শেষ যে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে করা হয়েছিল তাতে বেশ কিছু নতুন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেগুলির ফলাফল খুবই চিত্তাকর্ষক। জন্মনিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত মনোভাব বোঝার জন্য দুটি বিবৃতি নিয়ে ছেলেদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল।
প্রথমটি ছিল এইরকম যে, “জন্ম নিয়ন্ত্রণ মহিলাদের বিষয়, ও নিয়ে ছেলেদের চিন্তা করার দরকার নেই।”
যা মতামত উঠে আসলো:
- বয়েস: ১৫ থেকে ১৯, ৩০ থেকে ৩৫ এবং ৪৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে যথাক্রমে ২৯.৯%, ৩৭.১% এবং ৩৬.১% এই বিবৃতিটির সাথে সহমত। অল্প বয়সীদের মধ্যে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে এই জেন্ডার বায়াস কম।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: আদৌ স্কুলে যায় নি এমন মানুষজনের মধ্যে এমনটা মানেন ৩৯.২% আর যারা পাঁচ ক্লাস অবধি এবং বারো ক্লাস বা তার বেশি পড়াশোনা করেছে তাদের মধ্যে যথাক্রমে ৩৭.৩% এবং ৩৪.৪% মানুষ। অর্থাৎ শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য বিশেষ কিছু হেরফের হচ্ছে না।
- ধর্ম: হিন্দুদের মধ্যে এই শতাংশ ৩৫.৯%, মুসলিমদের মধ্যে কিছুটা কম ৩১ ৯% আর ক্রিশ্চান দের মধ্যে আরো কম ২৮.৬%, শিখদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬৪.৭% এই মতে বিশ্বাসী।
দ্বিতীয় বিবৃতিটি ছিল এই রকম: “মহিলা যারা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে তারা অসতী হয়ে যেতে পারে।”
যা মতামত উঠে আসলো:
- বয়েস: ১৫ থেকে ১৯, ৩০ থেকে ৩৫ এবং ৪৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে যথাক্রমে ১৬.৬%, ২০.২% এবং ২১.২% এই বিবৃতিটির সাথে সহমত। অর্থাৎ অল্পবয়সীদের মধ্যে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে এই জেন্ডার বায়াস কম।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: আদৌ স্কুলে যায় নি এমন মানুষজনের মধ্যে এমনটা মানেন ২০.৯% আর যারা পাঁচ ক্লাস অবধি এবং বারো ক্লাস বা তার বেশি পড়াশোনা করেছে তাদের মধ্যে যথাক্রমে ১৯.৯% এবং ১৯.৫% মানুষ। অর্থাৎ শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য বিশেষ কিছু হেরফের হচ্ছে না।
- ধর্ম: হিন্দুদের মধ্যে এই শতাংশ ১৯.১%, মুসলিমদের মধ্যে প্রায় সমান ১৯.৯% আর ক্রিশ্চান ও শিখদের মধ্যে অনেকটা বেশি, যথাক্রমে ৩১.২ এবং ৩৭.৫% এই মতে বিশ্বাসী।
দুটি ক্ষেত্রেই উত্তরদাতার আর্থিক সঙ্গতি অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগের মধ্যে শতাংশের বিশেষ হেরফের নেই।
এখন এই মুহূর্তে গোটা দেশ জুড়ে জনসংখ্যা দিবস, সপ্তাহ, মাস পালন হচ্ছে। সেই উপলক্ষে সামান্য একটু চিন্তা ভাবনার খোরাক হিসেব তথ্যগুলি দিলাম। সিদ্ধান্ত টানার ভার আপনার।