দুর্গাপুজো সাফল্য মন্ডিত করার জন্য সকল পাঠককুল ও ভক্তিমান, ভক্তিমতী বঙ্গবাসীকে সক্রিয়, সংগ্রামী, বিপ্লবী অভিনন্দন জ্ঞাপন করিয়া এই ক্ষুদ্র লেখনীতে ব্রতী হইলাম।
প্রথমতঃ ‘গণশত্রু’ সম্বন্ধে সামান্য, অতিক্ষুদ্র কয়েকটি বাক্যক্ষয় করিবো। যাহাদের যে কোনো প্রকার উপলক্ষে দল-মত-ধর্ম-নির্বিশেষে হেয় প্রতীয়মান করা হয় তাহারা গণশত্রু অথবা সমাজশত্রু হিসাবে চিহ্নিত হয়। ইহারা সাধারণতঃ মাকু না হইলেও সেকু হিসাবে পরিগণিত হইয়া থাকেন। সহজ উদাহরণ হিসাবে আমরা একজন ঈষৎ মাতাল, অল্পবিদ্যা হাতুড়ে’র আখ্যান ইত্যবসরে সংক্ষিপ্ত করিয়া আলোচনা করিতে পারি।
উক্ত অভদ্র হাতুড়ের আদি বাসস্থান নদীয়াস্থ এক ক্ষুদ্র শহরতলীতে। প্রাগুক্ত হাতুড়ে অবলোকন করিলেন- এই বৎসরের শ্রী শ্রী একশত অষ্ট মাতা দুর্গা আরাধনার পঞ্চাশৎ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে প্রতিবাসী মহলে তীব্র উচ্ছ্বাস জন্মিয়াছে।
হাতুড়ে হলেও চিকিৎসক, এই অপবাদে উঁহারা হাতুড়ের নিকটে দশ সহস্র ভারতীয় মুদ্রা দাবী করিলেন। যথাযথ প্রাণবন্ত আলোচনান্তে হাতুড়ে গৃহের সম্মুখে তিনখানি চোঙা সদৃশ শব্দ প্রক্ষেপণ যন্ত্র স্থাপন করিলেন। অপিচ পার্শ্ববর্তী দুইখানি গৃহে দুই অভাগা সদ্য করোনাক্রান্ত হয়ে স্বর্গস্থ মাতুলালয়ে বসবাস করিতেছেন, তথাপি শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি প্রবল মায়া মমতা প্রদর্শন পূর্বক পূর্ণ শক্তিতে শব্দক্ষেপণে তাঁহাদের কোনোরূপ ত্রুটি হইলো না। গণশত্রু হাতুড়ে পুনরায় গণশত্রু আখ্যানে ভূষিত হইলো।
অধিক বাক্যব্যয় অসম্ভব, যেহেতু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দরাজ, অকৃপণ হস্ত আয়োজকদিগের পিঠে স্থাপিত হইয়াছে।