আরজিকর- ৩
★
আরজিকর-এর এক ছাত্রের মা লিখেছেন। ও’খানে যা ঘটছে, অনেকেই জানতে চেয়েছেন। অনেক খানি জানা যাবে।
______________________________
ওরা সবাই আমার সন্তানতুল্য। তাই এক মা হঠাৎ তার সন্তানদের কটাক্ষ করা হচ্ছে ভেবে , কিছু অনুচিত কথা হয়ত বলে ফেলেছে। আমি একজন লেখিকা। লেখিকা হিসেবে আমার বয়স হয়ত খুব বেশি নয়। তবু যদি আমার লেখা চক্রব্যূহ বইটা পড়েন , তাহলে অনুভব করবেন একজন সাধারণ গৃহবধূর অন্তর কিন্তু প্রতিবাদ করতে চায়…। সমাজটাকে তারাও দেখে , কিন্তু আপস করতে হয় আমাদের। মানে এখানে আমি সবার কথাই বলছি নারী পুরুষ নির্বিশেষে। আমার সেই প্রতিবাদী মনটা হয়ত হঠাৎ করেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আপনাকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছে।
সবকথা বলার সাহস আমার নেই। অনেকেই সত্য জানেন , আমি সবটুকু জানি না। কিন্তু যারা সত্য জানেন , তারাও প্রতিবাদের অবস্থায় নেই। ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েকমাস আগে। বাইরের কলেজের কম নম্বর পাওয়া ছাত্র হাউসস্টাফ হিসেবে এখানে চান্স পাচ্ছে। নিজের কলেজের ছাত্ররা পাচ্ছে না , …কেন ? হোস্টেল উন্নয়ন কমিটিতে আগে হোস্টেলের প্রতিনিধিরাই মূলত থাকত। হঠাৎ সেখান থেকে কেড়ে নেওয়া হল গণতান্ত্রিক অধিকার। এটা শুরু হয় বর্তমান প্রিন্সিপালের আগমনের পর। উনি অনেক কম বয়সে নিজ যোগ্যতায় এই পদ পেয়েছেন। উনি মাথা উঁচু করে চলেন। তাই মুর্শিদাবাদ ও এন . আর. এসে ছাত্রদের সঙ্গে চরম দ্বন্দ্বে গিয়েও আজ উনি আর .জি.করের প্রিন্সিপাল। অনেক কথা ঘুরে বেরাচ্ছে এই হাসপাতালের আনাচে কানাচে। সবটুকু বলার সাহস আমার নেই। তাবড় তাবড় ডাক্তারদেরই নেই।
যে কজন এখন অনশন চালিয়ে যাচ্ছে , ওদের কথা ভেবে আমি শিহরিত হচ্ছি। তোমাদের কিছু হলে , তোমাদের মা-বাবা ছাড়া এ দুনিয়ায় কারোর কিছু হবে না। জগতের কথা না ভেবে পরিবারের কথা ভাব তোমরা। নিজের মা-বাবাকে কষ্ট দিয়ে কোন মহৎ কাজ হয় না। এটা ওদের কাছে আমার আর্তি…। ছাত্রদের মধ্যে বিভাজন নীতির খেলা শুরু করিয়ে দিয়েছে নেতারা…। এরা তো হাতের পুতুল।