আমি তখন মেডিক্যাল কলেজে সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। মানে ‘ হানিমুন ‘ ইয়ার আর কি। প্রথম এম. বি. পাস করার আনন্দে মশগুল। Clinics-এ তখনও তেমন হাতে খড়ি হয়নি। আমার গ্রামের একজন মহিলার হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে, তারা মেডিক্যাল কলেজে দেখাতে আসে।
আমি তাদের হার্টের বিভাগে দেখানোর ব্যাবস্থা করি। একে একে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়। Echocardiography এবং হার্টের থেকে ব্লাড নিয়ে তার অ্যানালাইসিস হয়। ধরা পরে হার্টে ফুটো ( atrial septal defect), সঙ্গে পালমোনারি হাইপারটেনশন।
কিছু মেডিসিন প্রেসক্রাইব করে ওনাকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হ-। দুই সপ্তাহ পরে আবার চেক-আপ এ আসতে বলে। মেডিসিনগুলো বাড়ির কাছ থেকে কিনবে বলে চলে যায়।
পরের দিন সকালে মেডিসিনের দোকান থেকে ফোন আসে। ‘ আরে তোমার স্যার ভুল ওষুধ দিয়েছে, ছেলেদের খাবার ওষুধ মেয়েকে দিয়েছে’।
কী ওষুধ দিয়েছে?
ভায়াগ্রা। যৌনতাবর্ধক ওষুধ, এটা তো ছেলেরা খায়।
ভায়াগ্রার কী কাজ এখানে সেটা জানি না। কিন্তু ভায়াগ্রা কী সেটাতো জানি। আমিও কনফিউজড, ব্যাপারটা কি হলো। যেই স্যারকে দেখানো হয়েছে, উনি ভারতের টপ কার্ডিওলজিস্টদের মধ্যে একজন। তাঁর ভুল কী করে হয়!
আমি আমার রুমের ইন্টার্ন দাদাকে রোগীর সমস্যা আর এখান থেকে sildenafil প্রেসক্রাইব করেছে সেটা জানালাম। মেডিসিন শপ থেকে যা বলেছে, সেটাও বললাম। দাদা কিছু ভদ্র ভাষায় মেডিসিন শপের ব্যাপারে বললো। আর বললো পালমোনারি হাইপারটেনশন- এর জন্য এটা দিয়েছে।
পরে ভাবছিলাম, ওষুধের দোকানের লোকটার যা অ্যাটিটিউড ছিলো, ডাক্তারকে কাছে পেলে মেরেই দিত।
বি দ্রঃ অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর!