ভারতে প্রায় ১০-১৫% মানুষ অনিদ্রার (Insomnia) সমস্যায় আক্রান্ত। ১৮ ই মার্চ, “World Sleep Day” উপলক্ষ্যে এই সপ্তাহ জুড়ে চলেছে বিভিন্ন সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান।
অনিদ্রার সমস্যা তৈরি হলে প্রাথমিকভাবে যেগুলো আমরা করতে পারি
কী কী অবশ্যই করব??
(১) নিয়মিত ভাবে একইসময় ঘুমোতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠা।
(২) যদি খুব খিদে পায় তাহলে ঘুমোনর আগে অল্প টিফিন করা যেতে পারে।
(৩) সন্ধ্যে বিকেল বা সকালের দিকে একটা নিয়মিত শরীরচর্চা করার রুটিন বানিয়ে নেওয়া।
(৪) যদি কোনও বিষয় নিয়ে খুব চিন্তিত বা স্ট্রেসে থাকেন তাহলে ঘুমনোর আগে তা লিখে রাখুন ভালো করে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে সেটা নিয়ে ভাবুন।
(৫) যতটা সম্ভব বেডরুম অন্ধকার করে রাখুন।
(৬) ঘরের উষ্ণতা ঠাণ্ডার দিকে থাকলে ভাল হয়।
(৭) বেডরুম যতটা সম্ভব আওয়াজ-মুক্ত রাখুন কোনও তীব্র জোরালো শব্দ যেন না থাকে।
(৮) নিয়মিত স্নান করুন।
(৯) মোবাইল ও ল্যাপটপের স্ক্রিনিং টাইম যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা।
(৯) আমাদের নিয়মিত ও স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্যে দিনের বেলা চোখে আলো পড়াটা খুব জরুরি! যেহেতু লকডাউনে সবাই ঘরে বন্দী প্রায় বাইরে কেউ বেরোচ্ছি না! যতটা সম্ভব ঘরের দরজা জানলা খুলে রাখুন তাতে আলো বাতাস চলাচল হবে! দরকার হলে ছাদে বা ফাঁকা জায়গায় কিছুক্ষণ স্বাভাবিক আলোতে দাঁড়িয়ে থাকুন।
(১০) সর্বোপরি ঘুমোনোর আগে নিজেকে এক ঘণ্টা সময় দিন যে এবার আমি ঘুমোতে যাব যাকে বলে উইন্ড ডাউন সময় (Wind-Down Time)- অল্প আওয়াজে পছন্দের গান শোনা, আলো কমিয়ে দেওয়া, বিছানা গুছিয়ে নেওয়া, মানে নিজেকে রিল্যক্স করে গুছিয়ে শান্ত করে আনা।
কী কী একদম করব না??
(১) দিনের বেলা বেশি ঘুম। যাকে অনেকেই ‘পাওয়ার ন্যাপ’ বলেন, সেটা যেন ৩০ মিনিটের বেশি না হয়!
(২) রাতে বিছানায় শুয়ে ঘুম না এলে শুয়ে শুয়ে ঘড়ি দেখা।
(৩) ঘুমানোর জাস্ট আগেই কোনও রকম ব্যয়াম বা এক্সারসাইস করা।
(৪) ঘুম না এলে কোনও রকম টিভি বা মোবাইল দেখা।
(৫) বিকেলে বা সন্ধ্যের সময় প্রচুর চা বা কফি খাওয়া।
(৬) ডিনারে অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলা।
যদি ঘুম না আসে-
(৭) সিগারেট খাওয়া।
(৮) অ্যালকোহল বা মদ খাওয়া।
(৯) বিছানায় শুয়ে শুয়ে ফোন দেখা বা ফোনে কথা বলা।
(১০) বিছানায় ব্যয়াম বা শরীরচর্চা করা।
(১১) বিছানায় বসে খাওয়া দাওয়া করা!
এগুলো ধীরে ধীরে নিজেদের দৈনন্দিন অভ্যাসে নিয়ে এলে অনিদ্রার সমস্যা অনেকটাই কমে আসে।