প্যাসিফিস্ট বা শান্তিকামী বলেই আমাদের ন্যাকা চৈতন্য ভাববেন না। হামাস সন্ত্রাসবাদী কি সন্ত্রাসবাদী নয়, ইজরায়েল সম্রাজ্যবাদী কি সাম্রাজ্যবাদী নয় এসব নিয়ে কূট তর্ক করার অনেক সময় পাবেন। আপাতত একজন শান্তিকামী সাধারণ মানুষ হিসেবে প্যালেস্টাইন এর মাটিতে যে নরমেধ যজ্ঞ চলছে, আজ্ঞে হ্যাঁ, যুদ্ধ টুদ্ধ নয়, যেটা চলছে সেটা একতরফা মানুষ মারা, সেই যজ্ঞের আগুনে ঘি না ঢেলে শান্তির জল ছেটান। নিজেকে মানুষ হিসেবে প্রমাণ করুন, অন্যের কাছে নয়, নিজের কাছে।
এই বীভৎস হত্যালীলা বন্ধ হোক (স্বর্গ নরকের কনসেপ্টে বিশ্বাসী হলে লিখতাম, “নারকীয়” হত্যাকাণ্ড)। বন্ধ হোক এই হত্যালীলাকে বৈধতা দানের, ন্যায্যতা প্রতিপাদনের যাবতীয় প্রচার অভিযানের আয়োজন। ঘরের থেকে অনেক দূরে ঘটছে বলে, ওটা আমার বিষয় নয় বলে এড়িয়ে যাবেন না। মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অভ্যাস বজায় রাখতে হয়, নইলে কোনোদিন আমার আপনার বিপদেও কেউ পাশে এসে দাঁড়াবে না। যুদ্ধবাজদের আস্ফালন বন্ধ করতে প্রতিবাদের ঢেউ আন্তর্জাতিক স্তরে আছড়ে পড়তে হয়, কারণ মুনাফাখোর যুদ্ধবাজদের চরিত্রটাও আন্তর্জাতিক। খেয়াল রাখুন, ঢেউ উঠছে, কারা টুটছে। আসুন, সামিল হই তাতে যে যার ক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়ে। মিনিমাম দুটো প্রতিবাদের লাইন লেখা হোক দেয়ালে, দেয়ালে।