পৃথিবীতে ঠিক মানুষের মতো দেখতে সভ্যতার পক্ষে ক্ষতিকর কিছু জীব থাকে। তাদের র্যাগার বলে..
কেউ ছবি হয়ে যাওয়ার পর কাঁদুনি না গেয়ে আগে সোচ্চার হও.. এসব চাই না….
- র্যাগিং এক ধরণের মানসিক উৎপীড়ন বা শারীরিক অত্যাচার যাতে ভবিষ্যত জীবনেও উৎপীড়িত ও অত্যাচারিতের মানসিক স্থিতি বিঘ্নিত হয়।
- র্যাগিংকারী সাধারণত বিকৃত মানসিকতার ব্যক্তি হয়, যাতে অন্যের যন্ত্রণায় সে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করে।হতে পারে তা কোনও অবদমিত সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্স বা মেগলোম্যানিয়া।
- র্যাগিংয়ে উৎপীড়িত ভবিষ্যতে উৎপীড়ক হবে না উৎপীড়িতের রক্ষাকর্তা হবে সেটা নির্ভর করে ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের উপর। যাদের প্রতিশোধস্পৃহ ব্যক্তিত্ব তারা ভবিষ্যতে উৎপীড়ক হয়, বাকিরা এর বিরুদ্ধে সরব ও সোচ্চার হয়ে রক্ষক ও প্রতিবাদী ও প্রতিরোধী হয়।
- র্যাগিং উৎপীড়িতদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সুদূরপ্রসারী ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তাদের আত্মবিশ্বাসে চির ধরাতে পারে অথবা তাদের মধ্যে আত্মহননের প্রবণতা আনতে পারে, যা ইদানীং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ঘটনায় ঘটেছে। অন্তর্মুখী ব্যক্তিত্বের মানুষের ক্ষেত্রে এর সম্ভাবনা ও প্রবণতা অনেক বেশি।
- র্যাগিং কখনোই ভবিষ্যতে উৎপীড়িতকে জীবন চলার পথে সপ্রভিত করে না। তাকে না – মানুষ থেকে মানুষ হতে সাহায্য করে না। এ কেবলই অমানুষদের উল্লাসের এক মাধ্যম।
- র্যাগিং করার প্রবণতা এক ধরণের মানসিক বিকৃতি অথবা অপরাধ। ক্ষেত্র বিশেষে এর চিকিৎসা দরকার। ক্ষেত্র বিশেষে শাস্তি বিধান।
- আজকের উৎপীড়ক ভবিষ্যতে ন্যায়নীতিহীন, সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর নাগরিক হতে পারে, তাই এর প্রবণতা রুখতে কখনও অপরাধীর মানসিক চিকিৎসা ও কখনও কড়া আইন প্রণয়ন দরকার।
- দরকার সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তোলার উদ্যোগ।
- সঙ্গে ভীষণ ভাবে দরকার উৎপীড়িতদের প্রতিবাদ আন্দোলন ও সামগ্রিক সামাজিক প্রতিরোধও।
এখনও দেশে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের সংখ্যা বেশি। দুঃখজনক হলেও সত্যি ইতিবাচক সব ব্যাপারে তাদের উদ্যোগ অশুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের থেকে কম। কিন্তু ঐক্যবদ্ধভাবে তারা প্রতিবাদী ও প্রতিরোধী হলে এ সমস্যা যে কোনও সমস্যা নয়, সেটা তাদের বুঝতে হবে।