★
এক ঢিলে, আজ্ঞে না দুই পাখি না, বেশ কতকগুলো পাখি মারা যাবে।
১) সরকারি হাসপাতালের একটা বড় ওয়ার্কিং ফোর্স হচ্ছেন শিক্ষানবিশ নার্সেরা। কিন্তু এঁদের পেছনে (পড়ানো আর অন্যান্য দেখভালসহ) খরচও অনেক। সেই খরচাটা বাঁচিয়ে বিনামূল্যে কিছু ক্রীতদাসী জোগাড়ের ব্যবস্থা হল।
২) বিনামূল্যে ক্রীতদাসী? তা কেন, উলটে বেসরকারি নার্সিং স্কুলের কাছ থেকে পয়সা হাতানো যাবে কিছু। সেই জন্যেই তো দরপত্র! সেই পয়সা সাইফনিং করে নব-নবজোয়ার যাত্রার সফেদ তাঁবু কেনা যাবে বরং।
৩) শুধুই প্রকাশ্য দরপত্র? বিএড কলেজের মত লাভজনক এই নার্সিং কলেজগুলো(যারা লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে ট্রেনিং দেয় কিন্তু চাকরি দেয় না) টেবিলের নীচ দিয়ে প্রভাবশালীদের কত উৎকোচ দেবে আন্দাজ হয় না? তথাকথিত “ন্যায্যমূল্যের দোকান” এর বরাত পেতে কী পরিমান টাকার খেলা চলেছিল?(যদিও সেখানে আগাগোড়া ন্যায্যমূল্যে অন্যায্য কিছুই পাওয়া যায়, ভুক্তভোগীরা জানে।)
৪) বেসরকারি নার্সিং কলেজে ইনডিভিজুয়াল ছাত্রী ভর্তির জন্য, তাদের পাশ করানোর জন্য, আর তারপরে তথাকথিত চাকরি (অধিকাংশটাই বেসরকারি ক্ষেত্রে নামমাত্র মাইনের) দেবার জন্য কী পরিমাণ টাকার খেলা চলবে, শিক্ষকদের চাকরি চুরির মরশুমে আন্দাজ করতে কারওর অসুবিধে হচ্ছে?
তা হোক না, এই সবই হোক। চুরির সার্কাস চলছে। দেখছি। মন্দ কী!
বাঃ রে, সার্কাস দেখতে পয়সা লাগবে না?
★