An Initiative of Swasthyer Britto society

  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close

স্ক্যালপেল-৬ স্তন নিয়ে দুচার কথা

FB_IMG_1576317535305
Dr. Anirban Ghosh

Dr. Anirban Ghosh

Surgeon
My Other Posts
  • July 6, 2020
  • 8:19 am
  • One Comment

২০১২ সাল, আমি তখন আর.জি.করে সেকেন্ড ইয়ারের ট্রেনি। একদিন আমার ইনটার্ন ভাই বিক্রমের কাছে শুনলাম ওর মাকে নাকি ভর্তি করতে হয়েছে চেস্ট মেডিসিনের ওয়ার্ডে। দেখতে যেতে হবে। ফুসফুসের চারিদিকে জল জমেছে। একে আমরা প্লিউরাল ইফিউশন বলি। কিন্তু কেন জলটা জমল সেটা খুঁজে বার করা দরকার। সেই জন্যই আমার যাওয়া।

বিকেলবেলা, বিক্রমের সাথে চেস্ট মেডিসিন ওয়ার্ডে ঢুকলাম, কাকিমা বসেছিলেন বাঁ দিকের রো-এর একটা বেডে। ছোট খাটো মানুষ, গায়ে একটা ঘরে পরার শাড়ি জড়ানো। মায়াময় মুখ খানি। মায়েরা যেমন হয় আর কি। কয়েক মিনিট বসে কথা হল, আমার বাড়ি কোথায়, কে কে আছেন বাড়িতে, সদ্য বিয়ে করেছি, স্ত্রীয়ের ছবি দেখালাম, খুব মিষ্টি মেয়ে..

সার্জারির ডাক্তারবাবুকে তারপরে কাজের কথায় আসতেই হল। বুকে জল জমল কেন? কি করে বোঝা গেল জল জমেছে? কাকিমা বললেন কদিন ধরে শ্বাস কষ্ট হচ্ছিল খুব, সেখান থেকেই বুকের এক্সরে করা, তাতেই ধরা পড়ল।

আর কিছু?

এই ‘আর কিছু’ টার কথা বিক্রম আমাকে আগে থেকেই বলেছিল, কিন্তু কাকিমার মুখ থেকেই শুনতে হত।

– বাঁ দিকের বুকে একটা ফোলা দেখছিলাম কয়েক মাস ধরে।

– ফোলাটা বাড়ছে?

– হ্যাঁ, প্রথমে একটা ছোট মার্বেলের মতো ছিল বুঝলে, কিন্তু দেখতে দেখতে এখন অনেক বড় হয়ে গেছে।

– কাউকে বলেননি?

– কাকে বলব বাবা, এতো মেয়েদের লজ্জার জিনিস। তুমি ছেলের মতো, তোমাকে বলতেই লজ্জা লাগছে।

ওয়ার্ডের সিস্টার দিদিকে ডেকে নিয়ে কাকিমার বেডের চারিদিক পর্দা দিয়ে ঘেরা হল। তারপরে সেই মানুষটা অনেক কুন্ঠার সাথে ব্লাউজ সরালেন।

বাঁ দিকের স্তনে ডিউস বলের সাইজের একটা টিউমার। শক্ত পাথরের মতো। ওপরের চামড়া পাতলা হয়ে কালো হয়ে এসেছে। বাঁ দিকের বগলেও অনেকগুলো ছোট ছোট ফোলা।

বিক্রমের মায়ের স্তনের ক্যান্সার হয়েছিল। ওই টিউমার থেকে বায়োপ্সি করে জানা গেল বেশ বাজে রকমের ক্যান্সার। ছড়িয়েছে বগলের লিম্ফ গ্ল্যান্ড গুলোতে। বুকের সিটি স্ক্যান হল, তাতে দেখা গেল ক্যান্সার ছড়িয়েছে দুটো ফুসফুসেই, ডাক্তারি নাম মেটাস্টাসিস । সেই মেটাস্টেসিস থেকেই জল জমেছে বুকে।

স্টেজ ফোর ব্রেস্ট ক্যান্সার। এই মারণ রোগের অন্তিম পর্ব।

আমি আর বিক্রম রিপোর্ট হাতে পেয়েই বুঝেছিলাম কি হতে চলেছে। সন্তান তার যত্নে কোন ত্রুটি রাখেনি। অনেক ব্যয় বহুল কেমো থেরাপি চলল। কিন্তু কাকিমাকে বাঁচানো গেল না। পরের কয়েক মাসেই সব শেষ।

বিক্রমের মা একা নন। আর.জি.করে প্রতি সপ্তাহে এমন রুগী দেখতাম আমরা। স্বামী নিয়ে আসতেন স্ত্রীকে, ছেলে-মেয়ে নিয়ে আসত মাকে। এঁরা সবাই সংসারের কাজেতেই নিজের সর্বস্ব ঢালা মানুষ। বুকের ওপরে গজিয়ে ওঠা চাকতিটাকে প্রথমে পাত্তা দেননি। লজ্জায় লুকিয়েছেন বাড়ির লোকের কাছে। যখন এসেছেন আমাদের কাছে তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেরী হয়ে গেছে। অনেক সময় এমনও দেখেছি যে সেই টিউমার ফেটে ঘা তৈরি হয়েছে, পুঁজ গড়াচ্ছে, অথচ মানুষটা তাও মুখ বুজে সহ্য করে চলেছেন।

স্তন নারী শরীরের একটা দারুণ জিনিস। আমি যদি বলি এদের কাজ শুধু মাত্র সন্তানদের লালন করা তাহলে সেটা মারাত্মক বড় দ্বিচারিতা হবে। দুপেয়ে মানুষের সৃষ্টির প্রথম দিন থেকে পুরুষের শরীরে মনে ঢেউ তুলেছে এই এক জোড়া গোলক। নারী শরীরের যে অংশের জন্য লেখকরা কবিরা সবচেয়ে বেশি শব্দ খরচ করেছে সেটা এই নরম ফ্যাটের টুকরোই। মেয়েদের শারীরিক সৌন্দর্যের প্রায় সমার্থক শব্দ হয়ে গেছে স্তনের আকার,গঠন। তাহলে যে অঙ্গটাকে নিয়ে এত মাতামাতি তাকে নিয়েই এত অবহেলা কেন?

আমাদের দেশে প্রতি চারজন মহিলা ক্যান্সার রুগীর মধ্যে একজন ভোগেন স্তনের ক্যান্সারে। পাশ্চাত্যের থেকে সামান্য কম। কিন্তু সেই তুলনায় মারা যান অনেক বেশি রুগী। তার কারণ এদেশে অধিকাংশ স্তনের ক্যান্সার ধরা পরে অনেক দেরীতে। অন্য দিকে ইংল্যান্ডে এসে দেখেছি একদম অন্য ছবি। এখানে প্রায় অধিকাংশ স্তনের ক্যান্সার প্রাথমিক স্টেজের বাইরে এগোয় না। তার আগেই রুগী আসেন সার্জেনের কাছে। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গোটা স্তন বাদ দিতে হয় না। স্বাভাবিক জীবনে আবার ফিরে যেতে পারেন সেই মহিলাটি।

আমাদের দেশে এমনটা হয় না কেন?

কারণটা হল লজ্জা। নিজের আব্রু বজায় রাখার চেষ্টা।

তার মানে কি পাশ্চাত্যের মেয়েদের লজ্জা নেই?

আছে তো। লজ্জা নারীর একটা সহজাত প্রবৃত্তি। দেশ বদলালেও এই প্রবৃত্তি বদলায় না।

তাহলে ওদের এমন কি আছে যেটা আমাদের নেই?

সেই জিনিসটা হল সমাজের দৃষ্টি ভঙ্গী। আমাদের মেয়েরা খুব ছোটবেলা থেকে শরীর নিয়ে সচেতন। ওড়না বা শাড়ির আঁচলের এপাশ ওপাশ হলে বিড়ম্বনায় পরে তারা। যে দেশে মেয়েদের শেখানো হচ্ছে নিজেকে ভাল করে ঢেকে রাখ তাহলেই পুরুষরা কামে উন্মত্ত হয়ে ঝাঁপাবে না সেই দেশে মেয়েদের শরীরের প্রতিটা ইঞ্চির গোপনীয়তা রক্ষার তাগিদ অনেক।

দেশ হয়ত এগোচ্ছে। কিন্তু আমাদের মন এগোচ্ছে না।

যেসব মহিলারা এই লেখা পড়ছেন তাদের বলি, আপনার স্তন দুটি আপনার খুব বড় গর্বের অঙ্গ। ওদের যত্ন নিন, যাদের বয়স তিরিশের বেশি তারা অন্তত মাসে একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দুটো স্তন পরীক্ষা করুন। গোলমেলে কিছু মনে হলেই একজন সার্জেনকে দেখিয়ে নিন। আর যাদের বয়স পঞ্চাশের ওপরে তারা একবার দুটো স্তনেরই এক্সরে করান, একে ম্যামোগ্রাফি বলে। আপনার সার্জেনই এই টেস্ট লিখে দেবেন। একবার ম্যামোগ্রাফির রিপোর্ট ভাল এলে তিন বছর ছাড়া ছাড়া করালেই হবে।

আর ছেলেদের বলি, নিজের স্ত্রীকে এটা পড়ান। দিদি, বোন বা মাকে নিজে থেকে পড়াতে না পারলে ফরোয়ার্ড করে দিন।

নিচের লিঙ্কে ক্লিক করলে একটা পিডিএফ পাবেন,  সেটা ডাউনলোড করতে পারেন, স্তনের ক্যান্সারের স্ক্রিনিং নিয়ে অনেক সহজ ভাবে বোঝানো আছে,

https://www.gov.uk/government/publications/breast-screening-information-for-women-with-learning-disabilities

PrevPreviousশুধুই করোনা? আর বাকিরা??
Nextকরোনার দিনগুলি ৪৬ঃ ওষ্ঠে নিঃসরে ভাষNext

One Response

  1. আশিস নবদ্বীপ says:
    July 6, 2020 at 3:36 pm

    খুব সুন্দর লেখা।

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত পোস্ট

দিনলিপি ২৩শে জানুয়ারী

January 28, 2021 No Comments

আমাদের দেশে ভ্যাকসিন roll-out আজ প্রায় সাত দিন হতে চলল। খুবই আশাব্যঞ্জক চিত্র ভেসে উঠছে দেশের চারিপাশে। এখনো পর্যন্ত প্রায় বারো লাখ স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া

রক্ত– জোগাড়, দান, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চালন

January 28, 2021 No Comments

এই দীর্ঘ ধারাবাহিক লেখাটি থেকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাবেনঃ ১) আপনার কোনো আত্মীয়ের জন্য রক্ত লাগলে কী করবেন? ২) চিকিৎসক রক্তের প্রয়োজনের ব্যাপারে রোগীর আত্মীয়দের

সমস্ত ভারতীয় নবজাতকের জন্মের পর থাইরয়েডের পরীক্ষা কেন করা দরকার?

January 28, 2021 No Comments

ডা দোলনচাপা দাশগুপ্তের ইউটিউব চ্যানেল থেকে।

মনের অসুখ, শরীরের অসুখ ৩ঃ ডিসোসিয়েটিভ ডিসঅর্ডার

January 27, 2021 No Comments

ডাক্তার মধুবন্তী বসু বেশ নামকরা নিউরোলজিস্ট। কলেজের বন্ধুত্বের কারণে তিনি মাঝে মাঝেই পেশেন্ট রেফার করেন ডাক্তার নন্দীর কাছে। সেই সূত্রেই তাঁর কাছে কয়েক মাস হল

বইকুণ্ঠের জার্নালঃ ক্যাসিয়াস ক্লে ও সিস্টার নিবেদিতা

January 27, 2021 No Comments

অর্বাচীন দু’টি নিরীহ প্রশ্ন করি। ক্যাসিয়াস ক্লে আর সিস্টার নিবেদিতার মধ্যে মিল কোথায়? কোথায়ই বা মিলে গেছেন আমাদের মধুকবি আর অম্বরীশ দাস? প্রথমে ক্যাসিয়াস ক্লের

সাম্প্রতিক পোস্ট

দিনলিপি ২৩শে জানুয়ারী

Dr. Parthapratim Gupta January 28, 2021

রক্ত– জোগাড়, দান, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চালন

Aritra Sudan Sengupta January 28, 2021

সমস্ত ভারতীয় নবজাতকের জন্মের পর থাইরয়েডের পরীক্ষা কেন করা দরকার?

Dr. Dolonchampa Dasgupta January 28, 2021

মনের অসুখ, শরীরের অসুখ ৩ঃ ডিসোসিয়েটিভ ডিসঅর্ডার

Dr. Chandrima Naskar January 27, 2021

বইকুণ্ঠের জার্নালঃ ক্যাসিয়াস ক্লে ও সিস্টার নিবেদিতা

Dr. Arunachal Datta Choudhury January 27, 2021

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

293378
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।