রাতারাতি রাস্তা ঠিক হয়, ফ্লাই-ওভার-এ নতুন করে নীল-সাদা রঙ হয়ে যায়…. যাঁরা রঙ করেন, যার জন্য করেন, যাঁরা রোজ ওই রাস্তায় হাঁটেন – সবাই জানেন এই বিশেষ ব্যবস্থা জনগণের জন্য নয় – রাণীর জন্য!
রাজ-পরিবারের বিয়ে উপলক্ষে সবকিছু সেজে ওঠে, সরকারি চিকিৎসক, চিকিৎসা-কর্মী -সবাইকে উপস্থিত থাকতে হয় – জনগণের পরিষেবার জন্য?? মোটেও না!! টাকাটা কি জনগণের – হতে পারে! কিন্তু প্রজার টাকা, রাজার বিলাস-ব্যসনে ব্যবহার হবে, এই তো স্বাভাবিক?!
একদিন পাহাড়ি পোষাক পরলে বা মোমো বিক্রি করলে, পাহাড়ের মানুষের কোনো উপকার হয় না, কোনো সাধারণ মানুষের-ই কিছু উপকার হয় না…. কিন্তু সাধারণ মানুষের উপকারের কথা এখানে ভাবছে কে?? সাধারণ মানুষ নিজেও ভাবে না!! এসব তো আমাদের কাছে খুব সাধারণ ব্যাপার!!
আমরা নিজেদের নাগরিক ভাবি না তো আর…. প্রজা ভাবি!! আমাদের কোনো অধিকার নেই, অনুগ্রহের কৃতজ্ঞতা আছে!!! গদ গদ মুখে আমরা রবীন্দ্রনাথের গানের লাইন-ও বদলে ফেলতে পারি!!! রাজা-রাণীর খেয়াল এর উপর কি আমাদের কথা কইতে আছে গো???
গণতন্ত্র আমাদের সহ্য হয় না, মনে-প্রাণে, সংস্কারে, অভ্যাসে আমরা আসলে রাজা-রাণীর রাজ্যে প্রজা হয়ে থাকতেই ভালোবাসি!! 