নোভেল করোনা ভাইরাসের সংবাদ প্রকাশ্যে আসার পর প্রায় নয় মাস অতিক্রান্ত। ভাইরাস চীন থেকে ইউরোপ-আমেরিকা ঘুরে ভারতে প্রবেশ করেছে জানুয়ারি মাসের শেষে। ক্রমশ কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ থেকেও সংক্রমণের খবর পেতে থাকি। একসময় আমার ছোট্ট মহকুমা শহরেও সংক্রমিত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায় এবং সংখ্যাটি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে আমার কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। প্রথমে সর্দি-ভাব, জ্বর, গা-ব্যথা। দু’দিন পর থেকে গলা ব্যথা (ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর), স্বাদহীনতা ইত্যাদি। চিকিৎসকের পরামর্শে আমি গত ৩ সেপ্টেম্বর মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে কোভিড পরীক্ষা শিবিরে গিয়ে পরীক্ষা করাই এবং পরের দিন ফোনে আমাকে জানানো হয় যে, আমার রিপোর্ট পজিটিভ। আমাকে সতেরো দিন হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় (গত ২০ সেপ্টেম্বর আইসোলেশন থেকে বেরিয়েছি)।
আমার চিকিৎসকের পরামর্শে আগে থেকেই প্যারাসিটামল খাচ্ছিলাম এবং লবণ জলে গার্গল করছিলাম। সেটাই চালিয়ে যাই এবং ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বুঝতে পারি উপসর্গ খুব ধীরে ধীরে কমছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাথাভাঙ্গা মহকুমা প্রশাসন এবং মহকুমা স্বাস্থ্য দপ্তর নিয়মিত না হলেও মোটামুটি খোঁজ নিয়েছেন। জেলা প্রশাসন থেকে একদিন ফোন এসেছিল।
এর মধ্যে গত ১২ সেপ্টেম্বর তারিখ সন্ধ্যাবেলায় দুজন মহিলা এসে (সম্ভবত স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে, নিশ্চিত নই।) আমার মা’র কাছে একটি নির্দেশাবলী এবং কিছু ওষুধ দিয়ে যান। নির্দেশাবলীটি মাথাভাঙ্গা মহকুমা শাসকের দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত এবং এতে ওষুধ খাওয়ার জন্য যে পরামর্শ দেওয়া আছে তা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, কোচবিহারের অনুমত্যনুসারে মুদ্রিত। তার শিরোনাম — HOME ISOLATION FOR COVID-19 POSITIVE CASE. MEDICAL GUIDELINES (ASYMPTOMATIC / MILD SYMPTOMATIC CASES) । প্রণিধানযোগ্য — উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গযুক্ত কোভিড-পজিটিভ ব্যক্তিদের জন্য।
বিষ্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক সহ মোট সাতটি ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট ডোজে। ওষুধ দেওয়া হয়েছে আটটি।
ওষুধগুলোর নাম যেভাবে লেখা আছে —
১। ট্যাবলেট প্যারাসিটামল ৬৫০ মিগ্রা
২। ট্যাবলেট অ্যাজিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিগ্রা
৩। ট্যাবলেট ফ্যামোটিডিন
৪। ভিটামিন C ট্যাবলেট
৫। জিঙ্ক ট্যাবলেট
৬। ট্যাবলেট সেট্রিজিন
৭। ট্যাবলেট ভিটামিন D3
এই ঘটনায় একই সঙ্গে বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। নীচে এক এক করে আলোচনা করছি।
১। রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং প্রাসঙ্গিক প্রচুর ওয়েবসাইট ঘেঁটেও প্রদত্ত ওষুধগুলি খাওয়ানোর কোন নির্দেশিকা পেলাম না। বরং অ্যান্টিবায়োটিক কঠোরভাবে নিষেধ করা আছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গযুক্ত কোভিড পজিটিভ ব্যক্তি, যাঁরা হোম আইসোলেশন বা সরকারি সেফ হোমে আছেন — তাঁদের জন্য কোনরকম ওষুধের কথা কোথাও বলা নেই। শুধু নিয়মিত সরকারি নজরদারিতে থাকার কথাই বলা আছে।
২। ওষুধের তালিকায় নাম এবং খাবার নিয়মে অসম্পূর্ণতা আছে। তালিকার শেষ পাঁচটি ওষুধের ‘পাওয়ার’ লেখা নেই। নামও ঠিকঠাক লেখা নেই।
৩ নং ওষুধে শুধু ফেমোটিডিন লেখা। মোড়কে দেখা যাচ্ছে ৪০ মিগ্রা।
৪ নং ওষুধ, ভিটামিন C ট্যাবলেটের মোড়কে লেখা আছে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ৫০০ মিগ্রা। না, ভুল কিছু নেই। একদম ঠিক। তবে সবাই নাও বুঝতে পারেন।
৫ নং ওষুধ হলো জিঙ্ক সালফেট ২০ মিগ্রা। মোড়কে তাই লেখা আছে। তালিকায় শুধু জিঙ্ক ট্যাবলেট।
৬ নং ওষুধটি দেখছি আসলে লিভোসেট্রিজিন ৫ মিগ্রা। তালিকায় সেট্রিজিন। তেমন কিছু পার্থক্য না থাকলেও এরকম লেখা যায় কি?
৭ নং ওষুধটি ভিটামিন D3 হওয়ার কথা। কিন্তু, পাতাটি এমন ভাবে কাটা যে তার নাম এবং পাওয়ার কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। তা ছাড়া দশটির পরিবর্তে আছে পাঁচটি। সুতরাং সেটি কী ওষুধ বলা মুশকিল।
দশটি ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের একটি পাতা দেওয়া আছে, কিন্তু তার নাম তালিকায় উল্লেখ করা হয়নি।
এখান থেকেই বোঝা যায়, ওষুধ নির্ধারণ এবং বিতরণের ক্ষেত্রে কতটা অবৈজ্ঞানিক এবং অযৌক্তিক পদ্ধতি অনুসৃত হয়েছে।
৩। সম্ভাব্য সমস্ত উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গযুক্ত কোভিড রোগীদের জন্য এ ধরনের গণ প্রেসক্রিপশন বা সাধারণ প্রেসক্রিপশন করা যায় বলে আমার জানা নেই। সমগ্র জেলা জুড়ে একই নির্দেশিকা সহ একই ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে। এবং তা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে। রোগীকে না দেখে না জেনে পূর্বনির্ধারিত ওষুধ খেতে বাধ্য করা শুধু অবৈজ্ঞানিকই নয়, রীতিমতো অন্যায়।
৪। কোন চিকিৎসকের নাম, সই, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া প্রেসক্রিপশন বিলি করা কি আইনসঙ্গত? সংশ্লিষ্ট দপ্তর হয়তো বলবেন, এটি প্রেসক্রিপশন নয়, পরামর্শ মাত্র। সে পরামর্শ হোক বা নির্দেশিকা, প্রেসক্রিপশন হোক বা উপদেশ, মোদ্দা কথা হলো নির্দিষ্ট খাওয়ার নিয়ম সহ ওষুধগুলো দেওয়া হয়েছে। এবং খাওয়ার জন্যই। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো — স্থানীয় মহকুমা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রায় প্রতিদিন ফোনে জানতে চাওয়া হয়েছে, ওষুধ খাচ্ছি কিনা। খাচ্ছি না শুনে রীতিমতো প্ররোচিত করা হয়েছে খাওয়ার জন্য।
৫। রোগী পুরুষ না মহিলা, বয়স কত, ওজন কত, অন্য কোন রোগ আছে কিনা, কী কী ওষুধ খেয়ে থাকেন, ড্রাগ অ্যালার্জি আছে কিনা — এগুলো না জেনেই তার জন্য নির্দিষ্ট মাত্রার ওষুধ নির্ধারিত হয়ে আছে।
যেমন, ধরা যাক —
(ক) প্যারাসিটামল ৬৫০ মিগ্রা। ওজন ২০ কেজি হলে ৬৫০ মিগ্রা যেমন বেশী ডোজ, আবার ৮০ কেজি হলে কম। কিন্তু এক্ষেত্রে শিশু থেকে বৃদ্ধ, কম ওজন থেকে বেশী ওজনের ব্যক্তি, সবার জন্য একই মাত্রার ওষুধ বরাদ্দ হয়ে আছে।
(খ) অ্যজিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিগ্রা খেতে বলা হয়েছে, দিনে একটি করে ৫ দিন। শিশু এবং বৃদ্ধ — উভয় ক্ষেত্রেই ডোজটি বেশী হয়ে যাবে।
বস্তুত, প্রত্যেকটি ওষুধের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য। একই বাড়িতে বিভিন্ন বয়সের একাধিক সংক্রমিত ব্যক্তি থাকলে প্রত্যেকের জন্য একই ওষুধ দেওয়া হচ্ছে এবং তা খেতেও হচ্ছে।
৬। ওষুধের তালিকায় বেশিরভাগই অপ্রয়োজনীয় ওষুধ। সরকারি স্বাস্থ্য দপ্তর জনপ্রিয় ও প্রচলিত অবৈজ্ঞানিক ধারণার ভিত্তিতে ওষুধ বিতরণ করছে — এ অত্যন্ত বিস্ময়ের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়। তিন রকমের ভিটামিন (B-কমপ্লেক্স, C, D3) এবং একটি খনিজ (জিঙ্ক) দেওয়া হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে তথাকথিত ‘ইমিউনিটি বুস্ট’ করার জন্য। অর্থাৎ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য। আমরা জানি, এই ধারণা চূড়ান্ত অবৈজ্ঞানিক। ইমিউনিটি এভাবে বাড়ানো যায় না। অনাবশ্যক ভিটামিন ট্যাবলেট খেয়ে বরং অন্য সমস্যা হতে পারে। যাঁরা ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করতে পারেন, তাঁদের যেমন ভিটামিন ওষুধ দরকার হয় না, তেমনি যাঁরা নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য খেতে পারেন না, তাঁদের কয়েকদিনের ভিটামিন ওষুধ সেবন কোন কাজ দেয় না। করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। নিয়মিত সুষম খাদ্য প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) স্পষ্ট ঘোষণা করেছে , কোভিড চিকিৎসায় এ ধরনের ওষুধ (Micronutrient Supplementation) ব্যবহারের কোনরকম নির্দেশিকা দেওয়া হয় নি।
৭। বিতরণ করা নির্দেশিকার সবচেয়ে বিপজ্জনক অংশটি, আমার মনে হয়, অ্যাজিথ্রোমাইসিন খাওয়ার পরামর্শ। এ কথা আমরা এখন অনেকেই জানি যে, কোভিড-১৯ একটি ভাইরাস (নোভেল করোনা বা SARS COVID-2) ঘটিত রোগ। তাই এই রোগ উপশম বা প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো ভূমিকা নেই। কারণ, অ্যান্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধেই কার্যকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তো বটেই, আমাদের দেশের সরকারি (কেন্দ্র ও রাজ্য) নির্দেশিকাতেও কোভিড চিকিৎসায় অনাবশ্যক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, শুধুমাত্র হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর ক্ষেত্রে, কোভিডের সঙ্গে অতিরিক্ত কোন ব্যাক্টিরিয়া সংক্রমণ (Secondary Bacterial Infection) হলে বা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকলে, চিকিৎসকের নজরদারিতে প্রয়োজনানুসারে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা যেতে পারে।
তাছাড়া, ইদানিং বিশ্বজুড়ে চিকিৎসক এবং চিকিৎসা-গবেষকদের একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়াকে ক্রমশ বহু-ওষুধ প্রতিরোধী করে তুলছে। এ কারণে সারা পৃথিবীতে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার কমানোর জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্ট বলেছে যে, কোভিড প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার অতিমারির সময় এবং তার পরে মৃত্যু সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। অথচ জেলা জুড়ে হাজার হাজার মানুষকে অনাবশ্যক অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হচ্ছে।
শোনা যাচ্ছে, সমগ্র কোচবিহার তো বটেই, আমাদের রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলাতেও এ ধরনের ওষুধ বিতরণ প্রক্রিয়া চলছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি এবং আন্তর্জাতিক চিকিৎসা প্রোটোকলকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে এরকম একটি অযৌক্তিক এবং অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সরকারি উদ্যোগে যে চলছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।
শেষে কয়েকটি সহজ প্রশ্ন এবং তার জানা উত্তর পর্যালোচনা করা যাক।
প্রশ্ন — জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর কি কোভিড চিকিৎসা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা জানেন না? বা আন্তর্জাতিক কোভিড চিকিৎসা বিধির সঙ্গে পরিচিত নন? অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারের কুফল সম্বন্ধে তাঁরা কি অবহিত নন? ভিটামিন এবং খনিজ সাপ্লিমেন্টের ব্যবহার যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয়, সে বিষয়ে কি তাঁরা নিশ্চিত নন?
উপরের প্রত্যেকটি প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর — হ্যাঁ। সব জেনেশুনেই তাঁরা ওষুধ বিতরণ করছেন।
কিন্তু কেন? এই পরিমাণ অর্থ খরচ কি যুক্তিসঙ্গত? বরং এই খরচ কোভিড নিয়ন্ত্রণের অন্য কোন ক্ষেত্রে করলে কি ভালো হতো না? রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর এই ওষুধ বিতরণের বিষয়টি কি জানেন?
আমাদের রাজ্যের এবং দেশের সরকার এমন অনেক কাজই করে থাকেন, যার পেছনে কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিশেষত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত, ব্যবস্থাপনা এবং কর্মপদ্ধতির ক্ষেত্রে তা অনেক সময়ই অনুপস্থিত থাকে। আমার ধারণা, রাজ্য সরকার বিষয়টি জানলেও সরাসরি হস্তক্ষেপ করছেন না। কারণ, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের মতো তাঁরাও চান, কোভিড সংক্রমিত মানুষ মনে করুন, সরকার তাঁদের জন্য এত কিছু করছেন। একটি জেলার কয়েক হাজার মানুষের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখার থেকে কিছু ওষুধপত্র দিয়ে দায়িত্ব সেরে ফেলা অনেক সহজ। অথচ উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গ যুক্ত কোভিড পজিটিভ ব্যক্তিদের কোনো ওষুধের প্রয়োজন নেই। অর্থের এই বিপুল অপচয় রোধ করা গেলে বরং, তীব্র উপসর্গযুক্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা আরও ভালো করা যেতে পারত। সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজেগুলোতে ভেন্টিলেটর – ইত্যাদি লাইফ সাপোর্টের ব্যবস্থা অন্তত কিছু পরিমাণে বাড়ানো সম্ভব হতো।
স্পষ্টতই, গণহারে প্রেসক্রিপশন ও ওষুধ বিতরণ অবিলম্বে বন্ধ করে রোগ নির্ণয়, প্রতিরোধ, প্রতিবিধান ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যথাযথ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ এবং তীব্র উপসর্গযুক্ত কোভিড রোগীদের চিকিৎসার যথাসম্ভব উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে অতিমারি পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সহজতর হবে। সরকার যত দ্রুত এই সত্য উপলব্ধি করবে, ততই মঙ্গল, দেশের এবং দশের।
সূত্রঃ রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা।