একটা মৃদু আলো জ্বলা অন্ধকার ঘর।আলোর রং লাল।একটা মাত্র ছোট্ট জানালা,দেখে মনে হয়, ওটা য্যানো এলাকায় নজরদারির জন্য রাখা হয়েছে।একজন কালো পোশাক পরা,মাথায় বাদামী কাউবয় টুপি-স্বাস্থ্যবান মানুষ পেছন ফিরে বসে আছে। তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে কিছু বিচিত্র পোশাকপরা মানুষ।তাদের পরিচয় পরে প্রকাশ পাবে।লোকটির নাম রাজা।সে জানালার দিকে তাকিয়ে বসে’ আছে।বহু লোকজন সুশৃঙ্খল হেঁটে যাচ্ছে,সবাই রাজার ক্ষমতার বশ।সবাই এই জানালায় তাকিয়ে মাথা নোয়াচ্ছে,তার পর চলে যাচ্ছে।ঘরের ভেতর সবাই রাজার মুখের দিকে উদগ্রীব তাকিয়ে আছে।হঠাৎ রাস্তা থেকে একটা মেয়েলি গলার গান শোনা যায়।সুরটা অচেনা,মনে হয় বুঝি স্পেনদেশের লোকসঙ্গীতের সুর-ওমনি ঝকমকে, দোলা লাগানো।তারপর একটা মেয়েকে দ্যাখা যায়-অদ্ভুত একটা যাযাবর ধরণের রংচংয়ে পোশাক পরা।তার হাঁটাচলায় উদ্ধত যৌবন-প্রাণপ্রাচুর্য,চাঞ্চল্য উপচে পড়ছে।নাচের ছন্দে সে হেঁটে যায়।রাজা ওর যাওয়ার পথে নিবদ্ধচক্ষু তাকিয়ে থাকে।একটু পরে, যখন সুরটুকু দূরে চলে যায়, আর শোনা যায় না-ঢেকে যায় রাস্তার শব্দে,যখন মেয়েটাকে আর দেখা যায় না, তখন রাজা অনুচরদের বলে “এটা কে রে?আগে তো দেখিনি একে”
“এটা এই খনিতে নতুন আমদানি,তোমারই লোকেরা এনেছে”পুরোহিতের পোশাকপরা লোকটা বলে।
একটা সর্দার গোছের লোক, তার পোশাকে,চেহারায় বিশেষ একটা চোয়াড়েমার্কা ছাপ লাগানো,সে বলে “নাম নন্দিনী”
রাজা স্বগতোক্তির মতো, ভূতগ্রস্তর মতো বলে “নন্দিনী…..নন্দিন….. নন্দিন”
বাকিরা হেসে ওঠে “রাজা মরেছে….এ তো লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট”
আরেকজন, সশস্ত্র মানুষ ফিসফিসিয়ে বলে “রাজা হুকুম দাও তুলে আনি?”
রাজা উঠে দাঁড়ায়।হাত তুলে ওদের চলে যেতে বলে’;তারপর পায়চারি করতে করতে উচ্চারণ করে “আমার জীবন, সমস্ত সম্পদ বাজি….. ঐ মেয়েকে আমি চাই….. পুরোপুরি… নিজের করে’…বাজি…. এভাবে আমি কিছু চাই নি…. কাউকে চাইনি….. কোনোদিন……”।সবাই চলে’গেলে,রাজা নিয়মমাফিক ঐ ঘুলঘুলিতে চোখ রেখে বসে’ থাকে।সব মানুষ সারবদ্ধ ওকে সেলাম করতে করতে চলে’ যায়।মানুষের মধ্যে সামান্য অবাধ্যতা আছে কিনা জানার গোপন উপায়।প্রতিদিনই নন্দিনী আসে যায়।রাজা, আড়ালে লুকিয়ে লক্ষ্য রাখে।তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে।একদিন একটি কম বয়সী ছেলে দূর থেকে ডাকতে ডাকতে আসে “নন্দিন…. ও নন্দিন…. একটু দাঁড়াও…. দ্যাখো কী এনেছি….”
ছেলেটাকে দ্যাখা যায়।একটা সদ্য গোঁফ গজানো কিশোর।
“তুই এরকম করে’ডাক দিস যে বুকের ভেতরটা…..দেখি কী এনেছিস রে.. আমার কিশোর পাগল?” কিশোর হাসিমুখে আসে।কপালে তার ঘামের বিন্দু।হাতে তার একগুচ্ছ রক্তকরবী।টকটকে লাল।য্যানো জমাট বাঁধা রক্তবিন্দু।
“ওমা, কিশোর এতো রক্তকরবী রে!কোথায় পেলি রে পাগলা?জানিস না, এদেশে গান, ফুল,প্রেম,এসব বারণ?রাজা যদি জানতে পারে…..”
“ঐ একটা পাঁচিলের ওপার ফুটে ছিলো, সুন্দর না?নন্দিন, ওরা জানতে পারবেই না”কিশোর হাসে।
“তবু যদি”
“নন্দিনী তুমি এই ফুল ভালবাসো…জানলে ওরা হয়তো বেত মারবে….. কিন্তু তুমি তো…..(কিশোর সলাজ হাসে)ওতে আমার কিচ্ছু হবে না”
নন্দিনী রক্তকরবীর গোছা ওর কালো মেঘের মতো চুলে গোঁজে।কিশোর দৌড় লাগায়।
রাজা ওর নজরদারি জানালা থেকে ডাক দ্যায় “নন্দিনী,এই যে শুনছো..”
নন্দিনী ওর চোখে এসে পড়া চুলের গোছা সরিয়ে গ্রীবাভঙ্গিতে এদিক ওদিক তাকায় “কে…. কই কাউকে তো দেখছি নে….কে ডাকে?”
রাজা জানালা থেকে “এই জানালায় তাকাও”
নন্দিনী ভ্রুকুঁচকে,চোখের ওপরে হাত রেখে চেষ্টা করে’,তবুও দেখতে পায় না।
“আমি রাজা…. জানালা থেকে বলছি…”
“রাজা?ঘোমটা দেওয়া পর্দার আড়ালের রাজা?(নন্দিনী খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে)
এ্যাতো ভয় তোমার…. লোকের সামনে আসতে ভয়,মুখ দ্যাখাতেও ভয়…. মস্তো বড়ো সাহসী আমাদের রাজা(আবার হাসিতে ভেঙে পড়ে)”
“যেদিন আমাকে দেখবে…. সহ্য করতে পারবে তো?…সেদিন বুঝবে আমি কতো ভয়ঙ্কর…(রাজার গলা রাগে বিকৃত হয়ে’ আসে)
“তাহলে মিথ্যে আমায় ডাকো ক্যানো?আমার ব্যালা বয়ে যায়…. যে চোখে তাকিয়ে কথা বলতে ভয় পায়, তার সঙ্গে আমি কথা বলিনে”
নন্দিনী চলে যায়।রাজা অস্ফুটে ডাকে “নন্দিনী….. শোনো… নন্দিনী…”
নন্দিনী রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায়।প্রায় রোজই ঐ গুপ্ত জানালা দিয়ে রাজার সঙ্গে কথা হয়।
“রাজা,তোমার অনেক ক্ষমতা তাই না?”
রাজা চুপ করে’ থাকে।
“ইচ্ছে করে, তোমার ঐ ঢাকনা খুলে’, ছিঁড়ে ফেলে’ তোমাকে খোলা আকাশের নিচে দাঁড় করাই, দ্যাখাই আকাশ কত্তো বড়ো, কতো সুন্দর অথচ তোমার মতো আমাদের আটকে রাখে না।একদিন তোমাকে নিয়ে যাই একটা পাহাড়ের কাছে….”
“নন্দিন আমি একটা পাহাড় দেখেছিলাম….দূর থেকে, কী বিশাল, কতো উঁচু।একদিন সকালে উঠে দেখি…. পাহাড়টা ধ্বসে পড়ে’ গ্যাছে।আসলে পাহাড় বড়ো ক্লান্ত ছিলো।যুগ যুগ ধরে’ ওখানে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ওর আর জোর ছিলো না।রাতের গভীরে নিজের ভারেই ভেঙে পড়ে’ গ্যালো….”
“রাজা ….ওভাবে বোলো না…. শরীরটা ক্যামন শিউরে ওঠে”
সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত্রি এসে গ্যাছে,দুজন মানুষ আর একজন মহিলা, এদের কারো বা বৌ হয়তো হবে,নন্দিনীকে নিয়ে আলোচনা করছে।
একজন বলে “ঐ যে নতুন মেয়েটাকে এনেছে, আমার একদম পছন্দ হয় না”
মহিলা “হ্যাঁ হ্যাঁ, আমারও মনে হয় বড্ড ঢলানি ধরণের…”
অপরজন “হ্যাঁগো, তুমি ঠিকই বলেছো, ক্যামন য্যানো নিয়ম না মানা…. বুনো ঘোড়ার মতো”
মহিলা “ছেলেরা আবার বুনো ঘোড়া পোষ মানাতেই ভালো বাসে… এটাই হলো মুশকিল,ওগো তুমি আর একদম ওর দিকে তাকাবে না”
প্রথম জন “মাথায় লাল ফুল গোঁজে, অন্য রকম পোশাক,কোনও নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা করে না, এভাবে চললে এখানকার শৃঙ্খলা বলে’ আর কিছু থাকবে না। যদি কোনোভাবে রাজার কানে পৌঁছয় কথাটা, তাহলেই এ্যাক্কেবারে শেষ, রাজা এসব পছন্দ করে’ না”
মহিলা মুখ ব্যাঁকায়।
দূর থেকে কার য্যানো গান ভেসে ভেসে আসে,ছাড়া ছাড়া,বসন্তের হাওয়ার মতোন,সব কথা শোনা যায় না “ওগো দুখ জাগানিয়া, তাইতো আমায় জাগিয়ে রাখো.. তোমায় গান শোনাবো…”
“ও কে গান গাইছে?বিশুভাই না?”
ওর গান শুনলে পরে ভেতরটা ক্যামন উদাস হয়ে আসে… মনে হয় গান গাইতে গাইতে চলে যাই”
“তুই গান গাইবি?হা হা হা হা হা হা”
“বিশুভাই কাকে গান শোনাবে?কে সে?যে ওকে এই গভীর রাতে জাগিয়ে রাখে?”
“কে আবার ঐ অনাছিষ্টি মেয়েটা…. আমাদের ভেতরের বাঁধনগুলো সব আলগা হয়ে’ আসছে… এই তুমি ঘরে চলো গো, ঐ সর্বনাশী আমাদের সবার কপাল পোড়াবে…”
“কী জানি কী আছে কপালে?”
“এই রে,ঐ যে সর্দার আসছে, চলো চলো, ঘরে যাই”
আলোচনা করতে করতে সবাই চলে যায়।
রাজার সেই ঘরের ভেতরে রাজা আর নন্দিনী।নন্দিনীর কোলে মাথা রেখে রাজা।
“নন্দিন, তোমার এই ঘন চুলে মুখ ডুবিয়ে, মনে হচ্ছে আমি মৃত্যুর শান্তি পাচ্ছি”
“আচ্ছা রাজা সবাই তোমাকে এ্যাতো ভয় পায় ক্যানো বলো দেখি… আমি তো তোমাকে খুব সাধারণ মানুষের মতোন দেখতে পাচ্ছি”
“সেটাই তো কারণ, তুমি বুঝবে না নন্দিন।নিজেকে জানালে লোকে আর আমাকে ভয় পাবে না….জানো এই ঘরে পাথরের তলায় একটা বুড়ো, খুব বিষাক্ত ব্যাঙ ছিলো।কতো যুগ ধরে’..তা কেউ জানে না।কেউ ওদিকে যেতো না।ভয়ে।একদিন আমি সাহস করে’পাথরটা সরিয়ে দেখি…. হা হা হা হা… সেই ব্যাঙ কবেই মরে গেছে…. অথচ সবাইকার মনে ওর ভয়টারয়ে গেছে….. আমি ওটাকে হাতে তুলে দেখি বরফের মতো ঠান্ডা,নিষ্প্রাণ তার শরীর।ভয় ব্যাপারটা আসলে অনেকটা…”
নন্দিনী ঝটকা মেরে’উঠে পড়ে।
“ঈস ম্যাগো, একটা মরা ব্যাঙ নিয়ে….. আমার ভাবতেই গা বমি বমি করছে….(হঠাৎ জানালায় তাকিয়ে)ওকি ও কে?তোমার লোকেরা ওরকম করে’ কাকে চাবুক মারছে?কী ওর দোষ?”
রাজা উঠে দেখে’ “ও আমাদের নিয়ম ভেঙে অন্যায় করেছিলো”
“একি, একি ঐ এলোমেলো চুল…. দাড়ি… ওতো আমার চেনা…. বিশুপাগল…. কী দোষ করেছে ও?”
“জানি না।মানে… ইয়ে….সব খবর আমার কাছে পৌঁছয় না”
“আমি জানি, আমি জানি, সেদিন রাতে গান গেয়েছিলো… কী নিষ্ঠুর তুমি…. আচ্ছা কিশোরের খবর কী?গত কয়েকদিন ওকে দেখছি না….. ও তো প্রতিদিন আমার কাছে আসবেই….আসছে না ক্যানো? ও কোথায়?”
“কিশোর, কে কিশোর?ঐ যে ফুল এনে দিতো ঐ ছেলেটা?”
“হ্যাঁ হ্যাঁ….. ও কোথায়?(নন্দিনী রাজার বাহুমূলে ধরে’ ঝাঁকাতে থাকে)…..বলো”
রাজা নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে’ উল্টোদিকে ফিরে বলে “হারিয়ে গেছে…. ও সময়ের খাতা থেকে হারিয়ে গেছে”
“রাজা(নন্দিনী চিৎকার ওঠে)বুঝেছি তুমি কিশোরকে মেরে ফেলেছো….. আমি বুঝেছি… তোমার ক্ষমতার দম্ভ আমি ভাঙবো….. আসুক আমার রঞ্জন”
“রঞ্জন?যে ছেলেটা খনিতে গাঁইতি চালাতে চালাতে গান গায়?”
“হ্যাঁ হ্যাঁ… আমার রঞ্জন”
“আমি ওকে ধ্বংস করে’ দেবো, নিয়ম ভাঙা আমি মানি না… আর তাছাড়া রঞ্জন আমার প্রতিদ্বন্দ্বী…. ও আর থাকবে না”
“পারবে না।আমার রঞ্জন বিশ্বজয়ী,আমার বিষ্ময়।ও জিতলে আমি ওর কানে কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরী পরিয়ে ওকে বরণ করবো….. সব কিছু ক্ষমতা দিয়ে পাওয়া যায় না রাজা, তোমার নিয়মের নিগড় আমি ভাঙবো”
রাজা ব্যাঁকা হাসে।নন্দিনী দরজায় ধাক্কা মেরে’ বেরিয়ে যায়।
কিছু লোকজন নিজেদের মধ্যে জটলা করছে।
“এভাবে এ্যাকা লড়াই করে’ হয় না”
“তবুও আমাদের শিখিয়ে দিলো কিভাবে লড়তে হয়…”
“কিভাবে মরতে হয় সেটা শেখালো বলো,তবে বীর বটে, আর কী তার গানের গলা”
নন্দিনী আসে।
“অমন সাহসী যে বেঁচে থাকলে আমাদের নেতা হতো।আর ভালো লাগে না অহর্নিশ এই টাকা আর সোনার জন্য খেটে যেতে”
“অথচ আমাদের লোভটাও সুপ্রচুর, হা হা হা হা”
নন্দিনী শুধায় “কার কথা বলছো গো তোমরা?”
সবাই চুপ করে’থাকে।শুধু সেই বৌটি বলে “তোমার নাগরের কথা হচ্চে গো…. রঞ্জন”
নন্দিনীর চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে’ ওঠে ” কোথায়, কোথায় আমার রঞ্জন?”
একজন ওপরের দিকে আঙুল দ্যাখায়।নন্দিনী মুহূর্ত স্তব্ধ হয়ে থাকে।
“তার মানে কি?কি হয়েছে রঞ্জনের…. বলো তোমরা কথা কইছো না ক্যানো?….(ফিসফিস করে’) বুঝেছি, বুঝেছি…. ঐ দানবটা ওকে ধ্বংস করেছে….(জানালার দিকে মুখ করে’) রাজা আমি তোমাকে ভয় পাই না।এ্যাকা যেতেও ভয় পাই না,মরতেও না।আমার হাতেই তোমার মৃত্যু হবে।নাহলে তোমার হাতে আমার। তোমার গল্পের ঐ বিষাক্ত ব্যাঙটার মতোন তুমি মরে গ্যাছো….. বহু আগেই…. ঐ পাহাড়টার মতোন তোমার ভিত দুর্বল হয়ে গ্যাছে…. সবাই তোমাকে মিথ্যে ভয় পায়।আজ হবে শেষ লড়াই।তোমার সঙ্গে আমার।হয় তুমি হারো, নয় আমি হারি।”
সেই মহিলা বলে ওঠে “নন্দিনী, আমরা…. আমরা তোমার সঙ্গে আছি….”নন্দিনী য্যানো শুনতেও পায় না,ও এক একটা করে’ রাজার চিহ্ন ভাঙতে থাকে।বাকিরা সবাই দরজাটা ভাঙার চেষ্টা করে।রাজা নিজেই দরজা খুলে’ দ্যায়।
“না না বিশ্বাস করো…. তোমরা বিশ্বাস করো আমি কিছু করিনি… এটা এই দেশের পুরোনো দিনের নিয়ম করেছে…আমরা সবাই নিয়মের জালে বন্দী। আইনে যা লেখা আছে…. তাই হয়েছে….আমি কিছুই করি নি। আমি নির্দোষ”
জনতার সামনে আসে নন্দিনী “আমি মানি না।এই সব নিয়ম তোমার নিজের হাতে করা।সেগুলো আমাদের বুকের ওপর পাহাড়ের মতো বসে’ আছে।সব আইন তুমি নিজে লিখেছো…আমি তোমাকে মানি না।এসো ধ্বংস হও।ধ্বংসের বদলে ধ্বংস…”
পেছনের সমবেত মানুষরা এগিয়ে আসে।তাদের প্রত্যেকের হাতে কিছু না কিছু রয়েছে, সে ভাঙা পতাকার লাঠিই হোক বা রাস্তার পাথর।রাজা পিছিয়ে যেতে থাকে।
“শোনো, আমি নিজেও এই নিয়মে ক্লান্ত…. একটু বোঝার চেষ্টা করো।দ্যাখো,আমি নিজে হাতে সেই আইন বদলে দেবো… আমি নিজেই আমার জয়ধ্বজা ছিঁড়ে ফেলেছি, এসো আমরা সবাই মিলে ভাঙি আমার রাজদণ্ড…..”(অনুপ্রেরণা রবিদাদা)