সাদাত হাসান মানটো একখানি গল্প লিখেছিলেন। গল্পটার প্লট দেশভাগ নিয়ে। দেশভাগের কয়েক বছর পরে ভারত পাকিস্তান এর চুক্তি অনুযায়ী দু’দেশের আটক কিছু হিন্দু, শিখ, মুসলিম মনোরোগীর আদান প্রদান হওয়ার কথা। পাকিস্তানের লাহোর এসইলামের এক বাসিন্দা, বিষণ সিং এর জন্ম ওই টেক সিং এলাকায়। সে ভারতীয় বলে গণ্য হওয়াতে যখন মিলিটারি এসকর্ট দিয়ে অন্যদের সাথে কাঁটাতার পেরিয়ে তাকে ভারতে পাঠানো হচ্ছিল তখন সে বেড়া ডিঙিয়ে ওপারে যেতে অস্বীকার করে কারন সে শুনতে পেয়ে গেছিল যে তার জন্মভূমি সেই টেক সিং এলাকা পরে আছে পাকিস্তানের ভাগে। সে ওই “নো ম্যানস ল্যান্ড” এর জমিতে শুয়ে পরে।
এন আর সি, সিএবি, সিএএ এই সব পরীক্ষায় যারা এর মধ্যেই ফেল করে বসে আছে, যারা কোনোদিন পাশ করবে না, রাষ্ট্রের দেওয়া সচিত্র বা বিচিত্র, কোনও পরিচয়পত্র যাদের কাছে নেই, থাকার কথা নয়, মনোরোগী, ভবঘুরে, ফুটপাথে বড় হওয়া প্রজন্ম, সমাজের এই সব প্রান্তিক মানুষদের দাবি নিয়ে আজ বা কাল আমাদের পথে নামতে হবে।
মানটো’র গল্পের শেষ লাইন: “কাঁটাতারের বেড়ার একদিকে ভারতবর্ষ। অন্য একটা হুবহু এক রকম কাঁটাতারের বেড়ার আরেক দিকে পাকিস্তান, আর দুটো কাঁটাতারের বেড়ার মধ্যিখানের এই জায়গাটাটুকুতে, যার কোনও নাম নেই সেইখানে চিৎপাত হয়ে পরে আছে টোবা টেক সিং।”
খেয়াল রাখবেন, চিৎ হিয়ে শুয়ে,উপুড় হয়ে নয়, চিৎ হয়ে শুলে আকাশ দেখা যায় যে। আকাশ। আজ মানটোর জন্মদিন। আমরা আকাশ দেখতে বড্ড ভালবাসি।
১১ই মে, ২০২৪
দারুণ 😍🫠
সেই আর কি। দেশ আর স্বদেশ এই ফাঁপরে পরে
আমরা আকাশকেই বেছে নিই।
লেখা চলুক। কাজের মাঝে সময় করে হলেও।
সংসারের হিজিবিজি কাজের মধ্যেও সময় বার করে কত কিছু করি।করতে হয়।এমন কি মাথার ওপর অজস্র চিৎকারের মধ্যেও বই পড়া অভ্যেস করতে হয়।বই পড়ে যাই।অবসরে লেখা ।সময় পেলে লেখা।
এমন হলে কিন্ত লেখা হবে না। লেখা চলুক।
তবেই না জটিল মন গুলো সরল হোক তাড়াতাড়ি।