আজবগড়ের প্রজার এখন ভীষণরকম কষ্ট
বাড়ছে নাকি কমছে বোঝা, যায় না বোঝা স্পষ্ট
নতুন রকম করের ধরণ মন্ত্রী দিলেন এবার
( জানোই তো ভাই, ওদের শপথ আমৃত্যুকাল সেবা’র)
সহজ সরল হিসেব এবার শতাংশে বিবৃত,
আগে লোকে নানান প্রকার নিয়মে ছাড় নিতো,
সেসব পুরো উড়িয়ে দিয়ে একটা হিসেব হবে,
এমন কথা রাজামশাই সেই বলেছেন কবে,
এবার সেপথ সুগম হলো, বাদ গেলো সব ছাড়,
কিন্তু দুঃখী প্রজার মগজ হয় না পরিষ্কার,
এটাই কি ঠিক, নাকি আগের করদেওয়া ঠিক ছিলো,
এসব নিয়ে দস্তাবেজও হয় লেখা তিন কিলো,
তর্ক করেন এঁড়ের মতন চ্যানেলে দুই পক্ষ
( মাইরি বলছি , হট্টগোলে কোথায় লাগেন দক্ষ!)
সবই দেখে , সবই শুনে , তবুও ধাঁধায় প্রজা,
একে শুধায়, তাকে শুধায় কমলো নাকি বোঝা,
রকম দেখে রাজার মাথায় ভীষণ চড়ে রক্ত,
কেন যে নয় সব নাগরিক সমান রাজার ভক্ত,
রাজা করেন প্রজারই হিত সেটা স্বতঃসিদ্ধ,
তবুও যখন করদাতারা এ সন্দেহে বিদ্ধ,
তাহলে তো আর সরল করতে হবেই করদান,
রাজামশাই মন্ত্রীকে তাই আচ্ছা করে কড়কান
বলেন ওহে, নিয়ম বানাও সবার বোধগম্য
কেউ বোঝে কেউ বোঝে না ছাই এমন কেন কম্মো,
মন্ত্রী ভারী চুলকে মাথা ভাবতে থাকেন রাতদিন
এমনি করে ক্যালেন্ডারে সময় পেরোয় সাতদিন,
আট নম্বর দিনে এলো বিপ্লবী এক চিন্তা,
হয় সমাধান , বয়েস ভুলে মন্ত্রী নাচেন ধিন তা
রাজসভাতে ছুট্টে গিয়ে পেশ করে দেন শিগগির
নতুন হিসেব বলছি হুজুর, সরল এবং স্বস্তির,
ফর্মে এবার সব মুছেছি. খোপ যে দুটো মোটে,
এমন শুনে রাজার সভার চোখ কপালে ওঠে,
দুইখানা খোপ ভরতে হবে, তাতেই হবে টাক্সো,
কন বিদূষক ‘ মন্ত্রী রাতে স্বপন টপন দ্যাখসো’
চুপ রে বাঙাল, মন্ত্রী হাঁকেন, এই যে প্রথম খোপ তার,
বিশদ করে লিখতে হবে প্রজার কত রোজগার।
সবাই চেঁচায় বোঝো ব্যাপার, রইলো বাকি একখান
তার ভেতরে সমস্ত কর কিভাবে হয় ব্যাখ্যান?
মন্ত্রী বলেন , একটু রোসো , জবাব পাবে সত্ত্বর,
পরের খোপে থাকবে লেখা , ওটাই হলে কর তোর।
যা রোজগার, কর দিলে তাই থাকবে না আর সংশয়
কে বুঝলো আর কে বুঝলোনা, থাকবে না আর সেই ভয়।
সমস্বরে রাজার সভা করেন রাজার জয় জয়!
এর আগেও আপনার ছড়া পড়েছি। বেশ ভালো। এই ছড়া পড়তে মাঝে মাঝে ছন্দ কাটছে।
ড়া