“…I am just you
I am your past haunting
Your present and your future.
I strive like you did.
I fight like you did.
I resist like you resisted
And for a moment,
I’d take your tenacity
As a model,
Were you not holding
The barrel of the gun
Between my bleeding
Eyes……….
…………………”
সাহিত্যের অধ্যাপক ও গাজার প্যালেস্তানীয় কবি রিফাত আল আরিরি মূল কবিতাটি লিখেছিলেন হিব্রুতে, ইস্রায়েলে বর্তমান শাসকদের উদ্দেশ্যে। ইস্রায়েলে হামাস হামলার পরে সারা বিশ্ব যখন নিন্দা করছে, BBC তে এক সাক্ষাৎকারে রিফাত আল আরিরি বলেন তাহলে কি ১৯৪৩ সালের Warshaw Ghetto Uprising টা ভুল ছিল যার জন্য চোদ্দো হাজার ইহুদীকে সরাসরি প্রাণ হারাতে হয়?
পড়াতেন ইংরাজি সাহিত্য গাজার ইউনিভার্সিটিতে, ২০১৫ সালে অন্য কয়েকজনের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেন ‘We Are Not Numbers’। সম্পাদনা করেন Gaza Writes Back, Gaza Unsilenced প্রমুখ অসাধারণ কিছু পুস্তকের..।
ফোনে হুমকী দেওয়া হয়েছিলো তাঁর থাকার অবস্থান পুরোপুরি জ্ঞাত, UNRWA-এর ক্যাম্প ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন বোনের আস্তানায়। ‘Surgical Bombing’-এ তিনি ও তাঁর বোন সমেত ঐ পরিবারের আরও চার জনের মৃত্যু হয়। বিগত কয়েক বছরে তাঁর ও তাঁর স্ত্রী র পরিবারের মোট ত্রিশজন নিহত হয় ইস্রায়েলের বাহিনীর হাতে।
ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক ও গাজার প্রতিবাদী বুদ্ধিজীবীদের সুনির্দিষ্টভাবে আক্রান্ত হবার ইতিবৃত্ত তো আর আজকের নয়! তফাৎটা হলো এখন প্রাণ হারাতে হচ্ছে লাগাতার বোমাবর্ষণের কারণে,আর এক্ষেত্রে তো রীতিমতো হিসেব করে!
গাজায় নিহতের সংখ্যা সতেরো হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যার মধ্যে শিশুই সাত সহস্রাধিক।
সিকিউরিটি কাউন্সিলে তেরোটি দেশের যুদ্ধবিরতির পক্ষে প্রস্তাবে যথারীতি ‘ভেটো’ দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভোটদানে বিরত থাকে তার একান্ত অনুগত ব্রিটেন।
সত্যিই কিছু করার বা বলার নেই, সারা পৃথিবী আজ নিতান্ত দর্শক মাত্র!! আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কথা নাহয় ছেড়েই দিলাম, কারণ যুদ্ধ ব্যতিরেকে সে দেশের শাসকদের কোনও গত্যন্তর নেই। কিন্তু, গোটা আরব দুনিয়া?? রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রস্তাব রাখা আর কিছু কড়া বিবৃতির বাইরে কোনও পদক্ষেপ নিয়েছে? না ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে, না তাকে সাহায্যকারীর বিপক্ষে…..!! আসলে, নিজেদের গোষ্ঠীগত দলগত স্বার্থের বাইরে নড়াচড়া করার ক্ষমতা কারুরই নেই, যে যত বড় ধর্মপ্রাণই হোক!!! ধর্ম নিয়ে অত্যুৎসাহও নিতান্ত স্বার্থের কারণে।
মৃত্যুর এক মাস আগে হয়তো নিজের আসন্ন ভবিষ্যৎকে প্রত্যক্ষ করেই ইংরাজিতে নিজের শেষ বাণী লিখে গিয়েছিলেন রিফাত আল আরিরি, যাতে পৃথিবীর বড় অংশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে তার অন্তিম বার্তা। তাঁর মৃত্যুর পর যা দ্রুত অনুবাদিত হয়েছে অনেকগুলি ভাষায়…..
এখানে, বাংলাভাষায় রূপান্তরের কাজটি করেছেন আমার অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু অলোক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়……….
“If I must die,
you must live
to tell my story
to sell my things
to buy a piece of cloth
and some strings,
(make it white with a long tail)
so that a child, somewhere in Gaza
while looking heaven in the eye
awaiting his dad who left in a blaze–
and bid no one farewell
not even to his flesh
not even to himself —
sees the kite, my kite you made, flying up above
and thinks for a moment an angel is there
bringing back love
If I must die
let it bring hope
let it be a tale….”
‘যখন রব না আমি মর্ত্যকায়ায়’
তখনও তোমাকে
থাকতেই হবে এ ধরায়;
আমার ভাবনা,আমার চিন্তা নিয়ে
মানুষের মাঝে,
তোমাকেই দিতে হবে যে ছড়িয়ে;
এক টুকরো কাপড় কিনে
বানিয়ো একটা ঘুড়ি;
(অবশ্যই যেন হয় সাদা,
আর একটা লম্বা লেজ
যেন থাকে,
যাতে দূর থেকে
দেখা যায় ঘুড়ি
কোন এক ঝোড়ো-দিনে
কাউকে কিছু না-ব’লে
চ’লে যাওয়া বাবা’র ফেরার
পথে আকাশের দিকে চেয়ে চেয়ে
গাজা’র যে কোন শিশু
সেই ঘুড়ি দেখে,
ক্ষণিকের জন্য হলেও যেন ভাবে,
একবুক – ভালোবাসা নিয়ে
মাথার ওপরে আছে পরী।।
‘যখন রব না আমি মর্ত্যকায়ায়’
আমার গল্প তবু তোমাদেরই মাঝে
অবশ্য থাকবে জেগে আশায় আশায়
…………………………………….
…………………………………….
জন্ম: ২৩ শে সেপ্টেম্বর,১৯৭৯
মৃত্যু: ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩