকিৎসকদের একটা বেশ বড় অংশ মেডিকেল এথিকস মান্য না করে ফার্মা কোম্পানি থেকে নানা রকম সুযোগ নেন। ফার্মা কোম্পানিগুলি লাভ করার জন্য ব্যবসা ফেঁদেছে ও পেটেন্ট আইনের সুযোগ নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে। তারা বিনা কারণে কারো জন্য একটি পয়সা ব্যয় করবে তা হতে পারে না। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠে আসে যে চিকিৎসক ও ফার্মা কোম্পানির সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত।
অনেক চিকিৎসক আছেন যারা ফার্মা কোম্পানি থেকে কোন উপহার তো দূর অস্ত কোন ওষুধের স্যাম্পলও নিতে চান না। তারা মনে করেন যে, এই সামান্য উপহারও বহুগুণ বর্ধিত হয়ে রোগীর ঘাড়ে বোঝা হিসেবে চাপবে। আবার অনেকে বলেন যে দেশ বিদেশে সেমিনার করতে ফার্মা কোম্পানির টাকা নেওয়া অন্যায় নয়।
ন্যায়-অন্যায়ের নীতিগত বিচার না করে নীতিগত ভাবে মেডিকেল কাউন্সিল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সাথে তাদের মতবিরোধ খুব দৃষ্টিকটু ভাবে প্রকট হয়ে ওঠে। মনে রাখতে হবে যে এইসব খরচ কোম্পানি সুদে আসলে তুলে নেয় রোগীদের উপর থেকে। সিস্টামিবির থেকে ৮০০% লাভ করার মতো কোম্পানি এই ধরাধামেই বিরাজ করছে।
অনেকে আবার এটাও বলেন যে, কোম্পানি নানারকম সেমিনার স্পনসর করেন। সেগুলি ছাড়া দেশে গবেষণা অসম্পূর্ণ থাকে। এর পক্ষে ও বিপক্ষে তর্ক করার অনেক উপাদান নিশ্চয়ই আছে। খুব সাধারণ জ্ঞান থেকে কয়েকটি কথা বলা যায়। মেডিকেল রিসার্চের প্রায়োরিটি এরিয়া কে ঠিক করবে? যদি কোন পুঁজিপতি ঠিক করেন তবে তা লাভের দিকে ঝুঁকে থাকবে। মনে রাখতে হবে যে তৃতীয় বিশ্ব মেডিকেল রিসার্চে পিছিয়ে আছে। প্রথম বিশ্ব ও তাদের পুঁজিপতিদের স্বার্থ ও উন্নয়নশীল তৃতীয় বিশ্বের স্বার্থ এক নয়। তাই, এদেশে ম্যালেরিয়া নিয়ে এত রিসার্চের ফল শূন্য। আবার উল্টো দিকে কলেরা চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেও তৃতীয় বিশ্বের চিকিৎসক পেটেন্ট নেন নি।
রিসার্চ ও পেটেন্ট পরস্পর বিপরীত ধর্মী। তাই, ব্যাড কোলেস্টরেল-এর চিকিৎসায় কোটি কোটি ডলার আয় করে এখন ‘সব কোলেস্টরল ভাল’ বলে চর্চা শুরু হয়েছে। বাজার যদি গবেষণা নিয়ন্ত্রণ করে তবে এমনটি তো ঘটবেই। এইসব ফার্মা সেমিনারে সব আলোচনার নির্যাস শেষ পর্যন্ত ব্যবসা প্রমোশনে শেষ হয়। সেমিনারে যারা বক্তা তারাও কোম্পানির তৈরী করা কনটেন্ট ব্যবহার করেন।
তাহলে, প্রধানমন্ত্রী অন্তত এই বিষয়ে যা বলেছেন তা নতুন কিছু নয়। ফার্মা কোম্পানির অবৈধ ব্যবসা ও একশ্রেণীর চিকিৎসকের লোভ এমনকি পুঁজিপতির সরকারেরও উষ্মার কারণ ঘটিয়েছে।
তাঁর সমালোচনা ও পরামর্শ শিরোধার্য করেও তাঁকে কয়েকটি কথা বলা দরকার বলে মনে করি-
প্রধানমন্ত্রী ২০১৫ সালে যখন পেটেন্ট সংক্রান্ত আইন নিয়ে আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে বক্তৃতা করতে আমেরিকা যান তখন MSF (medicine sans frontier) তাঁকে স্মারকলিপি দেয়। সে স্মারক লিপিতে বলা হয়েছিল, “It’s outrageous that the US is trying to export its broken intellectual property system to India—a system that has caused medicine prices to skyrocket, leaving patients empty-handed and patients and payers struggling to manage the cost of expensive patented medicines,” আরো বলা হয়েছিল যে, আমেরিকার নীতির জন্য ক্যানসার চিকিৎসা খরচ এত বেশি। কোন কোন ক্যানসার ওষুধের জন্য বাৎসরিক খরচ $100,000 ও হেপাটাইটিস চিকিৎসায় একটি পিলের দাম ১০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত। এই ব্যবস্থা অবসানের জন্য সরকারী স্তরে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন জানানো হয়। সরকার কিছুই করেন নি।
WTO চুক্তির আগে এদেশে পেটেন্ট আইন না মানলেও চলতো। অথচ, ২০০৫ সালের পর থেকে এই প্রথার জন্য ওষুধের দাম ভয়ানক বেড়ে গেল। সরকার ইচ্ছা করলে দেশের জন্য বাধ্যতামূলক লাইসেন্স চালু করতে পারতেন ও ওষুধের দাম নির্ধারণ করতে পারতেন। সোরাফেনিবের দাম এই ব্যবস্থার ফলে ৯৭% কম হয়েছিল যা কিডনি দুরারোগ্য রোগাক্রান্তদের সুবিধা করে দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিরপেক্ষ দর্শকের হলে দেশের কোন কাজে লাগে না। তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। কেন দেশে GMP norm (গুড ম্যানুফ্যাকিচারিং প্র্যাকটিশ নর্ম) চালু করছেন না, কেন জেনেরিক নামে ওষুধ তৈরির আইন করছেন না? যে গতিতে বিভেদের আইন, দেশের মানুষের উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করার আইন করতে পারছেন সেই গতিতে কেন ওষুধের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন করতে পারেন না?
তবে, একটি ভ্রষ্ট, নীতিহীন সরকারের কাছে যদিও দেশের মানুষের জন্য সুষম, সুলভ, গ্রহণযোগ্য, আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা আশা করা যায় না, তেমনি চিকিৎসকদের কোন নীতিহীন কাজও সমর্থন করা যায় না। “আপনি আমরা ধর্ম অপরে শেখাও” এই আপ্তবাক্য সবার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।
To me Doctors in our country is worse than police , business man and politicians, they are reluctant to hear the problems of patients but busy to prescribe medicines of those companies and pathological tests from where they get huge commission.
Our Government also indifferent to control this class even the doctors charged visit Rs 1000 to 2000/_ for which they paid no Income Tax.
Huge black money has made them arrogant and less sympathetic to the patients.
This should be checked and controlled immediately.
Ekta chhoto experience share kori. Amar baba ke 2018 er October mase Malda jelar ek boro nursing home e North Bengal medical college er ekjon ex professor, psychiatrist Dr babu ke dekhai. Chamber e dhukar jonye wait korchhi, hothat 5-6 jon medical representative uday holen. Prothome tara chamber e dhuklen ebong besh khanikkhan pore berolen. Ami baba ke niye dhuklam. Dr babu dekhlen, medicine prescribed korlen; sadya MR er represent kora medicine. Baire berotei MR er dol ghire dhore prescription pray chhiniye niye dekhlen tar medicine prescribed korechhen kina? Nursing home er pharmacy te gelam, bollen ei medicine nei. Dr babur kachhe fire gelam , medicine na pawar kotha bollam. Uni further ekta specific medicine shop e khonj nite bollen. Gelam, sekhaneo pawa gelona. Dokondar search kore bollen, ei medicine marketei aseni tokhono. Fire gelam abar Dr babur kachhe. Bollen, “sorry bhai, common medicine likhe dichchhi, eta peye jaben “. pore abar dokane jete sei branded medicine pai. Valo mondo janch korar khomotar adhikari ami noi. Kintu etukui bolte pari, se ghotonar pore oi Dr. Babur proti seram vorosa korte parini.