রাজনৈতিকদের এক একটা পৃথক পেশা থাকা দরকার।
গড়ুন বা না গড়ুন সরকার,
রোজকার রোজগার অন্য কিছুর থেকে করাটা জরুরি,
নয়তো ভাবের ঘরে চুরি
হয়ে যায় যত দেশসেবার কিসসা,
দেশ, প্রদেশ, প্রতীক, ধর্ম, আদর্শ সব পেরিয়ে
একটা কথাই জেগে থাকে
‘এতে আমার কত হিস্যা?’
মানুষের জন্য এত লোক কাজ করতে চান,
অতি উত্তম।
শুধু উচিৎ না হওয়া তাঁদের বেকার একদম,
রুটিরুজি অন্য কিছুর থেকে হোক,
ডাক্তার প্রফেসর থেকে মুটে রিকশাচালক,
যা খুশি হতে পারে তাঁর খিদে মেটার উপায়,
নয়তো রুপিয়া-পিয়াসীর তৃষ্ণা ভরাতে,
দেশের অর্থনীতি
দাঁড়াবে না কক্ষনো নিজের দুপা’য়।
রাজনীতি পেশা হলে, যেখানে লাভ,
সেইখানে লোভাতুর মন।
তৃতীয় রিপুটি যদি ক্রমাগত করে জ্বালাতন,
তাহলে তো সব কাজে কাটমানি আমদানি ঘুরবে মগজে,
সহজ টাকার খনি রাম-শ্যাম-যদু-মধু সকলেই খোঁজে,
সেইদিকে ঝোঁকে মাথা যেইদিকে গদি,
একথা সবাই জানে, শাসকেরই ভাগে ষোলোআনা,
ভাগ পায় তারই থেকে আপাত-বিরোধী।
প্রচুর ভাতার সাথে সব কিছু ফ্রী,
হুটার গাড়ি আর সুবা-শাম পুলিশ-সেলাম,
ভান করা তাও এটা কী’ই বা পেলাম,
এসব কেবল রাজনীতিতেই চলতে পারে আমার দেশে,
স্রেফ টাকাতে প্রেম একপেশে,
থোড়াই লড়া আদর্শকে ভালোবেসে,
অন্য দলে নাম লেখানো রোজের খবর,
রাজনীতি যার পেট-খোরাকি,
টাকার ঝাঁকি যেদিক যাবে দৌড় লাগাবে সেই বরাবর।
কোনো এক জায়গায়
এই ভুয়ো সততা ও আদর্শের খ্যামটা-টা দরকারি থামা
শুধু রাজনীতিবিদ হলে ভোটে নয় নামা,
কখনো এমন কোনো নিয়ম বনবে সেটা আকাশ-কুসুম,
ভোট দিয়ে জনতাও তোফা দেবে ঘুম,
জয়ী নেতা লাফাবেন আরো লাভ দেওয়া কোনো ভিন্ন প্রতীকে,
পেশাদার খেলোয়াড় বেশি মাইনের লোভে
যেভাবে ছাড়েন তাঁর চেনা আর তাঁকে চেনানো ক্লাবটিকে।
‘ঘোড়া কেনাবেচা’ চলে তাই প্রতি ভোটে,
বিরোধী পারে না ধরে রাখতে জয়ীকে।
রাজনীতি পেশা করে যত বেশি লোক নেবে,
গণতন্ত্রের রঙ হবে তত আরো ফিকে।