ওরা যখন এমন করে কিছুই বলো না!
আমরা যখন ভুগি তখন সঙ্গে চলো না।
এই বলে যায় তাবত দলই,
দুতরফের হিংসা-বলি.
বাড়তে থাকে, বেড়েই চলে,
দেশটা দুঁফাক দুটো দলে,
জঙ-নিদানে সংবিধানে কাজ আর হলো না।
সোনার স্বদেশ স্বপ্ন এখন, শান্তি ছলনা।
রামের বয়েস আড়াই হাজার, আল্লাহ তেরোশোতে,
পঁচাত্তরের মৃত্তিকা লাল অনুগামীর গোঁ-তে,
পয়গম্বর ও বাল্মীকি,
দেখা তাঁদের হয়নি ঠিকই,
তবুও টিকি বনাম দাড়ি,
কাটছে মানুষ, ভাঙছে বাড়ি,
দুই ভাগে আজ বইছে মানুষ দেশের জনস্রোতে।
রাষ্ট্র খেয়াল রাখেন এরা এক না পারে হতে।
ধর্ম এখন ঘেন্না করা অন্য কারোর ঈশ্বর
দেশের দেহ নীল করে দেয় আমরা-ওরা’র বিষ-শর।
হিন্দু বলে নবীর নামে,
মোল্লা হারাম বলছে রামে,
তার জেরে যে দেশ কেটে যায়,
নিজের ভিটের ভিত ঘেঁটে যায়,
সেই কথাটা বলার মতো কণ্ঠরা আজ নিঃস্বর।
ঘেন্না করায় উৎসাহ দেয় ভোট-ক্ষমতার ফিস-স্বর।
মরবে কিছু আল্লাহ-সেবক, মরবে রামের ভক্ত,
এ দেশ যাদের জন্মভূমি, তাদেরই সেই রক্ত।
দেশ ভুলে যে ধর্ম জাগে,
অস্ত্র সেটাই দেশ-বিভাগে
কেউ বোঝে না সে সত্যটি,
টলমলে আজ দেড়শো কোটি,
ধর্ম এমন দেশ নাড়ালে দাঁড়িয়ে থাকা শক্ত।
আগামীকে করবে দুফাঁক আজ রাজাদের শখ তো।
এমন যদি সংবিধানেও ভক্তি হতো পোক্ত!