সাইক্লোনের এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা থেকে বলছি।
২৪ ঘন্টা বাদে নেট ওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে তাই লিখতে পারছি। কারেন্ট নেই, হাসপাতাল চলছে জেনারেটর এ। তার জোরে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি রিচার্জ হচ্ছে। চারদিকে প্রচুর ক্ষয় ক্ষতি। তার হিসেব দেওয়ার জন্য এই লেখা নয়। এই ধ্বংস লীলার মধ্যেও নন্দীগ্রামের তিনটে বড় হাসপাতাল আর ছোট ১১ গ্রামীন হাসপাতালের একটাতেও এক মুহূর্তের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ হয় নি। জানালার কাচ ভেঙ্গেছে, লেবার রুমের দরজা উড়ে গেছে, কম্পিউটার ডুবে গেছে জলে। তবুও অটুট আছে পরিষেবা। অটুট আছে এই কারণেই যে সব কর্মী চিকিৎসক নার্সদের মনোবল অটুট আছে। তাদের অনেকেরই বাড়ি এই জেলায়। অনেকেরই নিজের বাড়ি ঘর দোর ক্ষতিগ্রস্ত, তারা তাই নিয়ে চিন্তিত, দুঃখিত। কিন্তু সেই অজুহাতে কেউ দায়িত্ব ছেড়ে পালিয়ে যান নি স্বার্থপরের মতো। হাসপাতাল পরিষেবা সচল রাখার জন্য কাল রাত থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এটা সম্ভব হয়েছে যে তার পেছনে তাদের পাড়া প্রতিবেশীরও অবদান আছে। যারা একটু অবস্থাপন্ন তারা আশ্রয় দিয়েছেন তাদের বিপন্ন প্রতিবেশীদের।
কাল রাতে অফিস ক্যান্টিন এর তালা ভেঙে ঢুকে খুঁজে পাওয়া গেল যা তাই দিয়ে ডাল ভাত আলু সেদ্ধ তৈরি হল। আজ আরেকটু ভালো খাবার। জল নেই, চান হয় নি। কাল হবে। একমাস হয়ে গেল বাড়ি ছেড়ে আছি, স্ত্রী পুত্রের মুখ দেখিনি। তবুও দুঃখ নেই। আমি আছি একদল সাহসী প্রত্যয়ী মানুষের মধ্যে, স্বাস্থ্যেদপ্তরের আমার ছোট বড় সহকর্মীদের মধ্যে। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের বিএমওএইচ ডাঃ Pabitra Haldar ssh হাসপাতাল এর সুপার ডাঃ Adwaita Kumar Mudi এদের সাথে, আগের জন্মে এরাই আমার ভাই ছিল বোধহয়। ঝড়ের এপিসেন্টার থেকে খবর পাঠাচ্ছি। আপডেট সময় পেলে।
দেখে যা যা অনির্বান
কি সুখে রয়েছে প্রাণ।
২৪ ঘন্টা বাদে নেট ওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে তাই লিখতে পারছি। কারেন্ট নেই, হাসপাতাল চলছে জেনারেটর এ। তার জোরে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি রিচার্জ হচ্ছে। চারদিকে প্রচুর ক্ষয় ক্ষতি। তার হিসেব দেওয়ার জন্য এই লেখা নয়। এই ধ্বংস লীলার মধ্যেও নন্দীগ্রামের তিনটে বড় হাসপাতাল আর ছোট ১১ গ্রামীন হাসপাতালের একটাতেও এক মুহূর্তের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ হয় নি। জানালার কাচ ভেঙ্গেছে, লেবার রুমের দরজা উড়ে গেছে, কম্পিউটার ডুবে গেছে জলে। তবুও অটুট আছে পরিষেবা। অটুট আছে এই কারণেই যে সব কর্মী চিকিৎসক নার্সদের মনোবল অটুট আছে। তাদের অনেকেরই বাড়ি এই জেলায়। অনেকেরই নিজের বাড়ি ঘর দোর ক্ষতিগ্রস্ত, তারা তাই নিয়ে চিন্তিত, দুঃখিত। কিন্তু সেই অজুহাতে কেউ দায়িত্ব ছেড়ে পালিয়ে যান নি স্বার্থপরের মতো। হাসপাতাল পরিষেবা সচল রাখার জন্য কাল রাত থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এটা সম্ভব হয়েছে যে তার পেছনে তাদের পাড়া প্রতিবেশীরও অবদান আছে। যারা একটু অবস্থাপন্ন তারা আশ্রয় দিয়েছেন তাদের বিপন্ন প্রতিবেশীদের।
কাল রাতে অফিস ক্যান্টিন এর তালা ভেঙে ঢুকে খুঁজে পাওয়া গেল যা তাই দিয়ে ডাল ভাত আলু সেদ্ধ তৈরি হল। আজ আরেকটু ভালো খাবার। জল নেই, চান হয় নি। কাল হবে। একমাস হয়ে গেল বাড়ি ছেড়ে আছি, স্ত্রী পুত্রের মুখ দেখিনি। তবুও দুঃখ নেই। আমি আছি একদল সাহসী প্রত্যয়ী মানুষের মধ্যে, স্বাস্থ্যেদপ্তরের আমার ছোট বড় সহকর্মীদের মধ্যে। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের বিএমওএইচ ডাঃ পবিত্র হালদার, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এর সুপার ডাঃ অদ্বৈত কুমার মুদি–এদের সাথে, আগের জন্মে এরাই আমার ভাই ছিল বোধহয়। ঝড়ের এপিসেন্টার থেকে খবর পাঠাচ্ছি। আপডেট সময় পেলে।
দেখে যা যা অনির্বান
কি সুখে রয়েছে প্রাণ।