Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

মহাপুরুষঃ জুড়িদার

FB_IMG_1628904032070
Dr. Parthapratim Gupta

Dr. Parthapratim Gupta

General physician. Clinical associate in a corporate hospital.
My Other Posts
  • August 15, 2021
  • 6:51 am
  • No Comments

১৯০৮ সালের ৯ই নভেম্বর। একটু আগেই সন্ধ্যা নেমেছে কলকাতা শহরের বুকে। গঙ্গা থেকে বয়ে আসা ঠাণ্ডা হাওয়ায় চলছে শীতের প্রস্তুতি।

সারপেন্টাইন লেন,মধ্য কলকাতার একটি ছোট্ট গলি। সময় আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটা। ল্যাম্পপোস্টের গ্যাসবাতির হালকা আলোতে কেমন একটা রহস্যময় পরিবেশ চারদিকে। এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন রোজকেরে পসারিরা। ফেরিওয়ালা হেঁকে যাচ্ছে রকমারি সুরে,লক্ষ্য বাড়ির গৃহিণীদের দৃষ্টি আকর্ষণ।

গলায় চাদর জড়িয়ে ছোট্ট লাল একটি শিব মন্দিরের পাশে, উবু হয়ে বসে রোগাসোগা চেহারার দুটি তরুণ চীনেবাদাম খাচ্ছিলেন।
কার্তিক মাসের এই নিস্তরঙ্গ সন্ধ্যায় অঞ্চলের এক মাঝবয়েসী ভদ্রলোক তাঁর বসত বাড়ি থেকে বেড়িয়ে হেঁটে রওয়ানা দিলেন সেই রাস্তা ধরেই। শিবমন্দিরটি পেরিয়ে সেন্ট জেমস পার্কের দক্ষিণপশ্চিম কোণে আসামাত্রই, অন্ধকারে ঝলসে উঠল রিভলবার। মুখ থুবড়ে রাস্তায় পড়লেন সেই ব্যক্তি।

অন্ধকার ফুঁড়ে, মুখের চাদর সরিয়ে, বেরিয়ে এলেন দুই বিপ্লবী। ঢাকা মুক্তি সংঘের শ্রীশ চন্দ্র পাল আর আত্মোন্নতি সমিতির রণেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলি। শ্রীশ পা দিয়ে উল্টে দিলেন শরীরটাকে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে আরো দু বার ফায়ার করলেন। বুলেটের শব্দ অনুরণিত হতে লাগলো গোটা এলাকা জুড়ে। মৃত্যু একদম নিশ্চিত করে দুজনে রিভলবার দুটি কোমরে গুঁজে ধীরে ধীরে পার্কের অন্ধকারে মিলিয়ে গেলেন। এলাকার লোকজন কেউ বিন্দুমাত্র বাধা দিলেন না। ঘটনাটি চাক্ষুষ করে সবাই যে যার কাজে ফিরে গেলেন। যেন এই ঘটনা অপ্রত্যাশিত ছিল না মোটেই। কারণ, এই মৃত ব্যক্তির নাম নন্দলাল ব্যানার্জি। পরাধীন ভারতের দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী ইংরেজ পুলিশের ডাকসাইটে দারোগা।

ঘটনার নেপথ্যকাহিনী যদি আমাদের খুঁজতে হয় তাহলে পিছিয়ে যেতে হবে সেই বছরের পয়লা মে র দিনটিতে।

ট্রেনে চেপে কলকাতা থেকে দারোগা নন্দলাল ছুটি শেষ করে সিংভূমে ফিরে যাচ্ছেন নিজের কাজে যোগদান করতে। অন্যদিকে তিরিশে এপ্রিল রাতে মুজ:ফরপুরে দুই বিপ্লবী যে বোমা বিস্ফোরণ করেছেন তার খবর ততক্ষণে রটে গেছে চতুর্দিকে। সব গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ, রেলপথ মেপে মেপে চলছে পুলিশি প্রহরা।

নন্দলাল কামরায় বসে লক্ষ্য করলেন স্থানীয় মানুষদের সাথে বসে রয়েছেন একটি তরুণ বাঙালি যুবক। যুবকটির পরনে সদ্য দোকান থেকে কেনা ধোপদুরস্ত নতুন পোষাক এবং জুতো। যা কিনা পাশে বসে থাকা ময়লা জামা কাপড়ের দেহাতি লোকেদের থেকে তাকে একটু হলেও আলাদা করে রেখেছে।

স্বাভাবিক পেশাগত প্রবৃত্তিতে দারোগাটি র সন্দেহ হলো। পুলিশের খবরে বিপ্লবীদের বয়স যেমনটি বলেছে, এর বয়সও ঠিক সেরকমই যে মনে হচ্ছে তার। গোঁফের তলায় একটা আলগা হাসির আভাস খেলে গেলো নন্দলালের। সরকার বাহাদুর ৫০০০ টাকা ইনামও যে ঘোষণা করে রেখেছেন বিপ্লবীদের মাথার দাম হিসাবে!

তিনি ধীরে ধীরে তরুণটির সাথে ভাব জমাতে শুরু করলেন। ছেলেটি যে কিছু একটা অস্বস্তিতে রয়েছে, তা ধরতে বিশেষ বেগ পেতে হলো না দুঁদে দারোগার। বুঝতে পারলেন শিকারের খুব কাছে তিনি এসে পড়েছেন, তার সন্দেহ এক্কেবারে ঠিক!

ট্রেন স্টেশনে দাঁড়ালে, যুবকটি জল খেতে নামলেন। নন্দলালও নেমে, দৌড়ে গিয়ে খবর দিয়ে দিলেন স্টেশন মাস্টারকে, যাতে পরের স্টেশন মোকামাঘাটে পুলিশ অপেক্ষা করতে পারে ছেলেটিকে গ্রেফতারের জন্য। যুবকটি যে তাকে বিশ্বাস করে আগেভাগেই তার গন্তব্য বলে দিয়েছে।

পরের স্টেশন মোকামাঘাটে নামতেই পুলিশ ধরলো ছেলেটিকে।

স্বাস্থ্যবান যুবকটি হাত ছাড়িয়ে পালাতে পালাতে নন্দলালের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “আপনি বাঙালি হয়ে আরেক বাঙালিকে এমন করে ধরিয়ে দিলেন!!” তরুণ বিপ্লবী, কাঁচা বয়সের অনভিজ্ঞতায় বুঝতে পারেননি, মীরজাফরদের দল সব যুগেই থাকে। সঠিক সময়ে তাদের চরিত্রের প্রকাশ হয়।

গুলি বিনিময় শুরু হল স্টেশন চত্বরে। তুমুল অসম লড়াইয়ে কার্তুজ শেষ হয়ে গেলে বিপ্লবীটি সিদ্ধান্ত নেন, এই ইংরেজ পুলিশের হাতে তিনি ধরা দেবেন না। নিজের গুলিতে আত্মঘাতী হন দীনেশ চন্দ্র রায় ওরফে প্রফুল্ল চাকী। আমাদের ক্ষুদিরামের জুড়িদার। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবের প্রথম শহীদ।

এদিকে মুজঃফরপুরে ক্ষুদিরামকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার পর থেকে তিনি একবারেও দীনেশের নাম করেন নি। বারবার বলেছেন তিনি একাই বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। দীনেশচন্দ্র রায়ের আসল নাম যে প্রফুল্ল চাকী, সেটাও তাঁর জানা ছিল না। কিন্তু দীনেশের মরদেহ দেখার পর আর সত্য গোপন করতে পারেন নি।

হাজারহোক কঠিন বিপ্লবীরা তো মানুষই হন। যদিও ঠিক কতটা মনুষ্যত্ব থাকলে আর কতটা নিঃস্বার্থ হলে দেশের জন্য হাসি মুখে আত্মবলিদান দেওয়া যায় তা আমার জানা নেই। রাজনৈতিক শঠতা দেখে দেখে অভ্যস্ত হওয়া আমাদের প্রজন্মের পক্ষে এই শহীদদের দেশপ্রেম সম্বন্ধে ধারনা পাওয়া এক রকম অসম্ভব।

কিন্তু দীনেশ চন্দ্র রায় ঠিক কে তার হদিশ ইংরেজ পুলিশ করতে পারছিল না। নন্দলালকেও যে স্বাভাবিকভাবে এই নামটাই বলেছিলেন প্রফুল্ল। তাই অত্যন্ত ‘সুভদ্র’ ব্রিটিশ পুলিশ মৃত প্রফুল্ল চাকীর গলাটি কেটে স্পিরিট দিয়ে ভিজিয়ে কলকাতার লালবাজারে পাঠিয়ে দেয় সনাক্তকরণের জন্য। এই নৃশংস আচরণ অবশ্য তাদের কাছে অস্বাভাবিক ছিল না। যদিও কথায় বলে মৃতের কোন শত্রু হয় না আর যুদ্ধেও মানুষ এরকম পশুর মতো আচরণ করে না। আসলে এ দেশের মানুষকে ইংরেজরা মানুষ বলেই ভাবতো না যে।

মীরজাফর নন্দলাল ১০০০ টাকা পুরষ্কার পেলেন সরকারের কাছ থেকে। পদোন্নতির পর আরও পদোন্নতির আশা নিয়ে ফিরলেন কলকাতায়। আর প্রফুল্ল মারা যাওয়ার ঠিক ৬মাস ৮ দিন পর কলকাতার রাজপথে মুখ থুবড়ে পড়লো তার শরীর। বদলা। বুলেটের জবাব বুলেটেই দিলেন বিপ্লবীরা।

সারপেন্টাইন লেনের আঁকাবাঁকা গলিপথে সন্ধ্যার আলো আঁধারিতে এক মীরজাফরের মৃতদেহ পড়ে রইলো। একা।

PrevPreviousনাচ
Nextমারীর দেশের স্বাধীনতা দিবসNext
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

সরকারি ব্যবস্থায় আমাদের কোন কোন স্বাস্থ্য পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়ার কথা?

July 5, 2022 1 Comment

ডক্টরস ডায়ালগের ফেসবুক লাইভে ১লা জুলাই ২০২২ প্রচারিত।

আবার জিরোতে হিরো!

July 5, 2022 No Comments

গৌরচন্দ্রিকাঃ শিশিরদাকে খুব মিস করেছি এবার ট্রেকে গিয়ে। শিশিরদা আমাদের পঁয়ষট্টি বছরের তরতাজা যুবক। ট্রেকে অদম্য উৎসাহ। পারিবারিক কারণে যেতে পারেনি। নানা কারণে এ ট্রেক

তোমাতে করিব বাস

July 5, 2022 No Comments

প্রথম পর্ব। ডিসেম্বর ২০২১। ক্লিনিক থেকে বেরিয়ে ধীরেসুস্থে একটা ফিল্টার উইলস্ ধরাল মনোজিৎ। তারপরে মুচকি হেসে বলল, “ডায়াবেটিসের জন্য লেডি ডক্টর দেখালে, ঠিক আছে। কিন্তু

ব্যঙ্গের নাম অগ্নিপথ (২)

July 4, 2022 No Comments

আগের দিন বয়সের কথা বলেছিলাম। এবার একটু অর্থনৈতিক বিষয়ের দিকে চোখ রাখা যাক। যা জানানো হয়েছে তাতে অগ্নিবীরেরা প্রথম বছরে পাবেন ৩০ হাজার টাকা প্রতি

ট্রাইকটিলোম্যানিয়া

July 4, 2022 No Comments

একটি সহজ বিষয় নিয়ে লিখবো। ধরা যাক- হঠাৎ রাস্তায় যেতে যেতে আপনি দেখলেন – একজন লোক প্রতিদিন বসে বসে নিজের চুল টেনে তুলছে! যখন যেখানে

সাম্প্রতিক পোস্ট

সরকারি ব্যবস্থায় আমাদের কোন কোন স্বাস্থ্য পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়ার কথা?

Doctors' Dialogue July 5, 2022

আবার জিরোতে হিরো!

Dr. Sumit Das July 5, 2022

তোমাতে করিব বাস

Dr. Partha Bhattacharya July 5, 2022

ব্যঙ্গের নাম অগ্নিপথ (২)

Dr. Swastisobhan Choudhury July 4, 2022

ট্রাইকটিলোম্যানিয়া

Smaran Mazumder July 4, 2022

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

399891
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।