সে এক দুঃখী অস্তিত্ব।
কিছুই মনে নেই তার। এই ত্রিভুবনের অন্য কোথাও থেকে সে এসেছে।
এসেছে, নাকি পাঠিয়েছে কেউ তাকে?
তার গুহার মত এই আবাসের কোনায় কানায় নানা সুইচ মনিটার আর যন্ত্রপাতি। এর হয় তো আদ্ধেকের ব্যবহার মনে আছে। ভুলে গেছে তার বাকিটা। এই ভোলাটা, এই যে ভুলতে হবে সে’টাও তাকে শিখিয়ে… না… না…, শিখিয়ে ঠিক নয় তার সিস্টেমে গেঁথে দেওয়া হয়েছিল।
সে কি রোবট কোনও? নাকি জীবিত প্রাণ? মনে নেই তার।
আজ তাকে ফিরে যেতে হবে যেখান থেকে এসেছিল সে’খানে। তার মাতৃগ্রহে। নির্দেশ এসেছে। নিজে নিজে ভাববার ক্ষমতা নেই তার। নইলে ভাবতেই পারত,- ফিরব না।
সে খুব তৎপর ও বাধ্য! তৈরি হয়ে নেয়।
গুছিয়ে নিতে হবে জোগাড় করা নানান নমুনা ও সঙ্কেত। নিতে পারত অনেক… অনেক কিছু। নোয়ার নৌকোয় যা কিছু ছিল আর ছিল না। হয় তো সাত রাজার ধন এক মাণিকের টুকরো। হয় তো, হয় তো বা।
সে কিন্তু কিছুই নেয় না। শুধু নেয় তার গুহার সামনে মাটিতে জন্মানো দু’টো দূর্বাঘাসের ডগা। পৃথিবীর স্মৃতি।