নীল নেতাটি বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, ‘ক’ ধর্মের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে।
লাল নেতাটি বক্তব্য দিচ্ছিলেন, ‘খ’ ধর্মের ঘেটো মনোবৃত্তির বিরুদ্ধে।
সকলেই বললো, এ ভোটের যুদ্ধে,
‘খ’এর ভোট নীলে যাবে আর ‘ক’এর ভোট পাবে লাল
আর সেই মতো শতাংশ হিসেব করে
বিজয়ী করলো ঠিক এক্সিট পোল।
কিন্তু ভোটের ফলাফলে বেঁধে গেলো গোলমাল
দেখা গেলো, খয়েরি নেতাটি জিতেছেন।
কারণ তিনি ‘ক’ আর ‘খ’ দুধর্মেরই মুরুব্বির অনুষ্ঠানে ব্যাপক চাঁদা দিয়েছিলেন।
সবুজ নেতাটি ভীষণ লড়ছিলেন ভূমি-সন্তানদের কোটার দাবিতে,
হলুদ নেতাটি আস্থা রাখছিলেন পরিযায়ী’ শ্রমিকের ভোটার-চাবিতে।
কিন্তু দেখা গেলো,
হাওয়া বিপরীতে বেগুনী নেতাটি গেলেন জিতে,
কারণ তিনি ফ্রীতে
কটাদিন ভরপেট ভাত আর বোতলের ব্যবস্থা করেছিলেন।
ম্যাজেন্টা নেতাটি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে
কর্পোরেটের দস্তানা-হস্ত সম্পর্ক ব্যাখ্যা করছিলেন।
মভ নেতাটি বোঝাচ্ছিলেন,
কিভাবে আন্দোলন আদতে ক্ষতি করে প্রগতির গতি’র,
কিন্তু ভোটের পরে দেখা গেলো গোলাপী নেতার কাছে জনতার ভিড়,
কারণ তিনি জিতলে
সবার অ্যাকাউন্টে মাসিক কয়েকশো টাকা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
মাননীয় পাঠক,
এত অবধি পড়ে থাকলে খেয়াল করবেন,
‘সবার পাতে খাবার’, ‘সবার জন্য শিক্ষা’, ‘সবার হাতে কাজ’
ইত্যাদি আদেখলাপনা-গুলোকে কেউ গুরুত্ব দেননি,
না ভোট দেওয়া জনগণ,
না ভোট চাওয়া রঙদার দিদি কিংবা দাদা।
হারিয়েছে দেশ সেই প্রিজম-ঠিকানা,
সব রঙ মিশে যাতে দেখা যেতো সাদা।
অপূর্ব বিশ্লেষণ