ডাক্তারির উচ্চশিক্ষার প্রবেশিকায় (নীট পিজি) এবার থেকে ‘শূন্য’ পার্সেন্টাইল পেলেও সুযোগ মিলবে। আহা! চমকাবেন না। ঠিকই পড়ছেন। ‘শূন্য’ পার্সেন্টাইল! কয়েক বছর আগে হলেও এ নিয়ে একটা লম্বা বক্তিমে ঝেড়ে ফেলতাম। এখন অলস লাগে, হতাশ লাগে। এই একটা পেশায় খানিকটা গুণমান বিচার হ’ত। শেষ দশ বছরে যেভাবে প্রতিটি মোড়ের মাথায় মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়েছে আর ক্রমবর্ধমান সংরক্ষণের রমরমা চলছে, তাতে গুণমানের কথা ভেবে সময় নষ্ট না করাই ভালো। গীতায় বলেছে- যা হয়েছে, যা হচ্ছে, যা হবে; সব ভালোর জন্যই হবে। আমরা নিমিত্ত মাত্র।
চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে আমি কখনো গ্রাহক হ’লে ডাক্তারের কয়েকটা জিনিস দেখার চেষ্টা করবো- সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ডিগ্রি আছে কিনা, কোন কলেজ থেকে পাশ, সংরক্ষণ আছে কিনা, টাকা দিয়ে সিট কিনেছে কিনা। যদিও অপরিচিত ডাক্তারের ক্ষেত্রে এর বেশিরভাগই জেনে ফেলা খুব কঠিন। সংরক্ষণ বুঝে ফেলা প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া নামের পাশে অদ্ভুতুড়ে কিছু বড় হাতের অক্ষর বসিয়ে ‘ডিগ্রি’ বলে জাহির করা, ডিগ্রির পাশে ব্র্যাকেটে ‘কোন বিষয়’ সেটা না উল্লেখ করা, এসব তো আছেই।
যে ছেলে বা মেয়েটি ‘শূন্য’ পার্সেন্টাইল নম্বর পেয়ে, কোটি কোটি টাকা দিয়ে সিট কিনে ডিগ্রি করছে তার কাছে ডাক্তারির নীতিশিক্ষা আশা করা বোকামি। যে জিনিসগুলো দেখে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা ভাবছি, সেটা মিললেই যে সব ভালো হবে, এমনটা নাও হ’তে পারে কিন্তু ভালোর দিকটা বেশি হবে বলেই আমার বিশ্বাস।