Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

বিজ্ঞানের দায় (শেষ অংশ)

Screenshot_2024-01-02-23-33-05-99_680d03679600f7af0b4c700c6b270fe7
Dr. Bishan Basu

Dr. Bishan Basu

Cancer specialist
My Other Posts
  • January 3, 2024
  • 7:15 am
  • No Comments

পূর্বপ্রকাশিতের পর…

একের পর এক জিনিয়াস বিজ্ঞানীর অবদানে বিজ্ঞান ধাপে ধাপে এগিয়ে আজ এতদূর আসতে পেরেছে, এমনটাই আমরা ভাবি। কিন্তু সত্যিই কি তাই? বিজ্ঞান-দার্শনিক তথা বিজ্ঞানের ইতিহাস বিষয়ে বিশেষজ্ঞ থমাস কুহন ব্যাপারটাকে অন্যভাবে দেখেছেন। তাঁর মতে, বিজ্ঞানের যাত্রাপথ কোনও ধারাবাহিক অগ্রগতির ইতিহাস নয় – এই পথে বড় বড় বদলগুলো এসেছে একেকখানা ঝাঁকুনি হিসেবে। যাকে তিনি অভিহিত করেছেন বৈজ্ঞানিক বিপ্লব – ইংরেজিতে সায়েন্টিফিক রিভলিউশন – এই নামে।

বলা-ই বাহুল্য, এমন বিপ্লব ঘনঘন ঘটে না। বিজ্ঞানের ইতিহাসে এমন বিপ্লব হাতেগোনা। যেমন, কোপার্নিকাসের তত্ত্ব, যা বহু শতাব্দী ধরে চলে আসা টলেমি-র বিশ্বভাবনাকে বাতিল করে দিল। যেমন, আইনস্টাইনের তত্ত্ব, যা পদার্থবিদ্যায় নতুন যুগ ডেকে আনল। যেমন, ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্ব, যা জীববিজ্ঞানের এতদিনকার ধ্যানধারণাকে পুরোপুরি বদলে দিল। এরকম আরও কয়েকটি বৈজ্ঞানিক বিপ্লব। যে বিপ্লব এতদিন যাবৎ চলে আসা বিজ্ঞানচর্চাকে সরিয়ে দিয়ে পরিবর্তে নতুন ধারার বিজ্ঞানচর্চার সূচনা করল। যাকে কুহন বললেন, প্যারাডাইম শিফট (কুহন-এর ব্যবহৃত এই শব্দবন্ধ আজকাল বিভিন্ন ক্ষেত্রে আকছার ব্যবহৃত হচ্ছে)।

কুহন-এর বক্তব্য মানলে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিজ্ঞানের যে গবেষণা চলে, তা মূলত সেই সময়কার চালু ‘প্যারাডাইম’ মেনেই ঘটে। যে চর্চাকে তিনি বললেন, নরম্যাল সায়েন্স। এই সময়ে বিজ্ঞানীরা যা করে থাকেন, তা কোনও যুগান্তকারী গবেষণা নয় – স্রেফ চালু প্যারাডাইম-এর মধ্যেকার ফাঁকফোকরগুলো ভরাট করা, সেই প্যারাডাইম-এর মধ্যে জেগে থাকা সমস্যাগুলোর সমাধান করা – কুহন-এর ভাষায়, পাজল-সলভিং। কিন্তু একটা সময় আসে, যখন এই রকম গবেষণা দিয়ে সব সমস্যার সমাধান হয় না, সম্পূর্ণ নতুন ভাবনা জরুরি হয়ে পড়ে। জরুরি হয়ে পড়ে বৈজ্ঞানিক বিপ্লব।

এ পর্যন্ত কুহন যা যা বলেছিলেন, তা মানতে বিজ্ঞানীদের আপত্তি ছিল না। কিন্তু এর পরের কথাটাতেই অনেকে রীতিমতো চটে গেলেন। কুহন বললেন, এই বিপ্লব, অনেকক্ষেত্রেই খুব যুক্তিপূর্ণ পদ্ধতি মেনে বা বিচারবিবেচনার মাধ্যমে সম্ভব হয়, তা নয় – প্রায়শই বিপ্লব আসে একক ব্যক্তির কল্পনাশক্তি বা সৃজনীশক্তির প্রকাশ হিসেবে। শুরুতে অনেকেই এই বৈপ্লবিক ভাবনাকে মানতে চান না, একজন একজন করে ক্রমশ সমর্থকের সংখ্যা বাড়ে। কুহন-এর বক্তব্য, এই যে একজন একজন করে নতুন তত্ত্বের সমর্থনে আসতে থাকেন, তা-ও যে খুব একটা যুক্তি মেনে বা পরীক্ষানিরীক্ষা করে আসা, এমন নয়। অনেকসময়ই এই আসাটা প্রায় ধর্মান্তরিত হওয়ার মতো করে আসা – পুরোনো প্যারাডাইম ছেড়ে নতুন মন্ত্রে দীক্ষিত হওয়া – এবং নতুন ভাবনায় দীক্ষিতের সংখ্যাটা সবসময় তত্ত্বের ঔৎকর্ষ দেখে নয়, আবিষ্কর্তার ক্যারিশমা দেখে ঘটে। এবং আস্তে আস্তে যখন নতুন ভাবনাটা প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে, তখন বাকিরা দৌড়ে আসেন স্রেফ ‘পিয়ার প্রেশার’-এ। অধিকাংশ বিজ্ঞানী যখন নতুন তত্ত্বের পক্ষে চলে আসেন, তখন পুরনো প্যারাডাইম-এর জায়গায় নতুন তত্ত্বটিই নতুন প্যারাডাইম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় – এবং পরবর্তী বিপ্লব না ঘটা পর্যন্ত সেটিই চালু প্যারাডাইম হিসেবে অধিষ্ঠিত থাকে। কিন্তু কুহন-এর বক্তব্য যদি সত্যি হয়, তাহলে বিজ্ঞান-গবেষণা সম্পর্কে প্রচলিত যাবতীয় ধ্যানধারণা – গবেষণার নৈর্ব্যক্তিকতা বিষয়ক বক্তব্য, বিজ্ঞান-গবেষণাকে এক যুক্তিনিষ্ঠ অনুসন্ধান হিসেবে ভাবার অভ্যাস ইত্যাদি প্রভৃতি – সবকিছুই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। তদুপরি, কুহন-এর পরবর্তী বক্তব্য – ইনকমেনসুরেবিলিটি – অর্থাৎ দুটি প্যারাডাইম যেন দুটি পৃথক বিশ্বদর্শন, যেখানে কোনও সাধারণ ফ্যাক্টর নেই – তা মানলে, ঠিক পূর্ববর্তী বিজ্ঞানীদের অবদানের উপর দাঁড়িয়েই পরবর্তী গবেষণার কাজ এগোয়, কুহন-এর সম্পূর্ণ দুই পৃথক প্যারাডাইম-এর তত্ত্বকে স্বীকার করলে, এই ধারণার সত্যতাও সঙ্কটে পড়ে।

এবারে কুহন-এর এই প্যারাডাইম-এর তত্ত্ব এবং একটি নির্দিষ্ট প্যারাডাইম-এর মধ্যে যাবতীয় গবেষণাকে স্রেফ ধাঁধার সমাধান খোঁজা হিসেবে দেখা – এবং দুই প্যারাডাইম-এর মধ্যে সম্পূর্ণ অসাযুজ্য – এই তত্ত্বকে যদি আমরা নৈতিক ভাবনার প্যারাডাইম হিসেবেও দেখি? অর্থাৎ যদি বলি, একটি নির্দিষ্ট সমাজদর্শন ও নীতিদর্শনের প্যারাডাইমের মধ্যে বিজ্ঞানীরা কাজ করে থাকেন, এবং সেই নীতিভাবনার প্যারাডাইম-এর মধ্যে বসেই তাঁরা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ধাঁধার সমাধান খোঁজেন, ভাবনাটা কি ভুল হয়ে যাবে?

উদাহরণ হিসেবে বলা যাক – যদি ভাবি, গত শতকের শুরুর দিকে পরমাণু-বিজ্ঞানের অবিশ্বাস্য অগ্রগতি ঘটেছিল। কিন্তু কয়েক দশক এগোতে না এগোতেই বিশ্বের আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষিতের বিরাট বদলের সঙ্গে সঙ্গে নীতিভাবনার প্যারাডাইম-এরও বড়সড় বদল ঘটল। এবং সেই প্যারাডাইম-এর মধ্যেকার বড় এক ধাঁধার (বা এক্ষেত্রে, চাহিদার) সমাধান হিসেবে সেসময়ের শ্রেষ্ঠ কিছু বিজ্ঞানী বানিয়ে বসলেন পারমাণবিক বোমা। তার পরেও বানালেন হাইড্রোজেন বোমা। বিশ্বযুদ্ধের পরে চলতে লাগল মারণাস্ত্র নির্মাণের প্রতিযোগিতা। এইভাবে দেখতে চাইলে, দেখাটা কি খুব বড় ভুল হয়ে যাবে?

#####

কুহন-এর তত্ত্ব অনুসারে, যে বিজ্ঞানী প্রচলিত প্যারাডাইম ভেঙে নতুন ভাবনার সূচনা করেন, তাঁর সেই নতুন ভাবনার জন্য স্রেফ গবেষণা বা পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট নয় – কল্পনাশক্তির গুরুত্ব সেখানে সমধিক গুরুত্বপূর্ণ। দুটো উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। কোপার্নিকাস তাঁর নতুন বিশ্বভাবনার তত্ত্ব এনেছিলেন শুধুই পর্যবেক্ষণ ও গাণিতিক সমাধানের মাধ্যমে নয় – তিনি দেখতে চেয়েছিলেন, নিজেকে সূর্যের মাঝখানে দাঁড় করিয়ে। অর্থাৎ, সূর্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে যদি তিনি পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহকে দেখেন, তাহলে ঠিক কেমন দেখতে লাগবে, এই কল্পনার উপরই নির্মিত হয়েছিল তাঁর তত্ত্ব। হয়ত তাঁর সেই কল্পনাকে উসকে দিয়েছিল লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ভিটুভিয়ান ম্যান-এর ছবিটি, যেখানে একজন মানুষ দুই বাহু প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন একটি বৃত্তের কেন্দ্রে। আবার আইনস্টাইনের মাথায় গেঁথে গিয়েছিল স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে দেখা একটি ছবি, যেখন একজন মানুষ টর্চ থেকে বেরোনো আলোকরশ্মির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়ানোর চেষ্টা করছেন। তিনি ভাবতে শুরু করেছিলেন, সত্যিই যদি একজন আলোর গতি বা তার কাছাকাছি গতিতে চলমান হন, তাঁর চোখে পৃথিবীর দৈনন্দিন দৃশ্যগুলো কেমন দেখতে লাগবে। এই পথেই এসেছিল আপেক্ষিকতার তত্ত্ব।

শুধু বৈপ্লবিক বিজ্ঞানই নয়, নির্দিষ্ট প্যারাডাইম-এর মধ্যে চলতে থাকা আটপৌরে বিজ্ঞান-ও কেবলমাত্র পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় না। নির্দিষ্ট ভাবনা অনুসারে পর্যবেক্ষণ, এবং সেখান থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো – এই দুই না মিললে বিজ্ঞানচর্চা হয় না। কার্ল পপার একখানা চমৎকার উদাহরণ দিয়েছিলেন। ধরা যাক, একজন মানুষ বছরের পর বছর ধরে যা দেখছেন, তা-ই নিখুঁতভাবে লিপিবদ্ধ করছেন। মানুষটির পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা অসামান্য এবং লিপিবদ্ধ করার ব্যাপারেও তিনি অত্যন্ত সৎ ও একনিষ্ঠ। শেষমেশ তাঁর সারাজীবন ধরে সংগৃহীত তথ্য তিনি জমা দিলেন রয়্যাল সোসাইটির লেখ্যাগারে। তা কি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য হিসেবে মান্যতা পাবে? পপার-এর উত্তর ছিল – না, কখনোই পাবে না। (অবশ্য সুপারকম্পিউটার, বিগ ডেটা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে পপার-এর এই সিদ্ধান্ত সঠিক না-ও হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে, পপার-এর এই সিদ্ধান্তের খামতি, কুহন-কথিত ইনকমেনসুরেবিলিটি অনুসারে, খুবই প্রত্যাশিত, কেননা এ তো এক পৃথক প্যারাডাইম!)

অতএব, বিজ্ঞানীর মনে জাগা ভাবনা ও সেই অনুসারে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা, বা পর্যবেক্ষণ-লব্ধ আপাত-অসংলগ্ন তথ্যের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি ধাঁচ খোঁজা (সে-ও বিজ্ঞানীর নিজস্ব ভাবনা-নির্ভরই) এবং সেখান থেকে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া – বিজ্ঞান গবেষণা মোটামুটিভাবে এভাবেই চলে।

এবং বিজ্ঞানীর ভাবনা যেহেতু অনেকভাবেই প্রভাবিত হতে পারে – তাঁর শিক্ষাদীক্ষা, পারিবারিক ও পরিবেশগত শিক্ষা দুইই, বিজ্ঞানী হিসেবে তাঁর ট্রেনিং, সমকালীন বিজ্ঞান-ভাবনার ধারা, আর্থসামাজিক কাঠামো ও তদনুসারী ভাবনা, সমকালীন নীতিবোধের পরিবেশ, বিবিধ বায়াস – সবই সেখানে ক্রিয়াশীল হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞান-গবেষণার পদ্ধতি যতই নৈর্ব্যক্তিক ও বায়াস-মুক্ত হোক না কেন, বিজ্ঞানচর্চার উপাদানগুলোর মধ্যে পারিপার্শ্বিকতার প্রভাব অবশ্যম্ভাবী। তাহলে কি প্রভাবটা শুধুই একমুখী হয়ে থাকবে? সেই পারিপার্শ্বিকের নির্মাণ বা প্রচলিত ব্যবস্থার পরিবর্তনে বিজ্ঞানীর দায় থাকাটাও সমান প্রত্যাশিত নয়?

######

জগদ্বিখ্যাত গণিতজ্ঞ তথা পদার্থবিদ, ফ্রিম্যান ডাইসন-এর কথাটা একবার মনে করিয়ে দেওয়া যায়। “আমরা প্রথমে মানুষ, তার পরে বিজ্ঞানী। সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়ে আমরা সরব হই, কেননা আমাদের বিশেষ-জ্ঞান-এর কারণে আমাদের কিছু দায়দায়িত্বও থাকে।”

এবং সেই দায়বদ্ধতা দেশের সীমানা মানে না, কেননা বিজ্ঞান যেমন মানবসভ্যতার সম্পদ, বিজ্ঞানীর দায়বদ্ধতাও তেমনই সমগ্র মানবজাতির প্রতি। আন্তন চেকভ বলেছিলেন, “জাতীয় বিজ্ঞান বলে কিছু হয় না, ঠিক যেমন আলাদা করে জাতীয় যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগের টেবিল হয় না। যা কিছু শুধুই জাতীয়, তা আর বিজ্ঞান থাকে না।” চেকভ-এর এই উক্তির ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক আগের সময়টিতে হিটলারের জার্মানিতে বিশুদ্ধ জার্মান বিজ্ঞানচর্চার পত্তন ঘটেছিল। তার ভালোমন্দের খবর সবাই জানেন।

পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষী, সবসময় বিজ্ঞানীরা এমন দায়বদ্ধতার প্রমাণ রাখতে পারেননি। আর বর্তমান সময়ে, বিজ্ঞান যখন পুঁজির দাসত্ব মেনে মুনাফার চাহিদা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, তখন মানবিক আদর্শের প্রতি বিজ্ঞানের যে স্বাভাবিক দায়, তা পালন করতে পারা মুশকিল।

তবু, আর পাঁচটা পেশার চাইতে বিজ্ঞানীদের আমরা আলাদা করেই দেখতে চাই। অন্তত, আমরা যারা বিজ্ঞান-গবেষণার জগতের মানুষ নই, তাঁরা বিজ্ঞানীদের বিশেষ সমীহের চোখে দেখতে অভ্যস্ত। তাঁরা যেন ভিন-গ্রহের বাসিন্দা, প্রত্যেক বিজ্ঞানী যেন একেকজন উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। তাঁদের কাছে আমাদের প্রত্যাশাও অনেক।

প্রত্যাশাটা যে নিতান্তই অযৌক্তিক, তা তো নয়। কেননা বিজ্ঞান-গবেষণার পদ্ধতির মধ্যেই থাকে শান্ত পর্যবেক্ষণের অভ্যাস, প্রতিটা সিদ্ধান্তের পেছনে থাকার কথা ধৈর্য সহকারে নির্মোহ পরীক্ষানিরীক্ষা – মানবমনের অন্যতম বড় গুণ, সুচিন্তিত বিচারশক্তি ও যুক্তিবোধ, তা বিজ্ঞানীর দৈনন্দিন যাপনের অংশ-ই হওয়া উচিত – এবং বিজ্ঞানীর কল্পনা ও স্বপ্নও পরিচালিত হয়, উপরোক্ত অভ্যাস দ্বারা। অন্তত, তেমনটাই হওয়া উচিত। যেকারণে, উনবিংশ শতকের সমাজসংস্কারক ফ্রান্সেস রাইট বিজ্ঞানকে অভিহিত করেছিলেন, “মানুষের যে কিছু মহত্তম সদগুণ, তার দিকনির্দেশক” হিসেবে।

কিন্তু সে তো এক অন্য শতাব্দীর কথা। সময়টা ছিল আলাদা। অন্য প্যারাডাইম।

বিশ্বায়ন-ভুবনায়ন মুক্ত অর্থনীতির যুগে দাঁড়িয়ে বিজ্ঞানীর প্রতি আমাদের তেমন প্রত্যাশার যুক্তি আছে কি? বিজ্ঞানীর পক্ষেও কি সেই প্রত্যাশা পূরণ করে চলা সম্ভব?

উত্তরটা নিজের নিজের মতো করে খুঁজে নেওয়াই ভালো।

(সমাপ্ত)

PrevPreviousবছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় জানাই
Nextকোন পথে ২০২৪?Next
5 1 vote
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

দুটি শরীরবিজ্ঞানের আওতার অতীত সম্ভাবনা

November 14, 2025 No Comments

তিন নাকি চারজন সন্ত্রাসবাদী ধরা পড়েছে, যারা পেশায় চিকিৎসক। এর জন্য সামগ্রিকভাবে চিকিৎসকদের কেউ গালিগালাজ করে যাবেন বলে মনে হয় না। আরেকদিকে মাননীয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী

বিস্ফোরণের পিছনে ডি কোম্পানি। ডি মানে দাউদ নয়, ডাক্তার

November 14, 2025 No Comments

টেলিভিশনের খবরে বলছে, “বিস্ফোরণের পিছনে ডি কোম্পানি। ডি মানে দাউদ নয়, ডাক্তার।” টেলি-সাংবাদিক বেশ রসিয়ে বলছেন আর আমি সীতার মতো “ধরণী দ্বিধা হও” বলে পাতাল

বদলে যাওয়া পৃথিবীতে ট্রাম্পের আমেরিকা

November 14, 2025 No Comments

১৮ অক্টোবর, ২০২৫। আমেরিকা জুড়ে বৃহত্তম বিক্ষোভের সাক্ষী হলেন বিশ্ববাসী। ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বৈরতান্ত্রিক-একনায়কতন্ত্রী নীতির বিরুদ্ধে আমেরিকার প্রধান প্রধান শহর সহ ২,৫০০ এর বেশি শহরে লক্ষ

গণস্বাক্ষর অভিযান।। বিচারহীন ১৫ মাস

November 13, 2025 No Comments

আমরা ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিল আইনে পরিবর্তন চাই

November 13, 2025 No Comments

১০ নভেম্বর ২০২৫ রাত ৮টায় ফেসবুক লাইভে আলোচিত।

সাম্প্রতিক পোস্ট

দুটি শরীরবিজ্ঞানের আওতার অতীত সম্ভাবনা

Dr. Bishan Basu November 14, 2025

বিস্ফোরণের পিছনে ডি কোম্পানি। ডি মানে দাউদ নয়, ডাক্তার

Dr. Koushik Dutta November 14, 2025

বদলে যাওয়া পৃথিবীতে ট্রাম্পের আমেরিকা

Samudra Dutta November 14, 2025

গণস্বাক্ষর অভিযান।। বিচারহীন ১৫ মাস

Abhaya Mancha November 13, 2025

আমরা ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিল আইনে পরিবর্তন চাই

Doctors' Dialogue November 13, 2025

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

590194
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]